সঙ্ঘীয় সমাজবাদী ফোরাম, নেপাল Federal Socialist Forum, Nepal (FSFN) सङ्घीय समाजवादी फोरम, नेपाल | |
---|---|
সংক্ষেপে | এফএসএফএন |
চেয়ারপার্সন | উপেন্দ্র যাদব রাজেন্দ্র শ্রেষ্ঠ |
সাধারণ সম্পাদক | রাম সহায় যাদব |
প্রতিষ্ঠা | ১৫ জুন ২০১৫ |
ভাঙ্গন | ৬ মে ২০১৯ |
একীভূতকরণ | মধেশী জন অধিকার ফোরাম, নেপাল সঙ্ঘীয় সমাজবাদী পার্টি খাস সমাবেশী পার্টি |
পরবর্তী | সমাজবাদী পার্টি, নেপাল |
সদর দপ্তর | তিনকুনে, কাঠমান্ডু, নেপাল |
যুব শাখা | সঙ্ঘীয় যুব ইউনিয়ন |
ছাত্র সংগঠন | সমাজবাদী ছাত্র ফোরাম |
মহিলা সংগঠন | সঙ্ঘীয় সমাজবাদী মহিলা ফোরাম |
শিক্ষক সংগঠন | সঙ্ঘীয় নেপাল শিক্ষক ইউনিয়ন |
ভাবাদর্শ | গণতান্ত্রিক সমাজবাদ ধর্মনিরপেক্ষতা প্রগতিবাদ জাতিগত সংহতি |
রাজনৈতিক অবস্থান | মধ্য-বামপন্থী থেকে বামপন্থী |
প্রতিনিধি সভায় আসন সংখ্যা | ১৬ / ২৭৫
|
রাষ্ট্রীয় সভায় আসন সংখ্যা | ২ / ৫৯
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
FSFN.png | |
দলীয় পতাকা | |
ওয়েবসাইট | |
federalsocialist | |
নেপালের রাজনীতি |
সঙ্ঘীয় সমাজবাদী ফোরাম, নেপাল (নেপালি: सङ्घीय समाजवादी फोरम, नेपाल; সংক্ষেপে: এফএসএফএন) একটি প্রাক্তন গণতান্ত্রিক সমাজবাদী রাজনৈতিক দল। ২০১৫ সালের ১৫ জুন মধেশী জন অধিকার ফোরাম, নেপাল, সঙ্ঘীয় সমাজবাদী পার্টি এবং খাস সমাবেশী পার্টি একীভূত হয়ে রাজনৈতিক দলটি গঠিত হয়।[১] ২০১৯ সালের ৬ মে দলটি নয়া শক্তি পার্টির সাথে একীভূত হয়ে সমাজবাদী পার্টি, নেপাল গঠন করে।[২]
২০১৫ সালের ১৪ জুন মধেশী জন অধিকার ফোরাম, নেপাল, সঙ্ঘীয় সমাজবাদী পার্টি নেপাল ও খাস সমাবেশী পার্টি দেশের ক্রমশ ম্লান হওয়া মধেশী ও জনজাতি আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ১৫ জুন একীভূত হয়ে একটি দল গঠন করবে।[৩] উপেন্দ্র যাদব এবং রাজেন্দ্র শ্রেষ্ঠকে দলের সহ-চেয়ারম্যান ও অশোক রাইকে সংসদীয় দলের প্রধান করে নতুন দলটি গঠিত হয়।[৪] একীভবনের পর প্রতিনিধি সভায় দলের সদস্য সংখ্যা হয় ১৫ জন (মধেশী জন অধিকার ফোরাম, নেপাল থেকে ১০ এবং সঙ্ঘীয় সমাজবাদী পার্টি নেপাল থেকে ৫ জন)।[৫]
২০১৭ সালের ১৯ জুন সারিতা গিরির নেতৃত্বে নেপাল সদ্ভাবনা পার্টি দলটির সাথে একীভূত হয়ে যায়।[৬]
দলটি নেপালের সংবিধান সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলেও ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তা থেকে পিছিয়ে এসে সিদ্ধান্ত নেয় ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য নেপালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণ করার।[৭][৮] তাছাড়া নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাঈয়ের নেতৃত্বাধীন নয়া শক্তি পার্টির সাথে জোট গঠন করে এবং আগামী নির্বাচনগুলোতে একই প্রার্থী এবং একই প্রতীকে লড়াই করার ঘোষণা দেয়।[৯][১০] এই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে উপেন্দ্র যাদবকে সঙ্ঘীয় জোটের চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই সাথে জোট থেকেও তাঁর পার্টি বেরিয়ে যায়।[১১] নির্বাচনের প্রথম ধাপে পার্টি কোন আসন না পেলেও দ্বিতীয় ধাপে দল থেকে ৮টি মেয়র পদসহ ৩৮২ জন নির্বাচিত হন।[১২]
