শ্রীশৈলম | |
---|---|
জনগণনা নগর | |
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৬°০৫′০০″ উত্তর ৭৮°৫২′০০″ পূর্ব / ১৬.০৮৩৩° উত্তর ৭৮.৮৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | কুর্নুল |
আয়তন[১] | |
• মোট | ৫.৯৬ বর্গকিমি (২.৩০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ২১,৪৫২ |
• জনঘনত্ব | ৩,৬০০/বর্গকিমি (৯,৩০০/বর্গমাইল) |
ভাষা সমূহ | |
• সরকারি | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৫১৮১০১[৩] |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি ২১ |
শ্রীশৈলম ভারতের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার একটি জনগণনা নগর। এটি শ্রীশৈলম মণ্ডলের কুর্নুল রাজস্ব বিভাগের মণ্ডল সদর দপ্তর।[৪] শহরটি মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত এবং শৈবধর্ম এবং হিন্দুধর্মের শাক্তধর্ম সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। শহরটি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং শক্তিপীঠ উভয় কারণেই তীর্থস্থান হিসেবে মান্যতা পেয়েছে।
ভারতের আদমশুমারি ২০০১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ][৫] শ্রীশৈলম শহরের জনসংখ্যা ২৩,২৫৭। তন্মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫৪%, এবং নারী ৪৬%। শ্রীশৈলম প্রজেক্ট (আরএফসি) টাউনশিপের গড় সাক্ষরতার হার ১২৩% (যেহেতু এই শিক্ষা সমৃদ্ধ অঞ্চলের বেশিরভাগ লোকের দুটি বা তিনটি ডিগ্রি আছে)।এটি জাতীয় গড় ৫৯.৫% এর চেয়ে অনেক বেশি: পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ১৪৬%, এবং মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ১০০%। এই শহরর জনসংখ্যার ১৩% ছয় বছর বা তার কম বয়সী।
শ্রীশৈলম হল অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং শিবভক্তদের জন্য ভগবান শিবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত। শ্রীব্রহ্মরম্ভা মল্লিকার্জুন মন্দির বা শ্রীশৈলম মন্দির দেবতা শিব এবং পার্বতীকে উৎসর্গীকৃত হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরটিকে ভগবান শিবের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম এবং দেবী পার্বতীর আঠারটি শক্তিপীঠের একটি হিসাবে অভিহিত করা হয়। শিবকে এখানে মল্লিকার্জুন হিসাবে পূজা করা হয় এবং মূর্তি হিসেবে লিঙ্গম কে পূজা করা হয়। তাঁর স্ত্রী পার্বতী এখানে ব্রহ্মরম্ভা হিসাবে পূজিত। এটি ভারতের তিনটি মন্দিরের মধ্যে অন্যতম যেখানে জ্যোতির্লিঙ্গ এবং শক্তিপীঠ উভয়েরই পূজা করা হয়।[৬] কৃষ্ণা নদীর ওপর নির্মিত শ্রীশৈলম বাঁধ হল দক্ষিণ ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বাঁধ। নাগার্জুনসাগর-শ্রীশৈলম অভয়ারণ্য, বাঘের জন্য ভারতের বৃহত্তম সংরক্ষিত অরণ্য, এটি ৩৫০০ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এই অভয়ারণ্যটি বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণিকুলের একটি প্রাকৃতিক আবাসস্থল। বিশাল এবং ঘন নাল্লামালা বনটি ট্রেকিং, পাহাড়ী আরোহণ, বন অনুসন্ধান এবং গবেষণার জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, এখানে শ্রীশৈলম শহরটি বেস শিবির হিসাবে কাজ করে। মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান মল্লিকার্জুনের মন্দির এবং এটি একটি প্রাচীন মন্দির যা দ্রাবিড় রীতিতে নির্মিত। এখানে বিজয়নগর স্থাপত্যের নিদর্শন রয়েছে।[৭] এই জায়গাটিতে আরও কয়েকটি আকর্ষণ হল আক্কা মহাদেবী গুহা, পাতালগঙ্গা, শিকারেশ্বর মন্দির ইত্যাদি।
এই শহরটিতে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারী বিভাগের অনেক অফিস, যেমন এ.পি. সেচ বিভাগ, এপজেনকো, এপি ট্রান্সকো, এ.পি. বন বিভাগ রয়েছে এবং এর কর্মচারীদের আবাসস্থল আছে।
এখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগ এর অধীনে সরকারী, সহায়ক ও বেসরকারী স্কুল দ্বারা পরিচালিত হয়।[৮][৯] বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অনুসৃত শিক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি, তেলুগু।