সদরপুর উপজেলা | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে সদরপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৮′৩৩″ উত্তর ৯০°২′৫″ পূর্ব / ২৩.৪৭৫৮৩° উত্তর ৯০.০৩৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৪ |
আসন | ২১৪, ফরিদপুর-৪ |
সরকার | |
• উপজেলা নির্বাহী অফিসার[১] | মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম |
আয়তন | |
• মোট | ২৯০ বর্গকিমি (১১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ১,৮৮,৭৫৭ |
• জনঘনত্ব | ৬৫০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ৮৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সদরপুর বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এখানেই অবস্থিত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও বাইশ রশি জমিদার বাড়ি ও মনিকোঠা বাজার ও আকোটের চর কাশবন।
সদরপুর নাম করনের তেমন কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে লোক মুখে জানা যায় যে, স্থানীয় বাইশ রশি জমিদারদের যাতায়াতের জন্য বর্তমান থানার উত্তর পার্শ্বে ভূবনেশ্বর নদীতে তৎকালে বড় বড় পানশী নৌকা রাখিত এবং যখনই এই স্থানে আসার প্রয়োজন হইত তখনই ‘‘সদর’’ কথাটি ব্যবহার করিত। এ থেকেই স্থানটির নাম করন সদরপুর হয়।
সদরপুরের বিভিন্ন গ্রামের নামের শেষে রশি শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। মোগল আমলে রশির মাপে(১০০ হাত)জায়গা জমির পত্তন দেয়া হত বলে রশি শব্দযোগে এলাকার নাম হয়েছে। এর থেকে মোগল যুগে এই এলাকার গুরত্বপূর্ণ অবস্থানের একটা ধারণা পাওয়া যায়। আনন্দ নাথ রায়ের ফরিদপুরের ইতিহাস গ্রন্থে সদরপুরের যে উল্লেখ পাওয়া যায় সেখানে সদরপুরের কিছু এলাকা ফরিদপুর স্টেশন(গোপালপুর, কৃষ্ণপুর প্রভৃতি এলাকা), কিছু এলাকা থানা নগরকান্দা (নয়াগ্রাম,যাত্রাবাড়ী, ঠেঙ্গামারী প্রভৃতি),কিছু এলাকা ভাঙ্গা থানা(সাড়ে সাতরশি, চরব্রাহ্মন্দী, দশহাজার,শ্যামপুর, সদরপুর প্রভৃতি) এর অধীন ছিল। পরবর্তীকালে এই এলাকাগুলো একত্রিত করে সদরপুর সার্কেলের যাত্রা শুরু হয়। পাকিস্তানে আমলে সদরপুরে উন্নয়ন সার্কেলের অফিস ছিল বাইশ রশি জমিদার বাড়ীতে। ১৯৭৬ সালের ১৬ মার্চ অফিস বাইশ রশি জমিদার বাড়ী হতে থানা প্রশিক্ষণকেন্দ্র(T.T. & D.C) তে স্থানান্তর করা হয়। সেসময় সার্কেল অফিসার(উন্নয়ন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন আনন্দ চন্দ্র রায়। ৭ নভেম্বর ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক সদরপুরকে আপগ্রেড থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রথম থানা নির্বাহী অফিসার ছিলেন জনাব মো: আ: ছালাম। ১৯৮৪ সালে সদরপুরকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৩]
অত্র উপজেলায় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন- বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস, ১লা বৈশাখ, বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, যাত্রা-পালা, নাটক, লোকনাট্য, গীতিনাট্য, গাজীর গান, পালা গান, বিচার গান ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়।[৪]
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বড় নদী পদ্মা নদীর অংশ বিশেষ অত্র উপজেলার উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত। দুইজন অন্যতম পীর হযরত মওলানা মুহাম্মদ হাসমত উলস্নাহ্ নক্শ বন্দী মুজদ্দেশী (কুঃ) সাহেবের দরবার শরীফ তথা বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও থানা সদর দপ্তর হতে ৪ মাইল পূর্বে ঢেউখালী ইউনিয়নে চন্দ্রপাড়া পীর সাহেবের পাক দরবার শরীফ অবস্থিত। বাইশ রশি জমিদার বাড়ী অত্র উপজেলায় অবস্থিত। এছাড়াও মনিকোঠা বাজার থেকে খানিকটা দুরে আকোটের চর কাশবন ফরিদপুর জেলার মধ্যে ঐতিহ্য বয়ে আনছে।
এই উপজেলার আয়তন ২৯০ বর্গকিলোমিটার
এই উপজেলা ০১টি থানা, ০৯টি ইউনিয়ন ৮৭টি মৌজা ও ২৯৭টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
নং | নাম | আয়তন (বর্গ কিমি) | জনসংখ্যা (জন) |
---|---|---|---|
০১ | চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন | ||
০২ | আকটেরচর ইউনিয়ন | ||
০৩ | নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন, সদরপুর | ||
০৪ | চর নাছিরপুর ইউনিয়ন | ||
০৫ | ভাষাণচর ইউনিয়ন, সদরপুর | ||
০৬ | কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন, সদরপুর | ||
০৭ | সদরপুর ইউনিয়ন, সদরপুর | ||
০৮ | চর মানাইর ইউনিয়ন | ||
০৯ | ঢেউখালী ইউনিয়ন |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
শিক্ষা এই উপজেলায় ভালো উন্নতি সাধন করেছে। সদরপুরে দুটি কলেজ আছে। সদরপুরে দুইটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আছে। এছাড়াও সদরপুরে আর আরো বেশ কিছু বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।
ধরন | নাম |
---|---|
কলেজ | সদরপুর সরকারি কলেজ |
সদরপুর মহিলা কলেজ | |
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় |
বেগম কাজী জেবুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
মাদ্রাসা | বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আলিয়া কামিল মাদ্রাসা |
সদরপুর ইশাআতুল কুরআন মাদ্রাসা | |
বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | বাইশ রশি শিব সুন্দরী একাডেমি
মোলামের ডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় |
আ
আমিরাবাদ ফজলুল হক পাইলট ইনস্টিটিউশন |
সদরপুর উপজেলায় তিনটি নদী আছে