শ্রী বরুণদেব মন্দির ورن دیو مندر | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
পরিচালনা সংস্থা | পাকিস্তান হিন্দু পরিষদ |
অবস্থান | |
অবস্থান | করাচি |
রাজ্য | সিন্ধু প্রদেশ |
দেশ | পাকিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৫১′৩৬″ উত্তর ৬৭°০′৩৬″ পূর্ব / ২৪.৮৬০০০° উত্তর ৬৭.০১০০০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | হিন্দু মন্দির |
শিলালিপি | ২ |
ওয়েবসাইট | |
http://www.pakistanhinducouncil.org/ |
শ্রী বরুণ দেব মন্দির ( উর্দু: ورن دیو مندر ) হল একটি হিন্দু মন্দির।এটি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচি শহরের মনোরা দ্বীপের সমুদ্র সৈকতের নিকটে অবস্থিত । মন্দিরটি হিন্দুধর্মের জলের প্রতিনিধিত্বকারী দেবতা বরুণকে উৎসর্গকৃত। [১]
মন্দিরের শিলালিপি অনুসারে মন্দিরটি অন্তত ১০০০ বছরের প্রাচীন। স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে অগণিত বার তুর্কি আর মোগলদের হাতে বিধ্বস্ত আর লুণ্ঠিত হবার পর ষোড়শ শতাব্দীতে এক ধনি হিন্দু নাবিক ভোজমল ন্যান্সি ভাটিয়া কালাতের খান সর্দারের নিকট থেকে সমগ্র মনোরা দ্বীপটি ক্রয় করে বরুণদেবের এই সুপ্রাচীন মন্দিরটি পুনঃরসংস্কার করেন। কালাতের খান সেই সময়ে উপকূল বরাবর বেশিরভাগ জমির মালিক ছিলেন ও তার পরিবার মন্দিরটির দখল নেয়। [২]
মন্দিরের নির্মাণের সঠিক সাল জানা যায় না [১] তবে এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে ১৯১৭-১৮১৮ সালে বর্তমান কাঠামোর পুননির্মাণ করা হয়েছিল। [৩]
শিলালিপিতে দেবনাগরিতে আছে,
ওম, বরুণ দেব মন্দির ।
সামনের গেটে সিন্ধুতে লেখা শিলালিপিটি বলছে, ভ্রিয়ার শেঠ হারচন্দ মল দয়াল দাসের পবিত্র স্মৃতিতে পুত্ররা উৎসর্গ করেছে । [৪] ভ্রিয়া শহরটি সিন্ধু প্রদেশের নওশহরো ফিরোজ জেলায় অবস্থিত।১৯৯২ সালে অয্যোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনের সময় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান আর বাংলাদেশে বেশ কিছু হিন্দু মন্দির বিধ্বস্ত আর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সেই সময় ধর্মান্ধ জনতার রোষে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এই মন্দিরটিও। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এই মন্দিরটি পর্যটকদের জন্য পাব্লিক টয়লেট হিসাবে ব্যবহার করেছে পাকিস্তানের প্রশাসন।[৫]
বর্তমানে, এই মন্দিরটি পাকিস্তান হিন্দু পরিষদের অধীনে। ইভাকু ট্রাস্ট সম্পত্তি বোর্ড এই প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষা বা সংরক্ষণ কিছুই করেনি।
আজ মন্দিরটি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে ।কারণ আর্দ্র বাতাস কাঠামো খাচ্ছে এবং মন্দিরের দেয়ালের উপর সমৃদ্ধ ভাস্কর্যগুলি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন সরকার-তহবিল প্রকল্পের অধীনে সিন্ধু এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটি (SEAS ) দ্বারা কাঠামো রক্ষা ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টা চলছে। [৬]