সংকেত বলতে যা কিছু দ্বিতীয় কোনও কিছুর সম্ভাব্য উপস্থিতিকে নির্দেশ করে, সূচিত করে, বা স্মরণ করিয়ে দেয়, তাকে বোঝায়। সংকেত কোনও ভৌত বস্তু, কোনও ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য, কোনও ঘটনা এমনকি বিমূর্ত, অবাস্তব কোনও সত্তাও হতে পারে, যা অন্য কিছুর প্রতিনিধি বা সূচক হিসেবে কাজ করে।[১][২][৩] সংকেত ও প্রতীক নিয়ে জ্ঞানের যা শাখায় অধ্যয়ন করা হয়, তাকে সংকেতবিজ্ঞান বলে।
সংকেত প্রাকৃতিক হতে পারে। যেমন বজ্রনিনাদ ঝড়ের সংকেত, কিংবা উপসর্গ হল রোগব্যাধির সংকেত। আবার রীতিমাফিক সংকেত মূলত ব্যবহারকারীদের সম্মতির ভিত্তিতে কোনও কিছুকে নির্দেশ করে। যেমন বাংলা ভাষা লেখার সময় বাক্যের সমাপ্তি নির্দেশ বা সূচনা করতে দাঁড়ি (।) নামক যে চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়, তা এক ধরনের রীতিমাফিক সংকেত। এমনকি কোনও ভাষার প্রায় সমস্ত কিছু, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ ও বাক্যের গঠন ও অর্থ—এসবই ঐ ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের লোকদের দ্বারা গৃহীত রীতির ফলাফল। রাস্তাতে যে সাংকেতিক ফলকযুক্ত খুঁটি (signpost) দেখা যায়, সেগুলিতে পাঠ্যবস্তু, প্রতীক, ছবি, ইত্যাদি এককভাবে বা সমষ্টিগতভাবে ব্যবহার করে সংকেত গঠন করে রাস্তা ব্যবহারকারী যানচালক বা পথচারীদেরকে দ্রুত বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।