সফিয়া ওয়াজির | |
---|---|
-নির্বাচিত সদস্য মেরিম্যাক ১৭তম জেলা থেকে | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০১৮ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৯১ (বয়স ৩২–৩৩) আফগানিস্তান |
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক পার্টি |
জীবিকা | কর্মী |
ধর্ম | ইসলাম |
সফিয়া ওয়াজির (দারি: صفية وزیر; ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[১]) তিনি একজন আফগান-আমেরিকান সমাজ সেবক এবং রাজনীতিবীদ। তিনি নিউ হ্যাম্পসায়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর একজন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য। ওয়াজিরই প্রথম কোন প্রাক্তণ শরনার্থী যিনি নিউ হ্যাম্পসায়ারে কোন দায়িত্ব পালন করছেন।
ওয়াজির এবং তার পরিবার তালেবানদের শাসন শুরু হওয়ার আগে আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে বসবাস করতেন।[১] তিনি ছোট থাকা অবস্থাতেই তার পরিবার আফগানিস্তান ত্যাগ করে। এরপর উজবেকিস্তানে ১০ বছর বসবাস করে শরনার্থী হিসেবে। এসময় সে উজবেক ও রাশিয়ান ভাষা রপ্ত করে। উজবেকিস্তান থেকে তারা নিউ হ্যাম্পসায়ারের কনকর্ডে স্থায়ী হয় ২০০৭ সালে।[২] সে অল্প ইংরেজি জানতো। অভিধান ঘেটে ঘেটে ইংরেজি পড়া শুরু করল। আর পাড়া প্রতিবেশিরা কীভাবে কথা বলতো তা খুব ভালো করে শোনার চেষ্টা করতো।[২] কিন্তু তার পরিবার ইংরেজিতে কথা বলতে পারতো না। লুথেরান সংগঠন থেকে তারা অনুবাদক ঠিক করে নিল। প্রায়ই তারা শুধু নিউ হ্যাম্পসায়ারে ভাত খেত।[১]
নিউ হ্যাম্পসায়ারে গিয়ে পুনরায় সে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ২০১১ সালে, ২০ বছর বয়সে সে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করে। এরপর সে নিউ হ্যাম্পসায়ার টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়। নৈশ কোর্সে ভর্তি হয় যেন সে তার পরিবার চালাতে পারে। কিন্তু এই জন্যে তার উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি অর্জনে ৫ বছর লেগে যায়।[১] কমিউনিটি কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় সে ডিগ্রি অর্জন করে।[২]
তার বাবা-মায়ের চাপে সে আফগানিস্তানে বিয়ে করার জন্য ফিরে আসে এবং স্বামীকে নিয়ে আবার কনকর্ডে পারি জমায়।[৩]
ওয়াজির কনকর্ডের সম্ভ্রান্ত সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করা শুরু করল; খুব দ্রুত সে কমিউনিটি একশন প্রোগ্রামের সভাপতি হয়ে গেল। এরপর হেড স্টার্ট পলিসি কাউন্সিলের সহ-সভানেত্রী হন।[৪] ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়াজিরের একজন বন্ধু তাকে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে বলল। কিন্তু ওয়াজিরের এ ব্যপারে তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু বাবা-মায়ের আগ্রহে ওয়াজির রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিল।[৫] ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, নিউ হ্যাম্পসায়ারের আইনসভার ডেমোক্রেটিক প্রার্থী পদে ৬৬ বছর বয়সী ডিক পেটেনকে পরাজিত করেন।[৬] এরপরই ওয়াজির প্রথম কোন প্রাক্তন শরনার্থী হিসেবে নিউ হ্যাম্পসায়ারের স্টেট হাউসের জন্য নির্বাচিত হন।[৭]
২০১৮ সালে বিবিসি "১০০ নারী"র তালিকায় ওয়াজিরকে স্থান দেয়।[৮]
২০১৩ সালে সে আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করে। তার দুটি সন্তান রয়েছে।[২]