সন্ধ্যা বা সাঁঝ হচ্ছে সূর্যাস্তের ঠিক কয়েক মুহূর্ত পরে গোধূলির সময়ে রাতের ঠিক আগের অবস্থান। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় সন্ধ্যা হচ্ছে সেই সময়টি যা ঠিক সূর্যাস্তের পর ও রাতের ঠিক আগে ঘটে। [১] সন্ধ্যার মধ্যবর্তী পর্যায়ে আকাশ বেশ পরিষ্কার থাকে যখন কৃত্রিম আলোকসজ্জা ছাড়াই বাইরে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত আলো থাকতে পারে। সন্ধ্যার শেষদিকে যখন পৃথিবী এমন একটি বিন্দুতে অবস্থান করে যখন তার কেন্দ্র স্থানীয় দিগন্তের ৬ ডিগ্রি অবস্থান থাকে, সেই সময় বাইরে সাধারণভাবে কোন কিছু পড়া যাবে না, কৃত্রিম আলোকসজ্জা প্রয়োজন হয়। [২] গোধূলি বাসন্ধ্যা শব্দটি সাধারণত জ্যোতির্বিজ্ঞানকেন্দ্রিক সন্ধ্যা বা রাত শুরু হওয়ার আগের গোধূলির অন্ধকার অবস্থানকে বোঝায়।
সন্ধ্যা হচ্ছে সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান গোধূলির একেবারে শেষ মুহূর্ত। রাতের আকাশের নূন্যতম উজ্জ্বলতা খেয়াল করার আগের সময়গত অবস্থানকে গোধূলি বলে। [৪] তবে সন্ধ্যাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়।
প্রাথমিক বা সিভিল সন্ধ্যা: এ সময় সূর্য দিগন্তের নীচে ৬ ডিগ্রিতে অবস্থান করে। সূর্যাস্তের সময় থেকেই এই অবস্থান শুরু হয়। এই সময়ে আকাশের বিভিন্ন বস্তু (যেমন তারা) আলাদা ও আবহাওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে খালি চোখে দৃশ্যমান হতে শুরু হয়। আকাশে এই সময় বিভিন্ন রঙ যেমন কমলা ও লাল দেখা যায়। বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতি এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে তখন ঘরের বাইরে কৃত্রিম আলো প্রয়োজন হতে পারে।
নটিক্যাল সন্ধ্যা: এমন অবস্থায় সূর্য দৃশ্যত সন্ধ্যায় দিগন্তের নীচে ১২ ডিগ্রি অবস্থানে চলে যায়। এই মুহুর্তে আকাশের তারা ও গ্রহগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
জ্যোতির্বিজ্ঞান সন্ধ্যা, যা সরল ভাবে সন্ধ্যা নামে পরিচিত: এ সময় দিগন্তের নীচে সূর্য ১৮ ডিগ্রিতে অবস্থান করে। এ সময় থেকেই সন্ধ্যা শুরু হয়। এই সময়ের পরে সূর্য আর আকাশকে আলোকিত করে না। [২][৫]