সমুদ্রগুপ্ত

সমুদ্রগুপ্ত
'গুপ্ত সম্রাট
মহারাজাধিরাজ
মহাপরাক্রমাঙ্ক
সর্বরাজোচ্ছেত্তা
অপ্রতিরথ
বিক্রমাংক
কবিরাজ
ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা
রাজত্ব৩৩৫ - ৩৮০
রাজ্যাভিষেক৩৩৫
পূর্বসূরিপ্রথম চন্দ্রগুপ্ত
উত্তরসূরিদ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
বংশধরদ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
রাজবংশগুপ্ত
পিতাপ্রথম চন্দ্রগুপ্ত
মাতাকুমারদেবী
ধর্মহিন্দু
তিনটি প্রধান শাসকদের বিজিত গুপ্ত সাম্রাজ্যের মানচিত্র

সমুদ্রগুপ্ত (রাজত্বকাল খ্রিস্টীয় ৩৩৫৩৮০ অব্দ) ছিলেন গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের পুত্র, উত্তরাধিকারী এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা। শুধু গুপ্ত বংশেরই নন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক শাসক। সম্ভবত তিনি পিতার প্রথম সন্তান ছিলেন না, কিন্তু শৌর্য ও বীর্যের কারণে প্রথম চন্দ্রগুপ্ত তাকেই উত্তরসূরি নির্বাচিত করেন। সমগ্র উত্তর ভারতকে নিজের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে আনেন ও দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ অঞ্চল অবধি রাজ্যসমূহকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের করদ রাজ্যে পরিণত করেছিলেন সমুদ্রগুপ্ত। সিংহলের রাজাও তার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেছিলেন।

সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে তার ও তার রাজ্যজয় ও রাজত্বকাল সম্পর্কে বহু তথ্য জানা যায়। সমুদ্রগুপ্তের সমসাময়িক মুদ্রাগুলিতে তার শিকাররত ও বীণাবাদনরত মূর্তি দেখে অনুমিত হয় যে তিনি ছিলেন একাধারে মৃগয়াপ্রিয় ও সংগীতরসিক। পাটলিপুত্র ছিল তার রাজধানী। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পৃষ্ঠপোষক হলেও সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন পরমতসহিষ্ণু। সেযুগের বিশিষ্ট বৌদ্ধ পণ্ডিত বসুবন্ধু ছিলেন তার মন্ত্রী ও সুহৃদ।

সমুদ্রগুপ্তের জীবন ও রাজত্বকালের ইতিহাস মূলত জানা যায় তার চারটি শিলালেখ থেকে। এগুলি হল – এলাহাবাদ প্রশস্তি, মধ্যপ্রদেশের মালবে স্থিত এরানে প্রাপ্ত শিলালেখ, নালন্দায় প্রাপ্ত তাম্রলেখ (রাজত্বকালের পঞ্চম বর্ষে রচিত) ও গয়ায় প্রাপ্ত তাম্রলেখ (রাজত্বকালের নবম বর্ষে রচিত),এই শিলালিপিগুলির ঐতিহাসিকতা আধুনিক ঐতিহাসিকগণ স্বীকার করেন। এছাড়া সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা থেকে তার রাজত্বের বহু তথ্য জানা যায়; বৌদ্ধ গ্রন্থ আর্যমঞ্জুশ্রীকল্প-এও তার নামোল্লেখ করা হয়েছে ও অন্যান্য তথ্য আলোচিত হয়েছে।

সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ও লিচ্ছবি রাজকন্যা কুমারদেবীর সন্তান। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এলাহাবাদ প্রশস্তির ২৯ সংখ্যক ছত্রে সমুদ্রগুপ্তকে ‘লিচ্ছবি-দৌহিত্র’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তৎসঙ্গে এও বলা হয়েছে যে তিনি ছিলেন লিচ্ছবি বংশের কন্যা মহাদেবী (মহারানি) কুমারদেবীর পুত্র (‘মহাদেব্যাং কুমারদেব্যামুপন্তস্য মহারাজাধিরাজ শ্রীসমুদ্রগুপ্তস্য’), এলাহাবাদ প্রশস্তি ছাড়াও গুপ্ত যুগের অন্যান্য শিলালিপিগুলিতেও এই তথ্য উল্লিখিত আছে।[]:৫৯৩

সিংহাসনারোহণ

[সম্পাদনা]

এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে জানা যায়, প্রথম চন্দ্রগুপ্ত তার একাধিক অপত্যের মধ্য থেকে সমুদ্রগুপ্তকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন। তার সিংহাসনারোহণের বছর কোনটি – এই প্রশ্নে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী কোনও কারণ ব্যতিরেকেই ৩২৫ খ্রিষ্টাব্দকে সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যারোহণের বছর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। []:৫৯৮ ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে ৩৪০ থেকে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোনও এক সময়ে সমুদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করেন। অধিকাংশ ঐতিহাসিক এই মতেরই অনুসারী। ডক্টর আর কে মুখোপাধ্যায়ের মতে, সমুদ্রগুপ্ত ৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে সিংহাসনে বসেন। এ-কালের ঐতিহাসিকগণ ৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দকেই সমুদ্রগুপ্তের সিংহাসনারোহণের বছর রূপে চিহ্নিত করে থাকেন।[]:৫৯৮

এলাহাবাদ প্রশস্তির বিবরণী অনুযায়ী, প্রথম চন্দ্রগুপ্ত প্রকাশ্যে সমুদ্রগুপ্তকে উত্তরাধিকার নির্বাচিত করলে তার ‘তুল্য-কুলজ’ বা আত্মীয়বর্গ অসন্তুষ্ট হন। [] এই কারণে অনেকে মনে করেন প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর সিংহাসনকে কেন্দ্র করে কোনও জ্ঞাতিবিরোধের সূত্রপাত ঘটে থাকবে। এই সময়কার কয়েকটি স্বর্ণমুদ্রায় কচ নামে এক রাজার উল্লেখ পাওয়া যায়। কোনও কোনও ঐতিহাসিক মনে করেন, কচ ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের প্রতিদ্বন্দ্বী ভ্রাতা এবং তাকে হত্যা করেই সমুদ্রগুপ্ত সিংহাসন অধিকার করেছিলেন। তবে অপর এক শ্রেণির মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ও ঐতিহাসিকেরা সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা ও কচের মুদ্রার সাদৃশ্য দর্শিয়ে উভয় ব্যক্তিকে একই ব্যক্তি বলে প্রমাণ করতে প্রয়াসী। তাদের বক্তব্য সমুদ্রগুপ্তেরই পূর্বনাম ছিল কচ এবং পরে তিনি ‘সমুদ্রগুপ্ত’ নাম ধারণ করেন। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই মত সমর্থন করেননি। তার মতে কচ ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের ভ্রাতা। সাম্প্রতিককালে ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও মনে করেন, গুপ্ত শাসকেরা যেখানে একক ব্যক্তিগত নামের অধিকারী ছিলেন, সেখানে সমুদ্রগুপ্তের দুটি নাম থাকা অসম্ভব। []:৫৯৯[]

দিগ্বিজয়

[সম্পাদনা]

“শক্তিমান মাত্রেই যুদ্ধ করবে ও শত্রু নিপাত করবে” – কৌটিল্যের এই নীতির প্রভাবে সিংহাসনে বসেই মহাপদ্মনন্দচন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মতো দিগ্বিজয়ের পরিকল্পনা করেন সমুদ্রগুপ্ত। তার রাজ্যজয়ের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে। প্রশস্তিকার হরিষেণ ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের সান্ধিবিগ্রহিক অর্থাৎ শান্তি ও যুদ্ধ বিভাগের মন্ত্রী, কুমারমাত্য ও মহাদণ্ডনায়ক। এই কারণে সম্ভবত সমুদ্রগুপ্তের দিগ্বিজয়ে তিনি সম্রাটের সঙ্গী হয়েছিলেন। ঐতিহাসিকগণ তাই এই প্রশস্তির বর্ণনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। এমনকি এই প্রশস্তিতে অতিরঞ্জনের সম্ভাবনা থাকলেও এর বক্তব্যগুলিকে অনেক ক্ষেত্রেই বিনা যুক্তিতে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। []:৬০১ তিনি উত্তর ভারত জয়ের ক্ষেত্রে উনমূল নীতি গ্রহণ করেছেন‌‌‌‌‌‌‍‌ এবং গ্রহণ-পরিমোক্ষ-অনুগ্রহ নীতি গ্রহণ করেছিলেন দক্ষিণ ভারত জয়ের ক্ষেত্রে।

এলাহাবাদ প্রশস্তির ১১ সংখ্যক ও ২১ সংখ্যক স্তবকে মোট দুইবার আর্যাবর্ত অভিযানের বিবরণ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিবরণটিতে আবার প্রথম বিবরণে উল্লিখিত বিজিত রাজাদের নামের পুনরুল্লেখও দেখা যায়। এর থেকে এইচ সি রায়চৌধুরী, রমেশচন্দ্র মজুমদার, সুধাকর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ ঐতিহাসিকবৃন্দ মনে করেন, সমুদ্রগুপ্ত দাক্ষিণাত্য অভিযানের আগে ও পরে মোট দুইবার উত্তর ভারতে অভিযান প্রেরণ করেছিলেন। অবশ্য ঐতিহাসিক এস আর গয়াল মনে করেন, উত্তর ভারতে নিজের শক্তি সুদৃঢ় না করে দাক্ষিণাত্যে অভিযান প্রেরণ করেননি সমুদ্রগুপ্ত। তাই তিনি একবার আর্যাবর্ত অভিযানের পক্ষে মত দিয়েছেন। যদিও তার এই মত অনুমানমাত্র।[]:৬৮৮ যাই হোক, এ-কথা মোটামুটি স্বীকৃত যে আর্যাবর্তের মোট নয় জন ও দাক্ষিণাত্যের মোট এগারো জন রাজাকে পরাভূত করে সমুদ্রগুপ্ত নিজের দিগ্বিজয় সম্পন্ন করেছিলেন।

প্রথম আর্যাবর্ত অভিযান

[সম্পাদনা]

এলাহাবাদ প্রশস্তির সপ্তম স্তবক অর্থাৎ তেরো ও চোদ্দো সংখ্যক ছত্রে উত্তর ভারতের অচ্যুত, নাগসেন, গণপতিনাগ ও কোটা পরিবারের বিরুদ্ধে সমুদ্রগুপ্তের অভিযানের বর্ণনা আছে। প্রথম তিন জন রাজার নাম উল্লিখিত হলেও তাদের রাজবংশের উল্লেখ করা হয়নি; আবার চতুর্থ জনের ক্ষেত্রে নামোল্লেখ না থাকলেও তিনি যে কোটা পরিবারের রাজা, তা স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে প্রশস্তিতে। অন্যান্য সূত্রে সাহায্যে এই চার রাজাকে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। এঁরা হলেন[]:৬০২-৬০৪:

  • অচ্যুত – অহিচ্ছত্রের রাজা। উত্তর প্রদেশের বেরিলি জেলার রামনগরে প্রাপ্ত আনুমানিক খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের কয়েকটি মুদ্রায় ‘অচ্যু’ নামে এক রাজার উল্লেখ পাওয়া যায়। ই জে ব়্যাপসন ও ভিনসেন্ট স্মিথ এই মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে অচ্যু ও অচ্যুত একই ব্যক্তি ও অহিচ্ছত্রের রাজা। এই মত প্রায় সকল ঐতিহাসিকই গ্রহণ করেন।
  • নাগসেন – পরবর্তীকালের রচনা বাণভট্টের হর্ষচরিত গ্রন্থে নাগসেনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। ইনি নাগবংশজাত ও পদ্মাবতীর শাসনকর্তা। পদ্মাবতী অধুনা মধ্যপ্রদেশের নরওয়ারের নিকটস্থ পদম পাওয়া অঞ্চল। ই জে ব়্যাপসন এলাহাবাদ প্রশস্তির নাগসেনকে এই পদ্মাবতীর নাগসেন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তার মত অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ স্বীকারও করেছেন।
  • গণপতিনাগমথুরার শাসনকর্তা। এ এস আলতেকার এই অঞ্চলে প্রাপ্ত গণপতিনাগের অসংখ্য মুদ্রা দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। পুরাণেও মথুরার নাগবংশের উল্লেখ আছে। আবার বেসনগরে প্রাপ্ত তার নামাঙ্কিত কয়েকটি মুদ্রা দেখে ডি আর ভান্ডারকর তাকে বেসনগর বা বিদিশার রাজা বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও এই মত খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়।
  • কোটা পরিবার – পূর্ব পাঞ্জাবদিল্লিতে প্রাপ্ত কোটা পরিবারের কিছু মুদ্রার ভিত্তিতে এই পরিবারকে উচ্চ গাঙ্গেয় উপত্যকার শাসক বলে মনে করা হয়ে থাকে। তবে আলেকজান্ডার কানিংহাম এই মুদ্রাগুলি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে এগুলি ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের। ঐতিহাসিক পি এল গুপ্ত তাই এলাহাবাদ প্রশস্তিতে উল্লিখিত কোটা পরিবারের সনাক্তকরণ প্রসঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করেন। উয়ান চোয়াঙ-এর বিবরণীর ভিত্তিতে তিনি বলেছেন যে, কোটা পরিবার উচ্চ গাঙ্গেয় উপত্যকারই দক্ষিণ পঞ্চাল অঞ্চল শাসন করতেন।

ঐতিহাসিক কে পি জয়সোয়ালের মতে, এই যুদ্ধ সংগঠিত হয় অহিচ্ছত্র, মথুরা, পদ্মাবতী ও দক্ষিণ পঞ্চালের মধ্যবর্তী কৌশাম্বী অঞ্চলে। কে পি জয়সোয়াল ও এস কে আয়েঙ্গার আরও বলেছেন যে অচ্যুত, নাগসেন ও কোটা পরিবার জোটবদ্ধভাবে সমুদ্রগুপ্তকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তবে এই যুক্তির পশ্চাতে বিশেষ তথ্য পাওয়া যায় না।

দাক্ষিণাত্য অভিযান

[সম্পাদনা]

উত্তর ভারতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার পর সমুদ্রগুপ্ত দাক্ষিণাত্য বিজয়ে অগ্রসর হন, উত্তর ভারত সম্পূর্ণ জয় করার আগেই তিনি দক্ষিণের রাজ্যসমূহ নিজ ছত্রছায়ায় এনেছিলেন, তা বিতর্কিত। এলাহাবাদ প্রশস্তির দশম থেকে দ্বাদশ স্তবক পর্যন্ত সমুদ্রগুপ্তের বিভিন্ন রাজ্য বিজয়ের সংবাদ পাওয়া যায়। এই প্রশস্তিতে বলা হয়েছে দাক্ষিণাত্যের সকল রাজা (‘সর্বদক্ষিণাপথরাজ’) তার হাতে পরাস্ত হয়েছিলেন। প্রশস্তিতে দাক্ষিণাত্যের মোট বারো জন রাজার নাম উল্লিখিত আছে। এঁরা হলেন :

  • কোসলের মহেন্দ্র – অনুমিত হয় বর্তমান ছত্তিসগড় রাজ্য ও ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর ও গঞ্জাম জেলার কিছু অংশ নিয়ে মহাকোসল বা দক্ষিণ কোসলই প্রশস্তি উল্লিখিত রাজা মহেন্দ্রের রাজ্য। এর রাজধানী ছিল শ্রীপুর।
  • মহাকান্তারের ব্যাঘ্ররাজ – মহাকান্তার রাজ্যের অবস্থান নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে মতবিরোধ আছে। এইচ সি রায়চৌধুরীর মতে মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিসগড় সন্নিহিত বনাঞ্চলই মহাকান্তার; জে দুব্রেইলের মতে মহাকান্তার ওড়িশা রাজ্যের সোনপুরের দক্ষিণাঞ্চল; জি রামদাস ওড়িশার মহেন্দ্রগিরি অঞ্চলকে মহাকান্তার মনে করেন; ডি আর ভাণ্ডারকর ও রমেশচন্দ্র মজুমদার অজয়গড়ের নাচেন-কি তলার বাকাটকরাজ পৃথিবী সেনের অধীন সামন্ত ব্যাঘ্রদেবকে মহাকান্তারের ব্যাঘ্ররাজ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।[]:৬০৬
  • কুরলের মন্থরাজ
  • পৃষ্ঠপুরমের মহেন্দ্রগিরি
  • কোট্টুরের স্বামীদত্ত
  • এরন্ডপল্লের দমন
  • কাঞ্চির বিস্নুগোপ
  • অবমুক্তের নীলরাজ
  • বেঞ্জির হস্থিবরমন
  • পলাক্কের উগ্রসেন
  • দেবরাষ্ট্রের কুবের
  • কুস্থলপুরের ধনঞ্জয়

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ভারতবর্ষের ইতিহাস : প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগ, গোপাল চন্দ্র সিন্‌হা, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, কলকাতা, তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৩
  2. ভারতের ইতিহাস (প্রাচীন যুগ হইতে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত), অতুল চন্দ্র রায় ও প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়, মৌলিক লাইব্রেরি, কলকাতা, ১৯৯৯, পৃ.১০২-০৩
  3. The Oxford History of India, By Late Vincent A. Smith, C.I.E., Fourth Edition, Edited by Percival Spear, Oxford University Press, Chennai, 1981, p.166
সমুদ্রগুপ্ত
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
গুপ্ত রাজবংশ
৩৩৫-৩৭৫
উত্তরসূরী
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত