সপ্তর্ষি (সংস্কৃত: सप्तर्षि, আইএএসটি: Saptarṣi, পাঞ্জাবি: ਸਪਤਰਿਸ਼ੀ, তামিল: சப்தரிஷி, জাপানি: サプタルシ, তেলুগু: సప్తర్షులు, কন্নড়: ಸಪ್ತರ್ಷಿ চীনা: 卡纳达语, মারাঠি: सप्तर्षी, আরবি: سابتاريشي, ওড়িয়া: ସପ୍ତର୍ଷି) হল প্রাচীন ভারতের সাত ঋষি, যাদের বেদ ও অন্যান্য হিন্দু সাহিত্যে উল্লেখ করা হয়েছে। সংহিতায় তাদের সম্পর্কে উল্লেখ নেই, যদিও ব্রাহ্মণ ও উপনিষদের মত পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে উল্লেখ করা হয়েছে। বেদে এদেরকে বৈদিক ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
সপ্তর্ষির সর্বপ্রাচীন তালিকা জৈমিনীয় ব্রাহ্মণের ২.২১৮–২২১ উক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে: অগস্ত্য, অত্রি, ভরদ্বাজ, গৌতম, জমদগ্নি, বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্র যা বৃহদারণ্যক উপনিষদের ২.২.৬ অনুসারে সপ্তর্ষি- অত্রি, ভরদ্বাজ, গৌতম, জমদাগ্নি, কশ্যপ, বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্র। পরবর্তীতে গোপথ ব্রাহ্মণের ১.২.৮ অনুসারে সপ্তর্ষি হয়ে ওঠে অস্টর্ষি- বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, জমদাগ্নি, গৌতম, ভরদ্বাজ, গুঙ্গু, অগস্ত্য ও কশ্যপ।
উত্তর-বেদিক গ্রন্থে, বিভিন্ন তালিকা প্রদর্শিত হয়; এই ঋষিদের মধ্যে কিছু[১] ব্রহ্মার 'মন-জন্ম পুত্র' (মানসপুত্র) হিসেবে স্বীকৃত ছিল, যা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে পরম সত্তার প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যান্য উপস্থাপনা হল ধ্বংসকারী হিসেবে মহেশ বা শিব এবং সংরক্ষণকারী হিসেবে বিষ্ণু। যেহেতু এই সাতজন ঋষিও প্রাথমিক আট ঋষির মধ্যে ছিলেন, যাদেরকে ব্রাহ্মণ গোত্রের পূর্বপুরুষ বলে মনে করা হতো, তাই এই ঋষিদের জন্ম পৌরাণিকভাবে করা হয়েছিল।
প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান, বিগ ডিপার এর নক্ষত্রকে সপ্তর্ষি বলা হয়, যেখানে সাতটি নক্ষত্র সাতজন ঋষির প্রতিনিধিত্ব করে, যেমন বশিষ্ঠ, মরীচি, পুলস্ত্য, পুলহ, অত্রি, অঙ্গিরা ও ক্রতু। এর মধ্যে আরেকটি নক্ষত্র সামান্য দৃশ্যমান, যা "অরুন্ধতী" নামে পরিচিত। অরুন্ধতি ও বশিষ্ঠ বিবাহিত, এবং একসাথে মিজার দ্বৈত গঠন করে।[২]
কিংবদন্তি অনুসারে, পরবর্তী মন্বন্তরের সাতজন ঋষি হবেন দীপ্তিমত, গলভ, পরশুরাম, কৃপ, দ্রোণি বা অশ্বত্থামা, ব্যাস ও ঋষ্যশৃঙ্গ।