সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী বলতে সফটওয়্যারের দল বা শ্রেণীকে বুঝায়। এটা সফটওয়্যারকে একক ভাবে প্রতিটি প্যাকেজ বুঝার পরিবর্তে এ বিষয়শ্রেণী সমূহের আলোকে বুঝতে সাহায্য করে। ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি সফটওয়্যারের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় করা হয়।
কম্পিউটার সফটওয়্যারকে সাধারণ ক্রিয়া, ধরন, ব্যবহার ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এ হলো তিনটি বৃহৎ শ্রেণিবিন্যাস
গ্নু প্রকল্প স্বত্ত্বাধিকার অবস্থা বিবেচনা করে সফটওয়্যারকে এভাবে শ্রেণীবদ্ধ করে: ফ্রি সফটওয়্যার ও মালিকানাধীন সফটওয়্যার। এছাড়াও সফটওয়্যারকে স্বত্ত্বাধিকার বিবেচনায় নানাভাবে বিভক্ত করা যায় যেমন- ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার, পাবলিক ডোমেইন সফটওয়্যার, কপিলেফটকৃত সফটওয়্যার, শিথিল অনুমতিসূচক নিবন্ধিত সফটওয়্যার, গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে নিবন্ধিত সফটওয়্যার, গ্নু অপারেটিং সিস্টেম, মালিকানাধীন সফটওয়্যার, ফ্রিওয়্যার, শেয়ারওয়্যার, ব্যক্তিগত সফটওয়্যার, বাণিজ্যিক সফটওয়্যার ইত্যাদি।[১]
ফ্রি সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যাতে ব্যবহারকারীকে তা ব্যবহারের, অধ্যয়নের বা পরিবর্তনের পূর্ণ স্বাধীনতা দান করা হয়। ব্যাপক অর্থে এর মানে হচ্ছে সোর্স কোড উন্মুক্ত করে দেয়া। ফ্রি সফটওয়্যারের অর্থ মানে এ নয় এটি ব্যবহারে কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না, এটি মূল্যযুক্ত বা বিনামূল্যের দুটোই হতে পারে। গ্নু/লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমসমূ হলো ফ্রি সফটওয়্যার।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যার সোর্স কোড নির্দিষ্ট ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে সবার জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এটি ফ্রি সফটওয়্যারেরই একটি অন্য প্রতিশব্দ। যদিও ফ্রি সফটওয়্যার শব্দগুচ্ছ ব্যবহারকারীরা দুটোকে আলাদা করতে চান, সংজ্ঞা অনুযায়ী দুটো একই বস্তু।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যার নামেও পরিচিত। এরা হচ্ছে ফ্রি নয় এমন সফটওয়্যার, যার সোর্স কোড ব্যবহারকারী থেকে লুকিয়ে রাখা হয়, অর্থাৎ ব্যবহারকারীকে দেখতে দেয়া হয় না। স্বত্ত্বাধিকার ও পেটেন্ট রক্ষায় এর মূল উদ্দেশ্য।