বৌদ্ধধর্ম |
---|
এর ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
সংঘ সংস্কৃত ভাষার একটি শব্দ যা বহুসংখ্যক ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় (বিশেষত পালি ভাষায়) প্রচলিত। এটির সাধারণ অর্থ সম্প্রদায়, দল, গোষ্ঠী, সভা, সম্মেলন, ইত্যাদি। বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সংগঠনগুলি প্রায়শই তাদের নামে "সংঘ" কথাটি ব্যবহার করে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে সংঘ বলতে কোনও প্রজাতন্ত্র বা রাজ্যের শাসক সভাকে বোঝানো হত। এ কারণে কোনও কোনও বৌদ্ধ পণ্ডিত সংঘের এই ঐতিহ্যকে মানবজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন গণতান্ত্রিক সংগঠন হিসেবে গণ্য করে থাকেন।[১]
বৌদ্ধধর্মে সংঘ বলতে ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের মঠভিত্তিক সম্প্রদায়কে বোঝায়। এগুলি সচরাচর ভিক্ষুসংঘ বা ভিক্ষুণীসংঘ নামে পরিচিত। এছাড়া কেউ যদি বোধি-র চারটি ধাপের যেকোনও একটিতে পৌঁছাতে পারে, তাহলে তাকে "আর্যসংঘ" নামক একটি সংগঠনের সদস্য গণ্য করা হয়।[২][৩]
থেরবাদী বৌদ্ধ দর্শন ও নিচিরেন শোশু বৌদ্ধ দর্শন অনুযায়ী সংঘ বলতে সাধারণ ধর্মানুসারী তথা সাবকদের (শ্রাবক) সম্প্রদায়কে বোঝায় না, কিংবা সমগ্র বৌদ্ধ সম্প্রদায়কেও বোঝায় না।[৪][৫][৩]