ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সমিত রোহিত প্যাটেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লেস্টার, লিচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড | ৩০ নভেম্বর ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো বাম-হাত অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | অখিল প্যাটেল (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৫১) | ২৬ মার্চ ২০১২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ নভেম্বর ২০১৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২০৭) | ১৮ আগস্ট ২০০৮ বনাম স্কটল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২–বর্তমান | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | রাজশাহী কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮-বর্তমান | ইসলামাবাদ ইউনাইটেড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ |
সমিত রোহিত প্যাটেল (গুজরাটি: સમિત પટેલ; জন্ম: ৩০ নভেম্বর, ১৯৮৪) লিচেস্টারশায়ারের লিচেস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এছাড়াও, রাজশাহী কিংস ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেড দলের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ডানহাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী সমিত প্যাটেল।
তার ভাই অখিল প্যাটেলও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলছেন। আগস্ট, ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় তার। তবে শারীরিক সক্ষমতাজনিত কারণে দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর, দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০১১ সালে ওডিআই দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকেও অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। এরপর ইংল্যান্ডের ৬৫১তম টেস্ট খেলোয়াড়ের ক্যাপ লাভ করেন শ্রীলঙ্কা সফরে। ২৬ মার্চ, ২০১২ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে সমিত প্যাটেলের।
৩০ নভেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে লিচেস্টারে সমিত প্যাটেলের জন্ম।[১][২] রোহিত ও সেজাল দম্পতির সন্তান তিনি। ভারতের গুজরাত থেকে পরিবারের বংশোদ্ভূত। সেখানে তাদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। সমিতের ভাই অখিল প্যাটেল ২০০৯ সাল থেকে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলছেন। ইস্টউড কম্প্রিহেনসিভ স্কুলে অধ্যয়নের পর উত্তর নটিংহ্যামশায়ারের ওয়ার্কশপ কলেজে পড়াশোনা করেছেন সমিত প্যাটেল। সেখানে পাঁচ মৌসুম প্রথম একাদশের পক্ষে খেলেছেন তিনি। কলেজে অধ্যয়নকালে প্যাটেল অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। রেপটন, ম্যানচেস্টার গ্রামার স্কুল, শ্রিউসবারি স্কুল সহ মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় এনে দেন।
১৬ বছর বয়সে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম-শ্রেণী ও লিস্ট এ খেলাগুলোয় দলের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে অংশগ্রহণ করেন সমিত প্যাটেল। ইংরেজ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ওভারে দুই উইকেট ও মেইডেন লাভ করেন। ২০০৬ সালে ওরচেস্টারের নিউ রোডে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।
২০০৭ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে চার সেঞ্চুরি সহযোগে ৮৮৭ রান ও ১০ উইকেট নিয়ে কাউন্টি দলটির বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ২০০৮ সালে প্যাটেল নটিংহ্যামশায়ারের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অগ্রযাত্রায় দৃঢ়প্রত্যয়ীভাব নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ডারহামের বিপক্ষে সেঞ্চুরিসহ তিনটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। ২০০৯ সালে ডারহাম শিরোপা জয় করলেও নটিংহ্যামশায়ার রানার-আপ হয়।
