শ্যারন স্টোন | |
---|---|
Sharon Stone | |
![]() ২০১৭ সালে স্টোন | |
জন্ম | শ্যারন ইভোন স্টোন ১০ মার্চ ১৯৫৮ মিডভিল, পেন্সিলভেনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৮০–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাইকেল গ্রিনবার্গ (বি. ১৯৯৮; বিবাহবিচ্ছেদ ২০০৪) ফিল ব্রনস্টাইন (বি. ১৯৯৮; বিবাহবিচ্ছেদ ২০০৪) |
সন্তান | ৩ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
শ্যারন ইভোন স্টোন (ইংরেজি: Sharon Yvonne Stone; জন্ম: ১০ই মার্চ, ১৯৫৮) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সাবেক ফ্যাশন মডেল। তিনি অভিনয়ের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও একটি এমি পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৫ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে অদ্রে দে আর্ত এ দে লেত্রে উপাধিতে ভূষিত করে।
স্টোন ১৯৮৯ সালের মিনি ধারাবাহিক ওয়ার অ্যান্ড রিমেম্ব্রান্স দিয়ে প্রথম সকলের নজর কাড়েন এবং টোটাল রিকল (১৯৯০) দিয়ে মূলধারার চলচ্চিত্রে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি যৌন আবেদনের প্রতীক হয়ে উঠেন এবং যৌন আবেদনময়ী থ্রিলারধর্মী বেসিক ইন্সটিন্ক্ট (১৯৯২) চলচ্চিত্রে ক্যাথরিন ট্রামেল ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি মার্টিন স্কোরসেজির ক্যাসিনো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি দ্য মাইটি (১৯৯৮) ও দ্য মিউজ (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আরো দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
স্টোনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল স্লিভার (১৯৯৩), দ্য স্পেশালিস্ট (১৯৯৪), দ্য কুইক অ্যান্ড দ্য ডেড (১৯৯৫), ইফ দিজ ওয়াল্স কুড টক ২ (২০০০), ক্যাটওম্যান (২০০৪), ব্রোকেন ফ্লাওয়ার্স (২০০৫), আলফা ডগ (২০০৬), ববি (২০০৬), লাভলেস (২০১৩) এবং ফেডিং গিগোলো (২০১৩)। স্টোন ২০০৪ সালে দ্য প্র্যাকটিস টেলিভিশন ধারাবাহিকে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করে নাট্য ধারাবাহিকে অনন্য অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে এমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক ল অ্যান্ড অর্ডার: স্পেশাল ভিক্টিম্স ইউনিট (২০১০) এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ধারাবাহিক এজেন্ট এক্স (২০১৫) এ অভিনয় করেন।
শ্যারন ইভোন স্টোন ১৯৫৮ সালের ১০ই মার্চ পেন্সিল্ভেনিয়ার মিডভিলে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ডরোথি মারি (জন্মনাম: লসন, ১৯৩৩) ছিলেন একজন হিসাবরক্ষক এবং পিতা দ্বিতীয় জোসেফ উইলিয়াম স্টোন (১৯৩০-২০০৯) ছিলেন একজন যন্ত্রপাতি ও রং প্রস্তুতকারক এবং ফ্যাক্টরি কর্মী।[১] তার এক বোন ও দুই ভাই রয়েছে। বোন কেলি এবং দুই ভাই মাইকেল ও প্যাট্রিক স্টোন।[২][৩][৪] তার পূর্বপুরুষগণ আইরিশ ছিলেন।[৫] স্টোন শৈশবে খুবই মেধাবী ছিলেন এবং মাত্র পাঁচ বছর বয়সে দ্বিতীয় গ্রেডে উত্তীর্ণ হন।[৬]
তিনি ১৯৭৫ সালে পেন্সিল্ভেনিয়ার সেগার্টাউন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।[৪] এডিনবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন স্টোন মিস ক্রফোর্ড কাউন্টি, পেন্সিল্ভেনিয়া মুকুট জয় করেন এবং মিস পেন্সিল্ভেনিয়ার মুকুটের প্রতিযোগী ছিলেন। একজন বিচারক তাকে স্কুল বাদ দিয়ে নিউ ইয়র্কে গিয়ে ফ্যাশন মডেল হতে উদ্ধুদ্ধ করেন।[৪] ১৯৭৭ সালে স্টোন মিডভিল ত্যাগ করে নিউ জার্সিতে তার এক আত্মীয়ের কাছে চলে যান। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে ফোর্ড মডেলিং এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[৭] হিলারি ক্লিনটনের অনুপ্রেরণায় ২০১৬ সালে স্টোন তার ডিগ্রি অর্জনের জন্য পুনরায় এডিনবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে যান।
পুরস্কার | জয় | মনোনয়ন |
---|---|---|
০ | ১ | |
১ | ৪ | |
১ | ১ | |
০ | ১ | |
২ | ৬ |