![]() | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অবস্থান | শ্রীহরিকোটা, তিরুপতি জেলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
স্থানাঙ্ক | ১৩°৪৩′ উত্তর ৮০°১৪′ পূর্ব / ১৩.৭২° উত্তর ৮০.২৩° পূর্ব | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+০৫:৩০ (ভারতীয় প্রমাণ সময়) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংক্ষিপ্ত নাম | এসডিএসসি-শার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিষ্ঠিত | ১ অক্টোবর ১৯৭১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পরিচালনাকারী | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মোট উৎক্ষেপণ | ৮৯ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎক্ষেপণ মঞ্চ | সক্রিয়: ২ বন্ধ: ১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র (এসডিএসসি-শার),[১] পূর্বনাম শ্রীহরিকোটা রেঞ্জ (শার),[২] ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রধান মহাকাশ বন্দর। এটি ভারতের চেন্নাই শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) উত্তরে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত।[১]
এই মহাকাশ কেন্দ্রে তিনটি উৎক্ষেপণ মঞ্চ বিদ্যমান, যার মধ্যে দুটি সক্রিয়। ভারতের চন্দ্রাভিযান প্রকল্প চন্দ্রযান-১, চন্দ্রযান-২, ও চন্দ্রযান-৩ এবং মঙ্গল অভিযান প্রকল্প মঙ্গলযান এই মহাকাশ কেন্দ্র থেকেই উৎক্ষেপিত হয়েছে।
এর আদি নাম শ্রীহরিকোটা রেঞ্জ (শার) এবং ২০০২ সালে ইসরোর প্রাক্তন সভাপতি সতীশ ধওয়ানের নামানুসারে এই মহাকাশ কেন্দ্রের নাম পরিবর্তিত হয়েছিল।
কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হিসেবে ১৯৬৯ সালে শ্রীহরিকোটা দ্বীপকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের আরএইচ-১২৫ সাউন্ডিং রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ কেন্দ্রটিকে সক্রিয় করা হয়েছিল।[৩] ১০ আগস্ট ১৯৭৯-এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের (এসএলভি) মাধ্যমে এক কৃত্রিম উপগ্রহকে (রোহিণী ১এ) উৎক্ষেপিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু রকেটটির দ্বিতীয় স্টেজে থ্রাস্ট ভেক্টরিঙের সমস্যার জন্য ১৯ আগস্ট ১৯৭৯-এ ঐ কৃত্রিম উপগ্রহটি পতিত হয়েছিল।[৪] ৫ সেপ্টেম্বর ২০০২-এ ইসরোর প্রাক্তন সভাপতি সতীশ ধওয়ানের নামানুসারে শ্রীহরিকোটা রেঞ্জের নাম সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র রাখা হয়েছিল।
ভারতীয় মানব মহাশূন্য উড়ান কর্মসূচীর অধীনে মানব মহাকাশযান গগনযান উৎক্ষেপণের জন্য বর্তমান উৎক্ষেপণ মঞ্চদের বর্ধিত করা হবে।[৫]
সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের বর্তমান ডিরেক্টর আরুমুগাম রাজরাজন।[৬][৭]
সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পূর্ব উপকূলে টাকু-আকৃতির শ্রীহরিকোটা দ্বীপে অবস্থিত। বিভিন্ন মহাকাশ উড়ানের জন্য ভালো উৎক্ষেপণ দিগংশ করিডোর, নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থান, এবং নিরাপত্তা অঞ্চলের জন্য বড় জনমানবহীন এলাকার জন্য এটি আদর্শ মহাকাশ বন্দরে পরিণত হয়েছে।[৮]