১৫ খেলায় অংশ নিয়ে সমিত প্যাটেল ৩০.৯৫ গড়ে ৭১২ রান তুলে ক্লাবের পক্ষে ঐ বছরে ৪র্থ সেরা ব্যাটসম্যান হন। সর্বোচ্চ রান তুলেন ৯৫।[৩] এছাড়াও, ৪৭.৮৪ গড়ে ৩২ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, দুইবার পাঁচ উইকেট পান।[৪] জানুয়ারি, ২০১০ সালে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে তিন বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেহম্যান ক্রিকেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য আংশিক অর্থ সহায়তা পান। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে অবস্থানকালে তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শারীরিক সক্ষমতার দিকে নজর দেয়া।[৫]
২০১০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে নটিংহ্যামশায়ার শিরোপা লাভে সক্ষমতা দেখালেও প্যাটেল স্বল্প ভূমিকা রাখেন। ১৬ খেলায় ২৬.৭০ গড়ে ৬৪১ রান তুলে ক্লাবের ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। ঐ প্রতিযোগিতায় একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি।[৬] জুলাইয়ে সমারসেটের বিপক্ষে ১৮৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেললেও আলফন্সো থমাসের কল্যাণে পরাজয় এড়াতে পারেনি তার দল।[৭]
২৯ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সমিত প্যাটেল খেলায় অবিস্মরণীয় বোলিং প্রদর্শন করে দলকে জয় এনে দেন।
১৮ আগস্ট, ২০০৮ তারিখের স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার মাধ্যমে ওডিআই অভিষেক ঘটে সমিত প্যাটেলের। নীল ম্যাককলাম তার প্রথম উইকেট শিকারে পরিণত হন। সাত ওভার বোলিং করে ১/২২ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান তিনি। এছাড়াও একটি ক্যাচ নেয়াসহ স্কটিশ অধিনায়ক রায়ান ওয়াটসনকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন তিনি।[৮]
এরপর থেকে ইংল্যান্ডের ওডিআই দলের সদস্যরূপে খেলতে থাকেন। ঐ গ্রীষ্মের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। প্রথম ওডিআই হেডিংলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় তিনি হার্শেল গিবসের মূল্যবান উইকেট পান। ২৯ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওডিআইয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সমিত প্যাটেল খেলায় অবিস্মরণীয় বোলিং প্রদর্শন করে দলকে জয় এনে দেন। ৫/৪১ ও ৪৯ বলে ৩১ রান তুলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান তিনি।
সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সালে প্যাটেল ও অন্য ছয়জন খেলোয়াড়কে ওডিআইয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ধরে উদ্দীপনামূলক চুক্তির কথা ঘোষণা করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।[৯]
২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওডিআইয়ে ২/৭৮ পান ও বলের সাথে তাল মিলিয়ে ২৮ রান তুলেন। খেলায় তার দল ১৫৮ রানে হেরে যায়। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে ০/৩৭ পেলে দল আবারো পরাজিত হয়। তৃতীয় ওডিআইয়েও বল হাতে ব্যর্থ হন। পরের খেলায় প্যাটেল তার তৃতীয় উইকেটের সন্ধান পান। কিন্তু, ডিএল পদ্ধতিতে দল ১৯ রানে হেরে যাওয়াসহ সিরিজে ০-৪ এ পিছিয়ে পড়ে। সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত খেলায়ও ইংল্যান্ড হেরে যায়।
জুন, ২০১১ সালে ইংল্যান্ড দল সফরকারী শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়। একটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ও পাঁচটি ওডিআইয়ে গড়া সিরিজে সমিত প্যাটেলকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মিলার তার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্তব্য করেন যে, চমৎকার শারীরিক সক্ষমতা আনয়ণ ও কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে দলে রাখা হয়েছে।[১০]
