সই পরাঞ্জপে | |
---|---|
হিন্দি: सई परांजपे | |
জন্ম | |
পেশা | পরিচালক, চিত্রনাট্যকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | অরুণ জোগলেকর (তালাকপ্রাপ্ত) |
সন্তান | গৌতম জোগলেকর অশ্বিনী |
পিতা-মাতা | ইউরা স্লেপটজফ শকুন্তলা পরাঞ্জপে |
আত্মীয় | আর. পি. পরাঞ্জপে (নানা) |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
সই পরাঞ্জপে (হিন্দি: सई परांजपे; জন্ম: ১৯ মার্চ ১৯৩৮) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি স্পর্শ, কথা, চশমে বাদ্দুর ও দিশার মতো পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের পরিচালক। তিনি জাসওয়ান্দি, সাক্কে শেজারি এবং আলবেলের মতো অনেক মারাঠি নাটক রচনা ও পরিচালনা করেছেন।
শৈল্পিক প্রতিভার স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে ভারত সরকার সইকে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করেছে।[১]
সই পরাঞ্জপে ১৯৩৮ সালের ১৯শে মার্চ তারিখে ভারতের মুম্বইয়ে রুশ বংশোদ্ভূত ইউরা স্লেপজফ এবং শকুন্তলা পরঞ্জপের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন।[২] স্লেপটজফ ছিলেন একজন রুশ জলরং চিত্রশিল্পী এবং একজন রুশ জেনারেলের পুত্র। শকুন্তলা পরঞ্জপে ১৯৩০ এবং ১৯৪০-এর দশকে মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি ভি শান্তরামের হিন্দি সামাজিক ক্লাসিক - দুনিয়া না মানে (১৯৩৭) সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি লেখিকা এবং একজন সমাজকর্মী হয়েছিলেন এবং একই সাথে রাজ্যসভার উচ্চ সভাকক্ষে একজন সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি পদ্মভূষণে ভূষিত হন।[৩]
সইয়ের বাবা-মায়ের তাঁর জন্মের পরপরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁর মা সইকে তাঁর নানা আর. পি. পরাঞ্জপের ঘরে লালন পালন করেছেন, যিনি একজন খ্যাতিমান গণিতবিদ এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন এবং তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সাঁই পুনেসহ ভারতের অনেক শহরে নিজের জীবন অতিবাহিত করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বেশ কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা করেছিলেন।[৪] ছোটবেলায় তিনি পুনের ফার্গুসন হিলে বসবাস করা ৪০ এবং ৫০-এর দশকের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা তার চাচা অচ্যুত রানাডের বাড়িতে যেতেন, তিনি তাঁর গল্পগুলো এমনভাবে বর্ণনা করতেন যেন তিনি চিত্রনাট্য বর্ণনা করছেন।[৫] সাঁই তার জীবনের প্রথম দিকে লেখার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন: তাঁর প্রথম রূপকথার বই - মুলাঞ্চি মেওয়া (মারাঠি)। তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এই বইটি প্রকাশ করেছিলেন।[৬][৭][৮]
পরাঞ্জপে ১৯৬৩ সালে নতুন দিল্লির রাষ্ট্রীয় নাট্য বিদ্যালয় (এনএসডি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।[৯]
সই নাট্য শিল্পী অরুণ জোগলেকরকে বিবাহ করেছিলেন; তাঁদের গৌতম নামে একটি পুত্র এবং উইনি নামে এক মেয়ে আছে। সই আর অরুণ দুই বছর পরে আলাদা হয়ে যান।[১০] ১৯৯২ সালে অরুণের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁরা বন্ধু ছিলেন এবং তাঁদের বিচ্ছেদের পরে অরুণ সাঁইয়ের স্পর্শ (১৯৮০) এবং কথায় (১৯৮৩) অভিনয় করেছিলেন। তাঁদের পুত্র গৌতম জোগলেকর মারাঠি চলচ্চিত্রের পরিচালক (পাক পাক পাকাক, জয় জয় মহারাষ্ট্র মাঝা তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র) এবং পেশাদার ক্যামেরাম্যান। অন্যদিকে তাঁদের মেয়ে উইনি পরঞ্জপে জোগলেকর একজন গৃহিণী। ১৯৮০-এর দশকে উইনি সাঁইয়ের চলচ্চিত্র, নাটক এবং টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। উইনি এবং তাঁর স্বামী অভয়ের দুটি সন্তান রয়েছে; আবির ও আঁশুনি। গৌতম নানা পাটেকরের পরিচালনায় প্রহার ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন; যেখানে তাঁর বিপরীতে মাধুরী দীক্ষিত অভিনয় করেছিলেন।
বছর | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ||||
১৯৮০ | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | স্পর্শ | বিজয়ী | [১১] |
শ্রেষ্ঠ হিন্দি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | বিজয়ী | |||
১৯৮৩ | কথা | বিজয়ী | ||
১৯৯২ | সামাজিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | চুড়িয়াঁ | বিজয়ী | |
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | ||||
১৯৮২ | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | চশমে বাদ্দুর | মনোনীত | [১২] |
১৯৮৫ | স্পর্শ | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ সংলাপ | বিজয়ী | |||
১৯৯২ | শ্রেষ্ঠ কাহিনি | দিশা | মনোনীত |