সংগো ম্নারা | |
---|---|
অবস্থান | তানজানিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৯°২′৫৮″ দক্ষিণ ৩৯°৩৪′২″ পূর্ব / ৯.০৪৯৪৪° দক্ষিণ ৩৯.৫৬৭২২° পূর্ব |
সংগো ম্নারা হচ্ছে দক্ষিণ তানজানিয়ার সোয়াহিলি উপকূলে অবস্থিত একটি পাথুরে শহর। প্রস্তর শহরটির বয়স ১৪ থেকে ১৬ শতাব্দীকার[১]। ইউনেস্কো সংগো ম্নারাকে নিকটবর্তী পাথুরে শহর কিলওয়া কিসিওয়ানির সংগে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা । প্রত্নতত্ত্ববিদ গণ এখানে সর্বমোট ছয়টি মসজিদ, চারটি কবরস্থান এবং তিনটি উন্মুক্ত স্থানসহ দ্বীপে দুই ডজন বাড়ির সন্ধান পেয়েছেন[২] । সংগো ম্নারা প্রধানত রুক্ষ প্রবাল এবং মর্টার দিতে গঠিত।[৩] এটা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠা অনেক বাণিজ্যিক শহরের একটি।
প্রত্নবিদগণ পাথুরে শহরের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে সোয়াহিলি উপকূলে মসজিদ এবং বাড়ির সম্পর্ক থেকে সোয়াহিলি উপকূলে ইসলামি সংস্কৃতির প্রভাব, অঞ্চলের অর্থনীতি এবং জমির সত্বাধিকারীদের আনুষ্ঠানিক প্রথা বোঝার চেষ্টা করেছেন। খোলা জায়গা বিভিন্ন সামাজিক কর্মে ব্যবহার করা হতো। শহর দেয়ালের ভেতর এবং বাহির উভয় পাশে কবরখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সংগো ম্নারা এবং সোয়াহিলি উপকূলীয় পাথুরে শহরগুলোর বিন্যাস প্রায় একই রকমের।
খনন প্রক্রিয়া প্রত্নতত্ত্ববিদ দের সংগো ম্নারার জীবন যাপন ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন স্থানে খননকাজ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ টি গৃহ আছে। বিভিন্ন ধরনের হস্তনির্মিত দ্রব্য পাওয়া গেছে। এর বেশ কিছুকে খননকৃত ঘর গুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্নবিদ গণ সাবধানে প্রাপ্ত জিনিসের মানচিত্র এবং রেকর্ড রাখছেন। [৪]
চীন, ভারত এবং অন্য দেশসমূহ যারা ভারত মহাসাগরে ব্যবসা করতো তাদের ব্যবসা ছিলো সোয়াহিলি উপকূল জুড়ে। সংগো ম্নারায় কারা ব্যবসা করতো এটা খুঁজতে গিয়ে চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সিরামিক ফলক পাওয়া গেছে। চীনা সিরামিক গুলো নীল এবং সাদা পোর্সেলিনের, সবুজাভ পাথুরে সামগ্রী ১৪ শতকের। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার টুকরো গুলো নিষ্প্রভ এবং সবুজ উজ্জ্বল গুলো থাই থেকে আনা।