ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | শ্রীরাম সিং শেখাওয়াত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয়তা | ভারতীয় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বদনগর, জয়পুর, রাজস্থান, ভারত | ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সামরিক কর্মজীবন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আনুগত্য | ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সেবা/ | ভারতীয় সেনাবাহিনী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদমর্যাদা | অনারারি ক্যাপ্টেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইউনিট | রাজপুতানা রাইফেলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পুরস্কার | পদ্মশ্রী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দেশ | ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ট্র্যাক এবং ফিল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিভাগ | ৮০০ মিটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্লাব | রাজপুতানা রাইফেলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাফল্য ও খেতাব | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত সেরা | ১:৪৫.৭৭ এনআর (মন্ট্রিল ১৯৭৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
অনারারি ক্যাপ্টেন শ্রীরাম সিং শেখাওয়াত (জন্ম: ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮) একজন প্রাক্তন ভারতীয় মধ্য-দূরত্বের দৌড়বিদ। তিনি ১৯৬৮ সালে রাজপুতানা রাইফেলে যোগ দেন, যেখানে তিনি কোচ ইলিয়াস বাবরের প্রভাবে দৌড়বিদ হিসেবে গড়ে ওঠেন। বাবর তাকে তার লক্ষ্য ৪০০ মিটার থেকে ৮০০ মিটারে সরিয়ে নিতে রাজি করান।
ব্যাংককে ১৯৭০ সালের এশিয়ান গেমসে ৮০০ মিটারে দ্বিতীয় স্থানে বার্মার জিমি ক্র্যাম্পটনের কাছে পরাজিত হন। সিং ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকের হিটে বাদ পড়েছিলেন কিন্তু তার করা ১:৪৭.৭ মিনিট সময় ক্র্যাম্পটনের এশিয়ান রেকর্ডকে আরও উন্নত করেছিল। প্রতিযোগিতার আগে তিনি কখনও সিন্থেটিক ট্র্যাকে দৌড়াননি। তিনি ১৯৭৪ এশিয়ান গেমসে তার সময়কে ১:৪৭.৬ মিনিটে উন্নত করে স্বর্ণ জেতেন।
১৯৭৬ মন্ট্রিল অলিম্পিকে ৮০০ মিটার দৌড় ছিল শ্রীরাম সিংয়ের দৌড় জীবনের শিখর। কোয়ালিফাইং রাউন্ড, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল পরপর অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দৌড়ে, তিনি ১:৪৫.৮৬[১] মিনিট সময় নিয়ে তার নিজের এশিয়ান রেকর্ডটি ভেঙেছিলেন সেমিফাইনালে, তিনি ১:৪৬.৪২ মিনিট সময় নিয়ে চতুর্থ হয়েছিলেন।[২]
ফাইনালে, শুরু থেকে সিং প্রচণ্ড তাড়াহুড়ো করেন। ৩০০ মিটারের ঘন্টা পড়ার সময় কিউবার আলবার্তো জুয়ানতোরেনার (৫০.৯০ সেকেণ্ড) থেকে এগিয়ে (৫০.৮৫ সেকেণ্ড) ছিলেন। জুয়ানতোরেনা ৫৫০ মিটার চিহ্নের কাছাকাছি তাঁকে ধরে ফেলেন এবং ১:৪৩.৫০ মিনিট সময় নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করে জেতেন। সিং ১:৪৫.৭৭ সময় নিয়ে সরাসরি সপ্তম স্থানে চলে যান। জুয়ানতোরেনা পরে তার বিশ্ব রেকর্ডের জন্য শ্রীরামের প্রথমে এগিয়ে থাকাকেই দায়ী করেন।
১৯৯৪ সালে লি জিন-ইল ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত এশিয়ান রেকর্ড এবং ২০১৮ সালের জুন মাসে জিনসন জনসনের দ্বারা এটি না ভাঙা পর্যন্ত ৪২ বছর ধরে এটি শ্রীরাম সিংয়ের একটি জাতীয় রেকর্ড হিসাবে দাঁড়িয়েছিল।
১৯৭৩ সালে, তিনি অ্যাথলেটিক্সে তার অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসাবে মর্যাদাপূর্ণ অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৯৭৪ সালে, তিনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে পদ্মশ্রীর মর্যাদাপূর্ণ বেসামরিক পুরস্কারে ভূষিত হন।
তিনি ১৯৭৮ সালের এশিয়ান গেমসে তার ৮০০ মিটার (১:৪৮.৮০) সোনার পদক ধরে রেখেছিলেন, কিন্তু মস্কো অলিম্পিকে একই ইভেন্টের হিটে বাদ পড়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭৩ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটার রৌপ্য পদক এবং ১৯৭৫ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার, ৮০০ মিটার এবং ৪×৪০০ মিটার রিলেতে ৩টি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
অবসর গ্রহণের পর তিনি খেলাধুলায় প্রতিভাবান যুবকদের পরামর্শ দেওয়ার কাজটি গ্রহণ করেছেন এবং আজও অনেক সম্মান অর্জন করেছেন।
বছর | প্রতিযোগিতা | ঘটনাস্থল | স্থান | নোট |
---|---|---|---|---|
১৯৭০ | এশিয়ান গেমস | ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | ২য় | ৮০০ মিটার |
১৯৭৪ | এশিয়ান গেমস | তেহরান, ইরান | ১ম | ৮০০ মিটার |
১৯৭৮ | এশিয়ান গেমস | ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | ১ম | ৮০০ মিটার |