শ্রীকান্তেশ্বরা মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ননঞ্জনগুদ |
রাজ্য | কর্ণাটক |
দেশ | ভারত |
স্থাপত্য | |
ধরন | মন্দির |
ননঞ্জনগুদ(কন্নড়ঃನಂಜನಗೂಡು) দক্ষিণ ভারতের একটি অন্যতম তীর্থ ক্ষেত্র। নাঞ্জাঙ্গুর দক্ষিণের কাশী বলে পরিচিত কারণ এখানে রয়েছে প্রচুর মন্দির। এ সকল মন্দিরের মধ্যে ইতিহাস ঐতিহ্য শিল্পকলা সব কিছু মিলিয়ে অনন্য মন্দির শ্রীকান্তেশ্বরা মন্দির। এটি একটি শিব মন্দির। এমন্দিরটি নাঞ্জুগুরেশ্বর মন্দির বলেও পরিচিত।
নাঞ্জু (ನಂಜು) একটি কন্নড় শব্দ যার অর্থ বিষ। আর নাঞ্জুগুরেশ্বরা (ನಂಜುಂಡೇಶ್ವ)[১] অর্থ বিষের রাজা (হলাহল)। সমুদ্র মন্থনের সময় মহাদেব বিষ পান করে নীলকণ্ঠ রূপ ধারণ করেন। সেখান থেকেই এ নামটি এসেছে।[২][৩] এভাবেই এ শহরের নাম হয় নাঞ্জুগুড় বা মাহাদেবের বাসস্থান।[৪] এ শহরটি কপিলা নদীর তীরে অবস্থিত।[৫]
বর্তমানের মন্দিরটি গঙ্গা রাজা নির্মাণ করেন নবমশতকে। বলা হয় এ মন্দিরে গৌতম বুদ্ধ কিছুদিন ছিলেন এবং এখানে একটি শিব লিঙ্গ স্থাপন করেন। এ মন্দিরটিকে হাকিম নাঞ্জুগুরাও বলা হয়। কারণ এ মন্দিরে পূজা দিয়ে বাদশাহ টিপু সুলতান এবং তার পিতা হায়দার আলী তাদের নিজেদের খুব প্রিয় দুটি মুমূর্ষু- হাতির প্রাণ ফিরে পান।
এ মন্দিরের সব থেকে বড় উৎসব রথ যাত্রা। স্থানীয় ভাবে একে বলা হয় জাদ্দাজাঠরে এবং চিক্কারা জাঠরে। এদিন মহাদেব,পার্বতী,গণেশ,সুব্রামানিয়া, চণ্ডীকেশ্বরা পাঁচটি রথে নিয়ে পূজা করা হয়। হাজার হাজার ভক্ত সমাবেশ হন এবং শহরের রাস্তায় তারা দড়ি দিয়ে রথ টেনে নিয়ে যান।