সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণ (ইংরেজি: Signal processing) বলতে সংকেতসমূহের বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ এবং পরিবর্তনসাধনকে বোঝানো হয়। এখানে “সংকেত” বলতে বাস্তব বিশ্বের কোন ঘটনার আচরণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ (যেমন শব্দ, চিত্র, জীববৈজ্ঞানিক পরিমাপসমূহ, ইত্যাদি) সম্পর্কে তথ্যাদিকে প্রতিনিধিত্বকারী গাণিতিক ফাংশনকে বোঝানো হয়।[১][২] সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণ কৌশলগুলি ব্যবহার করে সম্প্রচারিত সংকেতের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি, সংকেত সঞ্চয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং ব্যক্তিমনে সংকেতের মান উন্নয়ন করা হয়। এ ছাড়াও কোন একটি পরিমাপযোগ্য সংকেতের এক বা একাধিক উপাদানকে চিহ্নিত করা ও এগুলির উপর জোর দেওয়ার জন্যও সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণের কৌশলগুলি কাজে লাগে।[৩]
অ্যালান অপেনহাইম এবং রোনাল্ড শেফারের মতে সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণের মূলনীতিগুলিকে ১৭শ শতকের ধ্রুপদী সাংখ্যিক বিশ্লেষণের কৌশলগুলিতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তারা আরও বলেন যে এইসব কৌশলের ডিজিটাল মাধ্যমে প্রয়োগ ও উন্নতিসাধন মূলত ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকের ডিজিটাল নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাগুলিতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।[৪]
শব্দ সংকেত, তড়িৎ সংকেত, আ্যনালগ সংকেত, ডিজিটাল সংকেত প্রভৃতি ।
যদি কোন সংকেতের মান , নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে যেকোন মান হতে পারে, তবে তাকে আ্যনালগ সংকেত বলে।
কোন সংকেত কে যদি কেবলমাত্র দুইটি মান দ্বারা (যেমনঃ ০ এবং ১ অথবা ৫ভোল্ট এবং ০ ভোল্ট) প্রকাশ করা হয়, তখন সেই সংকেতকে ডিজিটাল সংকেত বলা হয়। উপযুক্ত ব্যবস্থার সাহায্যে যেকোন আ্যনালগ সংকেতকে ডিজিটাল এ রূপান্তর করা যায়, আবার এর বিপরীতটি ও করা যায়।