ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | বিদ, মহারাষ্ট্র, ভারত | ১১ অক্টোবর ১৯৭২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪০) | ৩ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪১) | ২৫ জানুয়ারি ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৪ জানুয়ারি ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩–২০১৪ | রেলওয়েজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | কলকাতা নাইট রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২১ অক্টোবর ২০১৭ |
সঞ্জয় বাপুসাহেব বাঙ্গার ([১] আগস্ট, ২০১৪ সাল থেকে ভারত ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ভারত দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সঞ্জয় বাঙ্গার। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন।
; জন্ম: ১১ অক্টোবর, ১৯৭২) মহারাষ্ট্রের বিড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।হিন্দু বাঞ্জারি পরিবারে বাঙ্গারের জন্ম।[২][৩]
মহারাষ্ট্র ও মুম্বইভিত্তিক যুব দলের ক্রিকেটার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে তার। তবে রাজ্য পর্যায়ে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে রেলওয়েজের প্রতিনিধিত্ব করতেন। এ সময়ে প্রায়শঃই বোলিং ও ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। মিডিয়াম-পেস বোলিং করতেন ও রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
২০০০-০১ মৌসুমে রেলওয়েজকে রঞ্জী ট্রফি চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান। তবে, বড়োদরার কাছে পরাভূত হয় তার দল। পরের মৌসুমে অবশ্য বেশ ভালো করে রেলওয়েজ দল। এবার তারা বড়োদরাকে পরাজিত করে প্রতিযোগিতার শিরোপা লাভ করে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বাঙ্গারের অপূর্ব ক্রীড়াশৈলীর কারণে দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়। এরফলে, ভারত দলের সদস্যতা লাভ করেন ও ২০০১-০২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।
নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মনোজ্ঞ শতরান করেন। নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থা মাঠে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন সঞ্জয় বাঙ্গার। খেলায় ভারত দল জয়ী হয়েছিল।
২০০২ সালে ভারত দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। সেখানে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ওয়াসিম জাফরের দূর্বল ক্রীড়াশৈলীই এর প্রধান কারণ ছিল। হেডিংলি টেস্টে ভারতের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন। প্রথম দিনে ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে ৬৮ রান তুলেন এবং সুইং ও সিম উপযোগী পিচে রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে অমূল জুটি গড়েন। একই খেলায় দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে বিদেশের মাটিতে দূর্লভ ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হতে দলকে ব্যাপকভাবে সহায়তার হাত প্রসারিত করেন।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সঞ্জয় বাঙ্গার। তবে, তার ক্রীড়াশৈলী তেমন সফলতার মুখ দেখেনি। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়।
২০০৪ সালে ভারতের পক্ষে সর্বশেষ অংশ নেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১২ টেস্ট ও ১৫টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি।
পরবর্তীকালে রেলওয়েজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন বাঙ্গার। ২০০৪-০৫ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফি শিরোপা বিজয়ে আবারও দলকে নেতৃত্ব দেন।
আইপিএলের প্রথম আসরে ডেকান চার্জার্স দলের সদস্য মনোনীত হন। ২০০৯ সালের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে খেলেন। দলে তার অন্তর্ভুক্তির ফলেই অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও কোচ জন বুকাননের মধ্যে তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
২০ বছরের খেলোয়াড়ী জীবন শেষে জানুয়ারি, ২০১৩ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। ২০১২ সালে 'রাহুল দ্রাবিড়: টাইমলেস স্টিল' গ্রন্থে সঞ্জয় বাঙ্গারকে ঘিরে নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়।
ভারত এ দলকে প্রশিক্ষণ দেন। ২০১০ সালে কোচি তুস্কার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুম্বই ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের জন্য প্রবীন আম্রের স্থলাভিষিক্ত হবার চেষ্টা চালান। জানুয়ারি, ২০১৪ সালে আইপিএলকে ঘিরে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের সহকারী কোচরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ঐ মৌসুমেই দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে গেলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে পরাজয় বরণ করে তার দল।
আগস্ট, ২০১৪ সালে ভারত দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন। তবে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ পরাজয়বরণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় তার।