২৫ জুন তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন সমিত প্যাটেল। খেলায় তিনি রানবিহীন অবস্থায় রান আউটের কবলে পড়েন ও দুই ওভার বোলিং করলেও সফলতা পাননি। খেলায় ইংল্যান্ড নয় উইকেটের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।[১১] ওডিআই সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেন তিনি। এরফলে, নভেম্বর, ২০০৮ সালের পর প্রথম ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ ছিল তার।[১২] খেলায় তিনি আট রান ও ১/৪৯ পেয়েছিলেন।[১৩] এছাড়াও, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ডিএল পদ্ধতিতে ইংল্যান্ড দল ১১ রানে জয় পায়। খেলায় তিনি একটি উইকেট ও ১৩ রান তুলেন।
২০১১ সালে নিজ মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন সমিত প্যাটেল। সিরিজের প্রথম খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম খেলায় ১/৪২ লাভ করেন। ঐ খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়েছিল। দ্বিতীয় খেলায় ইংল্যান্ড সাত উইকেটের ব্যবধানে জয়লাভ করলেও তিনি এক ওভারে এগারো রান দেন।
সিরিজের পঞ্চম খেলায় অংশ নেন। ব্যাটহাতে মাঠে না নামলেও বল হাতে ৫৫ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি। তবে, খেলায় তার দল ছয় উইকেটে জয় পায়।[১৪][১৫]
অক্টোবরে ভারত সফরে পাঁচটি ওডিআই ও একমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নেন। সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে ইংল্যান্ড দল পরাজিত হলেও তিনি ১৬০ রান সংগ্রহ করেন ও ৪৫.৫০ গড়ে চার উইকেট তুলে নেন।[১৬]
প্রথম ওডিআইয়ে তিনি ১/৪৯ ও ব্যাট হাতে ১৬ রান তুলেন। দ্বিতীয় খেলায় ৪২ রান করলেও বল হাতে কোন উইকেট পাননি। খেলায় ইংল্যান্ড আট উইকেটে হেরে যায়। তৃতীয় ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান। মাত্র ৪৩ বলে ৭০ রান তুলে পূর্বেকার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪২ অতিক্রম করেন তিনি।[১৭] চতুর্থ ওডিআইয়ে ব্যাট ও বল হাতে ব্যর্থ হন। এ খেলায় আবারও ইংল্যান্ড দল আরেকটি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। পঞ্চম ও চূড়ান্ত খেলায় তিন উইকেট ও ১৮ রান তুলেন তিনি।
২০১২ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের নিলামে প্রাথমিক তালিকায় ছিলেন সমিত প্যাটেল। কিন্তু, ইংরেজ ঘরোয়া ক্রিকেট কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের সাত খেলায় অনুপস্থিত থাকার সমূহ সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেন।[১৮]
২০১২ সালে ইংল্যান্ড লায়ন্সের সদস্যরূপে জানুয়ারির শেষদিক থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির প্রথমদিক পর্যন্ত একদিনের সিরিজ খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে যান।[১৯] পাঁচ খেলার সবগুলোয় তার অংশগ্রহণ ছিল। সর্বমোট ১২৮ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন ৫০।[২০] ১২ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীতে পরিণত হন তিনি।[২১]
ফেব্রুয়ারিতে ওডিআই দল পাকিস্তানের মুখোমুখি হলে তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[২২] প্রথম ওডিআইয়ে অপরাজিত ১৭ ও ৩/২৬ নিলে ইংল্যান্ড ১৩০ রানে জয় পায়। পরের খেলায়ও ইংল্যান্ড দল ২০ রানে জয়লাভ করে। খেলায় প্যাটেল ২/৫১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। তৃতীয় খেলায় তাকে ব্যাট হাতে মাঠে নামার প্রয়োজন পড়েনি। ইংল্যান্ড নয় উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়। চতুর্থ খেলায় আবারও নয় উইকেটের জয় পায়। তবে, এ খেলায় তিনি কোন উইকেট পাননি। ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড ৪-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। প্যাটেলকে উৎসাহব্যঞ্জক চুক্তিতে নিয়ে যায় ইসিবি কর্তৃপক্ষ।[২৩] টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায় ইংল্যান্ড দল।
মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে ইয়ন মর্গ্যান আঘাতের কারণে বাদ পড়েন ও প্যাটেলকে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে মনোনয়ন দেয়া হয়।[২৪] শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে উভয় টেস্টে অংশ নেন। প্রথম টেস্টে দল ৭৫ রানে হারে। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২/২৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে কোন উইকেট পাননি। খেলায় তিনি দুই ও নয় রান তুলেন এবং উভয় ইনিংসেই স্পিনারদের শিকারে পরিণত হন।[২৫][২৬] দ্বিতীয় খেলায় ইংল্যান্ড দল ৮ উইকেটে বিজয়ী হয়। ২৯ রান তোলার পর প্রথম ইনিংসে ০/৩২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট নিয়ে খেলা ইংল্যান্ডের অনুকূলে নিয়ে আসেন।[২৭]
এপ্রিলে ইংরেজ ক্রিকেট মৌসুমে খুব কম রান তুলে যাত্রা শুরু করেন। চার ইনিংসে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।[২৮]
২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন তিনি। চতুর্থ খেলায় কোন উইকেট পাননি। এছাড়াও ব্যাট হাতে মাঠে নামার প্রয়োজন পড়েনি তার। তাস্বত্ত্বেও ইংল্যান্ড আট উইকেটে জয় পেয়েছিল। শেষ ওডিআইয়ে ০/১৭ লাভ করেন। ডিএল পদ্ধতিতে ইংল্যান্ড সাত উইকেটে জয় পায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় অংশ নেন সমিত প্যাটেল। বল হাতে ০/৪৭ পাবার পর ব্যাট হাতে ৪৫ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। কিন্তু তার সংগৃহীত রান দলের পরাজয় এড়াতে ভূমিকা রাখতে পারেনি। পরের খেলায় ইংল্যান্ডের পক্ষে জয়সূচক ইনিংস খেলেন। অপরাজিত ১৩ রান তুলে ইংল্যান্ডকে চার উইকেটের জয় এনে দেন। চতুর্থ ওডিআইয়ে ৬ উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড দল। বেশ মিতব্যয়ী বোলিং করেন তিনি। উইকেট না পেলেও মাত্র ২৮ রান দেন। সিরিজের শেষ খেলায় কেবল নয় রান তুলেন। ঐ খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা সাত উইকেটের জয় তুলে নেয়।
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওভারে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট দখল করেন। খেলায় ইংল্যান্ড দল ১১৬ রানে জয়ী হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বেশ রান দেন। ৩৮ রান দিলেও কোন উইকেটের দেখা পাননি। খেলায় ইংল্যান্ড ১৫ রানে পরাজিত হয়।
প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের শেষ খেলায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান তুললেও শ্রীলঙ্কার কাছে ১৯ রানে পরাজিত হলে সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।
২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলেন। তবে, ব্যাট ও বল হাতে বেশ কাঠ-খড় পুড়তে হয়েছে তাকে। প্রথম ইনিংসে ১/৯৬ পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোন উইকেট পাননি। এছাড়াও, খেলায় তিনি মাত্র দশ রান তুলতে পেরেছিলেন। ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড নয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। ২৬ রান তুললেও কোন উইকেট পাননি। তবে, খেলায় ইংল্যান্ড দশ উইকেটের শোচনীয় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বল করেননি তিনি। তবে, ৩৩ রান তুলে দলের বিশাল সংগ্রহে কিছুটা অবদান রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র এক ওভার বোলিং করেন। খেলায় তার দল আট উইকেটে জয় পায়।
প্রথম ওডিআইয়ে অপরাজিত ৪৪ রান তুলেন। খেলায় ইংল্যান্ড নয় রানে বিজয়ী হয়। পরের খেলায় অপরাজিত ৩০ রান তুললেও ইংল্যান্ড মাত্র ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায়। খেলায় দল পরাজিত হয়েছিল। এর পরের খেলায় শূন্য রানে আউট হন সমিত প্যাটেল। এ খেলায়ও তার দল সাত উইকেটে পরাজিত হয়। পরবর্তী খেলায় সীমিত ভূমিকা রাখেন। এক রান তুলেন ও মাত্র তিন ওভার বোলিং করেন। আবারও ইংল্যান্ড দল পাঁচ উইকেটে পরাজয়বরণ করে। সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় ইংল্যান্ড জয় পায়।
২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি টি২০ আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেন। প্রথম খেলায় প্যাটেল ০/১৭ বোলিং করলেও তার দল ৪০ রানে জয় পায়। ফলশ্রুতিতে পরবর্তী খেলায়ও তার অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু ঐ খেলায় তিনি বেশ রান খরচ করেন। দুই ওভারে ২০ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে ছয় রানে রান আউটের শিকার হন ও খেলায় নিউজিল্যান্ড ৫৫ রানে ইংল্যান্ডকে পরাভূত করে।
তিন বছর ইংল্যান্ড টেস্ট দল থেকে দূরে থাকার পর ২০১৫-১৬ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। অক্টোবর, ২০১৫ সালে জাফর আনসারী হাতে আঘাত পেলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন।[২৯] সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ২/৮৫ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এরপর ব্যাট হাতে ৪২ রান তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১/৭৯ লাভ করলেও শূন্য রানে আউট হন সমিত প্যাটেল। ঐ খেলায় ইংল্যান্ড দল ১২৭ রানে পরাভূত হয়েছিল।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ওডিআই ও টি২০ দলে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জনের পর মার্চ-এপ্রিল, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। তবে, শারীরিক সক্ষমতাজনিত বিষয়ে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। ইংরেজ ক্রিকেট পরিচালক হিউ মরিসের অভিমত, সমিত প্যাটেল প্রতিভাধর ক্রিকেটার হলেও শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত শর্তাবলীর বিষয়ে প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। দূর্ভাগ্যবশতঃ সমিতকে তার কাউন্টি দল নটিংহ্যামশায়ার কর্তৃপক্ষ কিংবা জাতীয় দল নির্বাচক ও ইংল্যান্ড ব্যবস্থাপনা, শক্তিমত্তা ও শর্তাবলী বিষয়ক দলের প্রধান জিওফ মিলারের কাছ থেকে কোনরূপ সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়নি। এ প্রেক্ষিতে আমাদের অন্য কোন বিকল্প চিন্তা ছিল না; যদিও এ সফরে তাকে নির্বাচিত করা যেতে। তার শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি ইংল্যান্ড লায়ন্সের পক্ষে প্রথম কার্যে ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে জানিয়ে দেয়া হয়।[৩০]
এ সকল বিপত্তি থাকা স্বত্ত্বেও এপ্রিল, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের ২৫ সদস্যের দক্ষতাবিষয়ক দলে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।[৩১][৩২] নিজের শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ে উন্নয়ন ঘটানোর পর প্যাটেল বলেন, এরফলে আমি বেশকিছু কঠিন সত্যকে উপলদ্ধি করতে পেরেছি; আমি পুনরায় এ ধরনের অবস্থানে ফিরে যেতে চাচ্ছি না। শারীরিক সুস্থতার অভাবে আমি নির্বাচিত হতে পারিনি।[৩৩]
২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলে তাকে রাখা হয়। জিওফ মিলার মন্তব্য করেন যে, বিষয়টি আমাদেরকেসহ তাকে মর্মাহত করেছে। কিন্তু আমরা নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে প্রয়োগ করবো ও খেলোয়াড়দেরকে অবশ্য তা মেনে চলতে বাধ্য। তিনি এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ও তা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু, তিনি এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেননি যা বর্ণিত রয়েছে।[৩৪] এক বছর পর সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে ইসিবির সাথে মঞ্জুরি ও ক্রমবর্ধমান চুক্তি করা হলেও ২০০৯-১০ মৌসুমে তা নবায়ণ করা হয়নি।[৩৫] তারপরও তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টিতে ছিলেন। কিন্তু, শারীরিক বিষয়ের কারণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। জানুয়ারি, ২০১০ সালে মিলার মন্তব্য করেন যে, তিনি জানেন যে তাকে কি করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি কেবলমাত্র তার। তাকে চলে যেতে হবে ও কি প্রয়োজনীয় তা বুঝতে হবে।
২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়। এতে তাকেও রাখা হয়। ইংল্যান্ডের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মন্তব্য করেন যে, প্যাটেলের খেলার ধরন অনেকটাই ভারতীয় উপমহাদেশের পিচের সাথে মানানসই। কিন্তু, ক্রমাগত শারীরিক সমস্যার কারণে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দলে রাখা হয়নি। এমনকি, আঘাতের কারণে দলের বাইরে চলে যাওয়া খেলোয়াড়দের স্থলাভিষিক্ত করা হয়নি।[৩৬]