এসএলভি উৎক্ষেপণ মঞ্চ, যার অবস্থান ১৩°৩৯′৫৯″ উত্তর ৮০°১৩′৩৮″ পূর্ব / ১৩.৬৬৬৩৭° উত্তর ৮০.২২৭১৫° পূর্ব, ১৯৭৯ সালে চালু করা হয়েছিল এবং ১৯৯৪ সালে বন্ধ করা হয়েছিল। ইসরোর দুটি উৎক্ষেপক যান এটি ব্যবহার করত: উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (এসএলভি) ও বর্ধিত উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (এএসএলভি)।[৯] প্রথমদিকে এটি এসএলভির জন্য ছিল, পরে এটি এএসএলভির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।[১০] এই উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে প্রথম উৎক্ষেপণ ১০ আগস্ট ১৯৭৯-এ ঘটেছিল। এটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের (এসএলভি) প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান ছিল এবং এটি রোহিণী প্রযুক্তি পেলোড বহন করেছিল। এই উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে শেষ উৎক্ষেপণ ৪ মে ১৯৯৪-এ ঘটেছিল। এটি বর্ধিত উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের (এএসএলভি) শেষ উড়ান ছিল এবং এটি এসরস-সি২ উপগ্রহ বহন করেছিল।[৯]
The প্রথম উৎক্ষেপণ মঞ্চ,[১১] যার অবস্থান ১৩°৪৪′০০″ উত্তর ৮০°১৪′০৫″ পূর্ব / ১৩.৭৩৩৩৩° উত্তর ৮০.২৩৪৬৬° পূর্ব, ১৯৯৩ সালে চালু করা হয়েছিল। ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], এটি মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (পিএসএলভি) ও ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (এসএসএলভি) উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়। আগে ভূস্থিত উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (জিএসএলভি) উৎক্ষেপণের জন্যও এটি ব্যবহৃত হতো।[১২] এই উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে প্রথম উৎক্ষেপণ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩-এ ঘটেছিল। এটি মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের (পিএসএলভি) প্রথম উড়ান ছিল এবং এটি আইআরএস-১ই কৃত্রিম উপগ্রহ বহন করেছিল। ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের (এসএসএলভি) প্রথম উড়ানও ৭ আগস্ট ২০২২-এ এই উৎক্ষেপণ মঞ্চে হয়েছিল।
₹ ৪৭৫ কোটি (ইউএস$ ৫৮.০৬ মিলিয়ন) মূল্যের পিআইএফ (পিএসএলভি ইন্টিগ্রেশন ফ্যাসিলিটি) প্রকল্পের অধীনে প্রথম উৎক্ষেপণ মঞ্চটি এক বড় প্রসারণের মধ্যে আছে। এটি শেষ হলে প্রথম উৎক্ষেপণ মঞ্চটি বছরে ১৫টি উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবে।[১৩]
দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ মঞ্চ, যার স্থানাঙ্ক ১৩°৪৩′১২″ উত্তর ৮০°১৩′৫০″ পূর্ব / ১৩.৭১৯৯৪° উত্তর ৮০.২৩০৪৮° পূর্ব, মার্চ ১৯৯৯ থেকে ডিসেম্বর ২০০৩ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচিভিত্তিক সংস্থা মেকন লিমিটেড নকশা, সরবরাহ, নির্মাণ, ও বিনিয়োগ করেছিল।[১৪] তখন এর খরচ ₹ ৪০০ কোটি (ইউএস$ ৪৮.৮৯ মিলিয়ন)।[১৫] সহকারী ফ্যাসিলিটি নিয়ে দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ মঞ্চটি ২০০৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং ঐ বছর ৫ মে পিএসএলভি-সি৬ রকেটের উৎক্ষেপণের দ্বারা একে সক্রিয় হয়েছিল। এটি মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (পিএসএলভি), ভূস্থিত উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (জিএসএলভি), ও ভূস্থিত উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান মার্ক ৩ (এলভিএম৩) উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ভবিষ্যতে এটি ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ উড়ানের জন্য ব্যবহৃত হবে।[১১][১৬]
This centre was originally named SHAR (an acronym for Sriharikota Range – mistakenly referred to as Sriharikota High Altitude Range by some people) by Sarabhai. SHAR in Sanskrit also means arrow, symbolic of the nature of activity and that seems to be the significance of the acronym.