ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম |
যোধকান, সিরসা, হরিয়ানা, ভারত | ১১ জুলাই ১৯৯০||
উচ্চতা | ১.৭১ মি | ||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||
ক্লাব তথ্য | |||
বর্তমান ক্লাব | ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স, দিল্লি | ||
সিনিয়র কর্মজীবন | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
হকি হরিয়ানা | |||
ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স, দিল্লি | |||
জাতীয় দল | |||
২০০৮– | ভারত | ২৪৭ | (০) |
পদক রেকর্ড |
সবিতা পুনিয়া (জন্ম ১১ই জুলাই ১৯৯০) হলেন একজন ভারতীয় ফিল্ড হকি খেলোয়াড়। তিনি ভারতের মহিলা জাতীয় ফিল্ড হকি দলের সদস্য। তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা এবং গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন। ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তাঁর অসাধারণ এবং অসামান্য প্রদর্শনের কারণে তিনি "ভারতের মহান প্রাচীর" নামেও পরিচিত।[১][২][৩][৪][৫][৬][৭] ভারতীয় মহিলা হকি দল টোকিও অলিম্পিক ২০২০-তে সামান্য ব্যবধানের জন্য ব্রোঞ্জ পদক পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
সবিতা পুনিয়া হরিয়ানার সিরসা জেলার জোধকান গ্রামে ১৯৯০ সালের ১১ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। উন্নত শিক্ষার জন্য তাঁকে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছিল। তিনি স্পোর্টস একাডেমিতে ভর্তি হন। হকি খেলার জন্য তাঁকে তাঁর দাদু মহিন্দর সিং উৎসাহিত করেছিলেন। সবিতা হিসারে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) কেন্দ্রে যোগদান করেন।[৮] তাঁর প্রথম বছরগুলিতে সুন্দর সিং খারব তাঁকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এবং পরে আজাদ সিং মালিক প্রশিক্ষণ দেন।[৯] তিনি প্রথমে খেলার প্রতি খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না, কিন্তু পরে, যখন তাঁর বাবা তাঁর কিটের জন্য বিশ হাজার টাকা খরচ করেন, তখন তিনি খেলাটিকে নতুন আলোতে দেখতে শুরু করেন এবং এটি সম্পর্কে আন্তরিক হয়ে ওঠেন। ২০০৭ সালে, লখনউতে, সবিতাকে একটি প্রথম জাতীয় শিবিরের জন্য বাছাই করা হয়েছিল, এবং তিনি একজন শীর্ষ গোলরক্ষকের সাথে প্রশিক্ষণ নেন।[১০]
২০০৮ সালে, নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানিতে চার দেশের ইভেন্টে সবিতা তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করেন।[১১] ২০১১ সালে তাঁর সিনিয়র আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১০০টিরও বেশি খেলায় অংশ নিয়েছেন। ২০০৭ সালে, ১৭ বছর বয়সেই তিনি জাতীয় দলের জন্য খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি জুনিয়র এশিয়া কাপে দলের সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০১৩ সালে, তিনি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অষ্টম মহিলা এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন যেখানে তিনি পেনাল্টি শুট-আউটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য গোল বাঁচিয়েছিলেন এবং ভারতের জন্য ব্রোঞ্জ পদক জয়ের পথ প্রশস্ত করেছিলেন। তিনি ২০১৪ ইনছন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী দলের একজন সদস্য ছিলেন।
২০১৬ সালে, তিনি দুর্দান্ত প্রদর্শন করেন। শেষ ১ মিনিটে, জাপানের বিরুদ্ধে, পেনাল্টি কর্নারের বন্যা সহ্য করে ভারতকে ১-০ তে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি ৩৬ বছর পর দলকে রিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করেছিলেন। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে, তিনি ফাইনালে চীনের বিরুদ্ধে একটি আশ্চর্যজনক গোল বাঁচিয়েছিলেন। তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার এবং দলের জন্য, লন্ডনে ২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।[১২]
তিনি নিউজিল্যান্ডের হকস বে কাপে কার্যকরীভাবে প্রদর্শন করেন এবং নিজের দলকে টুর্নামেন্টে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করতে সহায়তা করেন।[১৩]
তাঁর অসামান্য দক্ষতা মহিলা ভারতীয় দলকে মহিলা হকি ওয়ার্ল্ড লিগ রাউন্ড ২-এর ফাইনাল ম্যাচে চিলিকে হারাতে সাহায্য করেছিল।[১৪]
২০১৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে, সবিতা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁকে হরিয়ানা সরকারের পদক লাও, চাকরি পাও প্রকল্পের অধীনে একটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা পাননি। এক বছর পরেও, তিনি বলেছিলেন যে, কিছুই পরিবর্তন হয়নি।
তিনি ২০১৫ সালে হকি ইন্ডিয়ার বার্ষিক পুরস্কারে বলজিৎ সিং বছরের সেরা গোলরক্ষক পুরস্কারে ভূষিত হন, আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের হয়ে তাঁর অবদানের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। খেলাধুলায় অবদানের জন্য তিনি নগদ ১ লাখ টাকা পুরস্কারও পেয়েছেন।[৯]