তাপগতিবিজ্ঞান |
---|
![]() |
পুস্তক:তাপগতিবিদ্যা |
পদার্থ ও ব্যবস্থাসমূহের ভৌত ধর্মগুলিকে প্রায়শই সংকীর্ণ ধর্ম ও বিকীর্ণ ধর্ম এই দুই প্রকারে ভাগ করা যায়। পদার্থ বা ব্যবস্থার আকার, আয়তন বা ব্যাপ্তি পরিবর্তিত হলে তার ভৌত ধর্মগুলি কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে এই শ্রেণীকরণ করা হয়। বিশুদ্ধ ও ফলিত রসায়নবিদ্যার আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুযায়ী সংকীর্ণ রাশি এমন একটি রাশি, যার মান ব্যবস্থার আকার থেকে স্বাধীন।[১] অন্যদিকে কোনও ব্যবস্থার বিকীর্ণ রাশি এমন একটি রাশি যার মান উপব্যবস্থাগুলিতে এর মানগুলির যোগফল।[২]
সংকীর্ণ ধর্ম (ইংরেজিতে Intensive property বা Bulk property) বলতে কোনও ব্যবস্থার একটি স্থানিক ধর্মকে বোঝায়, যা ব্যবস্থাটির আকার কিংবা এর ভেতরে অবস্থিত পদার্থের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না। কোনও বস্তুর তাপমাত্রা, প্রতিসরাংক, ঘনত্ব ও কাঠিন্য হল কিছু সংকীর্ণ ধর্মের উদাহরণ।
এর বিপরীতে কোনও ব্যবস্থার বিকীর্ণ ধর্ম (Extensive property) বলতে এমন কোনও ধর্মকে বোঝায় যা এটির উপব্যবস্থার সাপেক্ষে যোগাত্মক, কেননা ব্যবস্থাটি বড় বা ছোট হলে এই ধর্মটির মানও যথাক্রমে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।[৩]
তবে সংকীর্ণ ও বিকীর্ণ --- এই দুইটি শ্রেণী দিয়ে সব ভৌত ধর্মের শ্রেণীকরণ সম্ভব নয়, কেননা এমন কিছু ভৌত ধর্ম আছে যেগুলিকে সম্পূর্ণ সংকীর্ণ বা সম্পূর্ণরূপে বিকীর্ণ বলে চরিত্রায়িত করা যায় না।[৪] যেমন দুইটি উপব্যবস্থার বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকতা কেবলমাত্র তখনই যোগাত্মক হয় যখন এগুলিকে শ্রেণী সমবায়ে যুক্ত করা হয়; কিন্তু এগুলিকে সমান্তরাল সমবায়ে সংযুক্ত করলে লব্ধ প্রতিবন্ধকতাটি উপব্যবস্থা দুইটির প্রতিটির চেয়ে কম হয়।
মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড সি. টলমান ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞানে সংকীর্ণ ও বিকীর্ণ রাশি পরিভাষাগুলি প্রথম ব্যবহার করেন।[৪][৫]