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পূর্বে নয়া শক্তির সাথে একীভবন সম্পন্ন করতে না পারায় জোট ভেঙে দেওয়া হয়।[১৩] দল থেকে ১,০৫৭ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বীরগঞ্জসহ ২৬টি মেয়র পদে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন।[১৪]
নির্বাচনের পূর্বে দলটি রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টির সাথে জোট গঠন করে।[১৫] দলটি নেপালের প্রতিনিধি সভায় ১৬টি আসন লাভ করে এবং সামগ্রিক গণনায় ৫ম সর্বোচ্চ ভোট লাভ করে।[১৬] অলটি নেপালের "জাতীয় দল"ঘোষিত পাঁচটি দলের অন্যতম।[১৭]
প্রদেশ সভা নির্বাচনে দলটি প্রদেশ নং ১-এ তিনটি, প্রদেশ নং ২-এ ঊনত্রিশটি এবং প্রদেশ নং ৫-এ পাঁচটি আসন লাভ করে।[১৮][১৯] নির্বাচনের পর এফএসএফএন ও রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি প্রদেশ নং ২-এ জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়, যেখানে এফএসএফএন থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি থেকে স্পিকার নির্বাচিত হবে।[২০][২১] প্রদেশ সভার সংসদীয় দলের নেতা মুহাম্মদ লালবাবু রাউত গদধী প্রদেশ নং ২-এর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।[২২][২৩][২৪]
সঙ্ঘীয় সমাজবাদী ফোরাম দলীয় ইশতেহারে জাতিতাত্ত্বিক সঙ্ঘবাদ ও সমাজবাদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে। সেই সাথে জাতি, ভাষা, লিঙ্গ এবং অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য ও দুর্ভোগ দূরীকরণের প্রত্যয় ব্যক্ত করে। সেই সাথে বিভিন্ন জাতির অধিকার, আত্মপরিচয়, সঙ্ঘবাদ, প্রজাতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন, সুপ্রশাসন, আনুপাতিক ব্যবস্থা এবং সামাজিক ন্যায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি প্রগতিশীল বিষয় বাস্তবায়নের জন্য বিকল্প জাতীয় শক্তি হিসেবে দলগঠনের কথা ইশতেহারে প্রকাশ করে।[২৫]
নির্বাচন | নেতৃত্ব | ভোট | আসন | অবস্থান | সরকার গঠন | |
---|---|---|---|---|---|---|
২০১৭ | উপেন্দ্র যাদব | ৪,৭০,২০১ | ৪.৯৩ | ১৬ / ২৭৫
|
৫ম | সিপিএন (ইউএমএল)-সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র) |
প্রদেশ | আসন সংখ্যা | নির্বাচন |
---|---|---|
প্রদেশ নং ১ | ৩ / ৯৩
|
২০১৭ |
প্রদেশ নং ২ | ২৯ / ১০৭
| |
প্রদেশ নং ৫ | ৫ / ৮৭
|
নাম | ছবি | কার্যকাল |
---|---|---|
মুহাম্মদ লালবাবু রাউত | ২০১৮–বর্তমান |