শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ গীতিকার
বিবরণ	বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য
অবস্থান	ঢাকা
দেশ	বাংলাদেশ
পুরস্কারদাতা	বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পুরস্কৃত	১৯৭৯
সর্বশেষ পুরস্কৃত	২০১৫
বর্তমানে আধৃত	আমিরুল ইসলাম (বাপজানের বায়স্কোপ)
ওয়েবসাইট	অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের গীতিকারদের জন্য সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার; যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসাবে ১৯৭৯ সাল থেকে দেওয়া হয়। প্রথমবারের মত এই পুরস্কার অর্জন করেন আমজাদ হোসেন গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রের জন্য। সর্বাধিক পাঁচবার এই পুরস্কার অর্জন করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চারবার এই পুরস্কার অর্জন করেন কবির বকুল এবং তিনবার অর্জন করেন মনিরুজ্জামান মনির ও মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।

বিজয়ী গীতিকার

খান আতাউর রহমান ১৯৮০ সালের ডানপিটে ছেলে ও ১৯৯৭ সালের এখনো অনেক রাত চলচ্চিত্রের গানের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান ১৯৮৪, ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে এই পুরস্কার লাভ করেন।

হাসান ফকরী ১৯৯৩ সালের চাঁদাবাজ চলচ্চিত্রের গানের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।

কবির বকুল দ্বিতীয় সর্বাধিক চারবার এই পুরস্কার লাভ করেন।

শফিক তুহিন ২০১১ সালের প্রজাপতি চলচ্চিত্রের গানের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।

[[চিত্|120px|থাম্ব|ডান|মাসুদ পথিক ২০১৪ সালের নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ চলচ্চিত্রের গানের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।]]

১৯৭৮-১৯৮৯

বছর	গীতিকার	চলচ্চিত্র	তথ্যসূত্র
১৯৭৮	আমজাদ হোসেন	গোলাপী এখন ট্রেনে
১৯৭৯	আমজাদ হোসেন	সুন্দরী
১৯৮০	খান আতাউর রহমান	ডানপিটে ছেলে
১৯৮১	কোন পুরস্কার দেয়া হয় নি
১৯৮২	মাসুদ করিম	রজনীগন্ধা	[১]
১৯৮৩	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৮৪	মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান	চন্দ্রনাথ
১৯৮৫	আলাউদ্দিন আলী	প্রেমিক	[২]
১৯৮৬	মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান	শুভদা
১৯৮৭	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৮৮	মনিরুজ্জামান মনির	দুই জীবন
১৯৮৯	মনিরুজ্জামান মনির	চেতনা

১৯৯০-এর দশক

বছর	গীতিকার	চলচ্চিত্র	তথ্যসূত্র
১৯৯০	মনিরুজ্জামান মনির শহিদুল হক খান	দোলনা ছুটির ফাঁদে	[৩]
১৯৯১	নুরুল ইসলাম বাবু	পদ্মা মেঘনা যমুনা
১৯৯২	গাজী মাজহারুল আনোয়ার	উচিত শিক্ষা
১৯৯৩	হাসান ফকরী	চাঁদাবাজ
১৯৯৪	মাসুদ করিম	হৃদয় থেকে হৃদয়ে
১৯৯৫	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৯৬	গাজী মাজহারুল আনোয়ার	অজান্তে
১৯৯৭	খান আতাউর রহমান	এখনো অনেক রাত
১৯৯৮	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৯৯	রশিদ উদ্দিন	শ্রাবণ মেঘের দিন

২০০০-এর দশক

বছর	গীতিকার	চলচ্চিত্র	তথ্যসূত্র
২০০০	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
২০০১	গাজী মাজহারুল আনোয়ার	চুড়িওয়ালা
২০০২	গাজী মাজহারুল আনোয়ার	লাল দরিয়া
২০০৩	গাজী মাজহারুল আনোয়ার	কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি
২০০৪	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
২০০৫	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
২০০৬	শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
২০০৭	মুন্সি ওয়াদুদ	সাজঘর	[৪]
২০০৮	কবির বকুল	মেঘের কোলে রোদ	[৫]
২০০৯	কবির বকুল	স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা	[৬]

২০১০-এর দশক

বছর	গীতিকার	চলচ্চিত্র	তথ্যসূত্র
২০১০	কবির বকুল	নিঃশ্বাস আমার তুমি	[৭]
২০১১	শফিক তুহিন	প্রজাপতি	[৮]
২০১২	মিল্টন খন্দকার	খোদার পরে মা	[৯]
২০১৩	কবির বকুল	পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী	[১০]
২০১৪	মাসুদ পথিক	নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ	[১১][১২]
২০১৫	আমিরুল ইসলাম	বাপজানের বায়স্কোপ	[১৩]

পরিসংখ্যান

একাধিকবার বিজয়ী

সংখ্যা	গীতিকার
৫	গাজী মাজহারুল আনোয়ার
৪	কবির বকুল
৩	মনিরুজ্জামান মনির
২	আমজাদ হোসেন
	মাসুদ করিম
	খান আতাউর রহমান
৩	মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান

আরও দেখুন

• বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক
• বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সুরকার

তথ্যসূত্র

1. রওশন আরা বিউটি (১২ জুন ২০১৪)। "অমর গানের অসামান্য স্রষ্টা মাসুদ করিম"। দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
2. নিশীথ সূর্য (৮ জুন ২০১৫)। "আমার মতো ভাগ্যবান সুরকার কম : আলাউদ্দিন আলী"। এনটিভি অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
3. আর হোসেন (২৩ নভেম্বর ২০১১)। "শেকড় সন্ধানী একজন"। দৈনিক আমার দেশ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
4. "National Film Awards for the last fours years announced" [চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা]। দ্য ডেইলি স্টার। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫। 
5. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৮ ঘোষণা"। প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫। 
6. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৯"। বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম। ২৪ মার্চ ২০১১। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
7. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১০"। দৈনিক আমার দেশ। ২৩ মার্চ ২০১২। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
8. নিষাদ চৌধুরী (১২ মার্চ ২০১২)। "সেরা আসর বসছে আজ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১১"। দৈনিক আমার দেশ। ৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
9. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১২ ঘোষণা"। দৈনিক যুগান্তর। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
10. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ ঘোষণা"। দৈনিক যুগান্তর। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
11. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪"। দৈনিক আমার দেশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
12. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪ ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬। 
13. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ ঘোষণা: 'বাপজানের বায়োস্কোপ'-এর জয়জয়কার"। বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ মে ২০১৭। ১৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭। 

বহিঃসংযোগ