গুরুতর মহামারির সময়ে সাধারণ জনগণকে উৎস নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করা হয়, বিশেষ করে কোনও ভবনের অভ্যন্তরীণ জনাকীর্ণ স্থানগুলিতে, যেমন দোকানের ভেতরে।
শ্বাসরোগের আলোচনায় উৎস নিয়ন্ত্রণ (source control) বলতে শ্বাসযন্ত্রীয় বা শ্বসনতন্ত্রীয় কোনও রোগের সংবহন বা ছড়িয়ে পড়া হ্রাস করার এক ধরনের কৌশলকে বোঝায়, যাতে কথা বলা, কাশি বা হাঁচি দেওয়া এমনকি গান গাওয়ার মাধ্যমে শ্বাসনির্গত অতিক্ষুদ্র ফোঁটা (respiratory droplet) বা বায়বীয় বিক্ষেপের (aerosol) বিস্তার রোধ করা হয়।[১][২] এই উদ্দেশ্যে সচরাচর নাক ও মুখ ঢাকতে ডাক্তারি মুখোশ ব্যবহার করা হয়। তবে মহামারি পরিস্থিতিতে ডাক্তারি মুখোশের ঘাটতি হলে জনসাধারণকে এর পরিবর্তে সাধারণ কাপড়ের তৈরি মুখোশ পরতে সুপারিশ করা হয়।[৩][৪] অধিকন্তু, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার (respiratory etiquette) যেমন কাশি দেবার সময়ে টিস্যু কাগজ দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকাকেও উৎস নিয়ন্ত্রণ হিসেবে গণ্য করা যায়।[৩] যেসব রোগ বায়ুতে অতিক্ষুদ্র জলীয় ফোঁটা বা বায়বীয় বিক্ষেপের মাধ্যমে সংবাহিত হয়, সেসব রোগের ক্ষেত্রে বায়ু প্রবাহ, কণা ও বায়বীয় বিক্ষেপের স্থানান্তর সংক্রান্ত জ্ঞান যুক্তিসঙ্গত অবকাঠামোগত উৎস নিয়ন্ত্রণ সমস্যার সমাধান উদ্ভাবনে সহায়ক হতে পারে, যে সমাধানগুলি ঝুঁকিপ্রবণ ব্যক্তিদের সুরক্ষাহীনতা (exposure) ন্যূনতম মাত্রায় নামিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারে।[৫]