সকভারবাই

সকভারবাই
মারাঠা সাম্রাজ্যের মহারানী
দাম্পত্য সঙ্গীশিবাজী (বিবাহ.১৬৫৬; মৃত্যু.১৬৮০)
বংশধরকমলাবাই
রাজবংশগায়কোয়াড় (জন্মসূত্রে) ভোঁসলে (বিবাহসূত্রে)
পিতানন্দজি রাও গায়কোয়াড়

সকভারবাই ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বিবাহিত স্ত্রী। তিনি ছিলেন অভিজাত গায়কোয়াড় বংশের কন্যা।[] তার পিতা নন্দজি রাও গায়কোয়াড় ছিলেন ততকালীন মারাঠা সাম্রাজ্যের এক অভিজাত ও বিশিষ্ট ব্যাক্তি।

১৬৫৬ সালের ৯ জানুয়ারি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ এবং সকভারবাই রানীসাহেব বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। শিবাজী মহারাজের মাতা জীজাউ সাহেব খুবই ধুমধাম করে রাজগড়ের কেল্লায় তাদের বিবাহ উতসব পালন করেছিলেন।[] জিজামাতা স্বরাজ্যের জন্য সমর্থন পেতে আট শৌর্যশালী পরিবারের সাথে শিবরায়ের বিবাহ সম্বন্ধ করেছিলেন এবং সকভারবাই ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। ছত্রপতি শিবরায়ের দেহরক্ষী কৃষ্ণজি গায়কওয়াড় ছিলেন সকভারবাই রানী সাহেবের ভাই।[]

সকভারবাই রানী সাহেবে পরবর্তীকালে কমলাবাই নামক একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কমলাবাইয়ের বিবাহ হয় অভিজাত পরিবারে। নেতাজি পালকারের ছেলে জানোজি পালকর ছিলেন তার স্বামী।[]

১৬৮০ সালে তার স্বামীর মৃত্যুর পর, তিনি তার স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী পুতলাবাইয়ের মতোই সতী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার একটি মেয়ে ছিল বলে তাকে তা করতে দেওয়া হয়নি।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

পরবর্তীকালে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের আত্মত্যাগের পর, ১৬ মার্চ ১৬৮৯ সালে জুলফিকার খান রায়গড় কেল্লা অবরোধ করেন।[] কিন্তু রায়গড়ের পরিধি এত বড় ছিল যে ৪০ হাজার সৈন্য নিয়েও তারা কেল্লা বিজয় করতে পারেননি। কিন্তু একসময় রায়গড়ের পতন হয় এবং মহারানী জেশুবাই মুঘলদের সাথে সন্ধি করেন। সেই চুক্তি অনুসারে, জেশুবাই রানী সাহেবের সাথে রায়গড়ের সমস্ত লোক মুঘলদের রাজকীয় বন্দীতে পরিণত হয়। সে সময় সকভারবাই রানী সাহেবও জেশুবাই রানী সাহেব ও ছোট শাহুর সাথে রাজকীয় বন্দী হিসেবে আওরঙ্গজেবের শিবিরে গমন করেন।[] বন্দী অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ভাগ্যবশত সকভারবাই রানী সাহেবেকে কোথায় সমাধিস্থ করা হয়েছে ইতিহাসে তার উল্লেখ নেই।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "छत्रपती शिवरायांच्या पत्नी सकवारबाई राणीसाहे"