ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সন্তোষ সাহুখল | ||
জন্ম | ৬ জুন ১৯৮৮ | ||
জন্ম স্থান | কাঠমান্ডু, নেপাল | ||
উচ্চতা | ১.৬৯ মিটার (৫ ফুট ৬+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৭-২০০৩ | মধ্যপুর ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৩-২০০৭ | থ্রি স্টার ক্লাব | ||
এপিএফ ক্লাব | |||
২০০৭-২০১০ | চট্টগ্রাম আবাহনী | ||
২০১০-২০১১ | থ্রি স্টার ক্লাব | ২২ | (১৯) |
২০১১-২০১২ | মনাং মর্স্যাংদী ক্লাব | ১৭ | (১৬) |
২০১২ | থ্রি স্টার ক্লাব | ১১ | (৮) |
জাতীয় দল | |||
২০০৭-২০১৫ | নেপাল | ২৯ | (৪) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
সন্তোষ সাহুখল (নেপালি: सन्तोष साहुखल) (জন্ম ১০ জানুয়ারী ১৯৮৮) নেপাল এর একজন আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড়। তার জন্ম নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে।
সন্তোষের পরিবারের সদস্যরা ফুটবল খেলা পছন্দ করতেন। তাই ছোটবেলায় সন্তোষ যখন অন্যান্য খেলা বাদ দিয়ে ফুটবলে আগ্রহী হন, পরিবারের কেউ তাতে বাধা প্রদান করেন নি। এছাড়াও তার বড় ভাই বাল গোপাল সাহুখলও একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তাই ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার সময় তিনি তেমন কোন বাধা পান নি।
তিনি ৮ বছর বয়সেই ফুটবল খেলা শুরু করেন। সেই সময় তিনি, নিজের বিদ্যালয়ের হয়ে অনেক বিদ্যালয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি তার বাড়ির কাছেই অবস্থিত মধ্যপুর ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন। ফলে তিনি সহজেই ক্লাবে গিয়ে অনুশীলন করতে পারতেন। তিনি যখন ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন তখন তিনি একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু পরে, মধ্যপুর ফুটবল ক্লাবের কোচ সন্তোষের জায়গা বদল করে, তাকে আক্রমণভাগে নিয়ে যান এবং তখন থেকেই সন্তোষ একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
মধ্যপুর ফুটবল ক্লাবে ২০০২ সাল পর্যন্ত থেকে, সন্তোষ সিনিয়র পর্যায়ে এসে ২০০৩ সালে থ্রি স্টার ক্লাব এর সাথে চুক্তি করেন। তিনি এই ক্লাবের হয়ে ৪ বছর খেলেন এবং ২০০৭ সালে ক্লাব ছাড়েন।
থ্রি স্টার ক্লাব ছেড়ে এসে সন্তোষ ২০০৭ সালে এপিএফ ক্লাবে যোগ দেন। কিন্তু দ্রুতই তিনি ক্লাব ছেড়ে যান।
নেপালের দল এপিএফ ছেড়ে, সন্তোষ প্রথমবারের মত দেশের বাইরের কোন দলের সাথে চুক্তি করেন। ২০০৭ সালেই বাংলাদেশের পেশাদার লীগের দল চট্টগ্রাম আবাহনীর সাথে তিনি চুক্তি করেন। দলটির হয়ে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩ বছর খেলে ২০১০ সালে তিনি ক্লাব ছাড়েন। এই সময় তিনি কোন উল্লেখযোগ্য দলীয় সাফল্য লাভ করতে পারেন নি।[১]
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আবাহনী দলের হয়ে ৩ বছর খেলে ২০১০ সালে তিনি আবার তার পুরনো ক্লাব থ্রি স্টার ক্লাবে ফিরে আসেন। দলের হয়ে ২০১০ মার্টায়ারস মেমোরিয়াল এ-ডিভিশন লীগে তিনি ১৯ গোল করেন, এবং সেই লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। এই এক মৌসুম খেলেই তিনি আবার ক্লাব ছাড়েন।
তিনি ২০১১ সালে তখনকার দলবদলের রেকর্ড গরে থ্রি স্টার ক্লাব থেকে মনাং মর্স্যাংদী ক্লাব-এ যোগ দেন। এই দলবদলের মাধ্যমে তিনি সেই সময়ের সর্বোচ্চ বেতনধারী নেপালি খেলোয়াড় হন। ২০১২ সালে, তিনি মনাং মর্স্যাংদী ক্লাবেও ১ বছর থেকে আবার নিজের পুরনো ক্লাব, থ্রি স্টার ক্লাবে ফেরত যান।[২]
২০১১ সালে সন্তোষ ইন্দোনেশিয়া এর ক্লাব শ্রীবিজয়া এফসি এর ট্রায়ালে অংশ নিতে যান। যদিও তিনি ট্রায়ালে সফল হতে পারেন নি।[৩]
২০১৪ সালে, সন্তোষ জাপান এর তৃতীয় বিভাগের ক্লাব গেইনারে তোত্তোরি এর ট্রায়ালে অংশ নিতে যান।[৪]
তিনি ছিলেন নেপালের আক্রমণভাগের প্রধান খেলোয়াড়। ২০০৭ সালে নেপাল নেপাল জাতীয় দলের হয়ে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার অভিষেক হয়। এরপর ২০১৫ সালে অবসরে যাওয়ার পূর্বে তিনি নেপালের হয়ে ২৯ ম্যাচ খেলেন। এর মধ্যে সবকটিতেই তিনি আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি নেপালের হয়ে ৪ গোল করেছেন।