ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সঞ্জীব কুমার শর্মা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | [১] দিল্লি, ভারত | ২৫ আগস্ট ১৯৬৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৪) | ২ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ জুলাই ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৫) | ২ জানুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ জুলাই ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
সঞ্জীব কুমার শর্মা (হিন্দি: संजीव शर्मा; জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৯৬৫) দিল্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি, রেলওয়েজ ও রাজস্থান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন সঞ্জীব শর্মা।
১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সঞ্জীব শর্মা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে ক্রিকেট খেলতেন। তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তারকা বোলার কার্টলি অ্যামব্রোস ও কোর্টনি ওয়ালসের সাথে তুলনা করা হতো। ভিভিয়ান রিচার্ডস তাকে কপিল দেবের পর সেরা ভারতীয় ফাস্ট বোলার হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
১৯৯১ সালের রঞ্জী ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলেন। দিল্লির কারনাইল সিং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলার প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৭ রান সংগ্রহের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫৫ রান তুলেন। সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সঞ্জীব শর্মা। ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে হায়দ্রাবাদের ডেক্কানে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৬ জুলাই, ১৯৯০ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮০-এর দশকে কপিল দেবের যোগ্য উদ্বোধনী সহচর হিসেবে নেয়ার প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকজন বোলারের অন্যতম ছিলেন তিনি। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। বেশ ভালোমানের বোলিং করেন। নিচেরসারিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে ৩/৩৭ পান। ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। তবে, কোন টেস্টেই তাকে রাখা হয়নি। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরও এক টেস্টে তাকে রাখা হয়। তবে, নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি।
প্রায় ২০ বছরকাল খেলার জগতে সক্রিয় ছিলেন। অতঃপর, নভেম্বর, ২০০৪ সালে প্রতিযোগিতাধর্মী ক্রিকেট খেলা থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। আগস্ট, ২০১৯ সালে অরুণাচলপ্রদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়।[২]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জাতীয় দল নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন। এ পর্যায়ে ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারত দল রানার্স-আপ হয়। এরপর, ২০০৯ সাল পর্যন্ত জুনিয়র সিলেকশন কমিটির সভাপতিত্ব করেন। বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ দল শিরোপা জয় করেছিল। ২০১০ সাল থেকে রঞ্জী ট্রফিতে দিল্লি, সিক্কিম ও অরুণাচলপ্রদেশের কোচের দায়িত্বে থাকেন।
ইয়র্কশায়ারের গোলকার ক্রিকেট ক্লাব, স্টাফোর্ড-শায়ার লিগে কিডসগ্রুভ ক্রিকেট ক্লাব, আয়ারল্যান্ডের আর্ডমোর ক্রিকেট ক্লাব, সিওন মিলস ক্রিকেট ক্লাব, ব্রুনেট ক্রিকেট ক্লাব, ঢাকা লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, বিমান এয়ারওয়েজ ও সূর্যতরুণ ক্রিকেট ক্লাব, রাজস্থান রঞ্জী দল, যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম লিগের পক্ষে কোচ ও খেলোয়াড়ের যৌথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
২০০২ সালে থাইল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল চিটাগং ভাইকিংসের কোচ হিসেবে মনোনীত হন। এছাড়াও, বিসিসিআই-এনসিএ কর্তৃক উত্তর অঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চলের জোনাল ক্রিকেট একাডেমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন।