পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের বেশ সুনাম রয়েছে। দেশটির সংসদীয় ব্যবস্থাপনা দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট। সেগুলো হচ্ছে লোকসভা এবং রাজ্যসভা। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যই 'সংসদ সদস্য' হিসেবে পরিচিত। [১]
সদস্যরা ভারতীয় প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে লোকসভায় সদস্যরূপে নির্বাচিত হন। কিন্তু রাজ্যসভার সদস্যরা পরোক্ষভাবে প্রদেশের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংসদ সদস্য হন। প্রত্যেক প্রদেশেই নির্দিষ্টসংখ্যক সংসদ সদস্যের পদ বরাদ্দ আছে। উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে বেশীসংখ্যক সদস্য পদ রয়েছে।[২]
কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটভূক্ত দলের সংমিশ্রণে গঠিত হয় যেখানে লোকসভায় সর্ববৃহৎ দল বৃহৎসংখ্যক আসন লাভ করতে সক্ষম হয়।[৩]
আইন সভা |
---|
এ সূচীপত্রটি রাজনৈতিক বিষয়াবলীর অংশবিশেষ |
২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর মূল বেতন: মাসে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা।দৈনিক ভাতা: ২৫০০ টাকা। পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য এক জন প্রাক্তন সাংসদ পেনশন পান ৩১ হাজার টাকা। সঙ্গে অতিরিক্ত প্রতি বছরের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা করে। প্রসঙ্গত, প্রতি সংসদ সদস্য তাঁর কেন্দ্রের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ৭০ হাজার টাকা করে পান। দফতরের জন্য ভাতা পান মাসে ৬০ হাজার টাকা। সঙ্গে সংসদে হাজিরার দৈনিক ভাতা, ২৫০০ টাকা।এছাড়াও বছরে ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, ৪ হাজার কিলোলিটার জল নিখরচায় সংসদ সদস্যদের দেওয়া হয়। ফোন ও ইন্টারনেটের খরচও সরকারের। নিজের ও পরিবারের জন্য বছরে ৩৪টি উড়ান এবং যে কোনও দূরত্বে প্রথম শ্রেণির ট্রেন ভাড়াও পান সংসদ সদস্যরা। আরও পান সড়ক পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিলোমিটার পিছু খরচও। দিল্লিতে ফ্ল্যাট বা বাংলো দেওয়া হয় তাঁদের। তা না পেলে আবাসন ভাতা দেওয়া হয়।[৪][৫]