संसदीय संग्रहालय | |
![]() সংসদীয় সংগ্রহালয়ের লোগো | |
![]() | |
স্থাপিত | ১৪ অগস্ট, ২০০৬ |
---|---|
অবস্থান | নতুন দিল্লি |
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৭′০৭″ উত্তর ৭৭°১২′২৬″ পূর্ব / ২৮.৬১৮৬৫৮° উত্তর ৭৭.২০৭১৭২° পূর্ব |
ধরন | ঐতিহ্য |
পরিদর্শক | ১,৭৪,০০৩ (২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির হিসেব)[১] |
মালিক | ভারত সরকার |
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধা | কেন্দ্রীয় সচিবালয় মেট্রো স্টেশন |
ওয়েবসাইট | www |
সংসদীয় সংগ্রহালয় হল ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে ভারতীয় সংসদ জ্ঞানপীঠে অবস্থিত একটি জাদুঘর। এই জাদুঘরটি সংসদ ভবনের কাছে অবস্থিত।[২] ১৯৮৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন লোকসভার অধ্যক্ষ সংসদ ভবন অ্যানেক্সে এটি উদ্বোধন করে। পরে এটি সংসদীয় জ্ঞানপীঠ স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ২০০২ সালের ৭ মে এটি উদ্বোধন করেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ণন।[৩] ২০১৬ সালের ১৫ অগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায় সংযোগরক্ষাকারী জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।[৪]
এই জাদুঘরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসটি প্রদর্শিত হয়েছে। এছাড়া লোকসভার অধ্যক্ষদের দেওয়া বিদেশি প্রতিনিধিদের দুষ্প্রাপ্য উপহার সামগ্রীগুলিও এখানে রাখা আছে।
মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই জাদুঘর খোলা থাকে। এই জাদুঘর প্রত্যেক রবিবার ও সোমবার বন্ধ থাকে।
২০০৪ সালে লোকসভার অধ্যক্ষ পদে শপথ গ্রহণের পর সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের উপর একটি আধুনিক, হাই-টেক ও আন্তর্জাতিক মানের জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্যারিসের ইন্টারন্যাশানাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়ামের প্রাক্তন সভাপতি তথা ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান সংগ্রহালয় পর্ষদের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর জেনারেল ড. সরোজ ঘোষকে এই বিষয়ে একটি যথাযথ প্রস্তাব পেশ করতে বলা হয়। সর্বশেষ প্রস্তাবনাটি গৃহীত হওয়ার পর সংসদের আধিকারিক ও নির্বাচিত নেতৃবর্গের সহায়তায় নির্মাণকার্য শুরু হয়। ২০০৬ সালের ১৪ অগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এ. পি. জে. আব্দুল কালাম এই জাদুঘর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াত, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবর্গ। ২০০৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।[৫]