সরিতা | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | অভিনেত্রী, ডাবিং শিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৭৮-১৯৮৯; ২০০১-২০০৪; ২০১৩-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেঙ্কট সুব্বাই (বি. ১৯৭৫; বিচ্ছেদ. ১৯৭৬) মুকেশ (বি. ১৯৮৮; বিচ্ছেদ. ২০১১) |
আত্মীয় | বিজি চন্দ্রশেখর (বোন) |
সরিতা হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি ২৫০-এর অধিক তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, ও তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৮০-এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় ও সমাদৃত অভিনেত্রী ছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি টেলিভিশনেও অভিনয় করেন, তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টেলিভিশন ধারাবাহিক হল সেলভি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ডাবিং শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। কর্মজীবনে তিনি একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ছয়টি নন্দী পুরস্কার, চারটি তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি কর্ণাটক রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ।
সরিতা অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের গুন্টুর জেলার মুনিপাল্লেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বোন বিজি চন্দ্রশেখরও একজন অভিনেত্রী।[১]
সরিতার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে কে. বালাচন্দরের তেলুগু চলচ্চিত্র মারো চারিত্রা (১৯৭৮) দিয়ে। এটি ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে প্রণয় নিয়ে নির্মিত, এতে তিনি কামাল হাসানের বিপরীতে একজন তেলুগু ভাষী চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তিনি তামিল ভাষার চলচ্চিত্রেও কাজের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন, যার অধিকাংশই বালাচন্দর পরিচালিত। এই সময়ে তিনি তামিল ভাষার তাপ্পু তলঙ্গল (১৯৭৮) ও তেলুগু ভাষার ইডি কাদা কাডু (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ওরু বেল্লাডু বেঙ্গাইয়াগিরদু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর তিনি বেন্ডিচক্করম (১৯৮০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন। একই বছর তিনি সুজাতা চলচ্চিত্রে একজন ক্যান্সার আক্রান্তের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তার চুল ছেঁটে ফেলেন।
তিনি ১৯৮১ সালে রজনীকান্ত ও লক্ষ্মীর সাথে এস. পি. মুত্থুরমনের নেত্রিকন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, এতে রজনীকান্তের দ্বৈত চরিত্রে একটি চরিত্রকে তাকে ধর্ষণের পর অপর চরিত্রের সাথে মিলে তাকে শিক্ষা দিতে দেখা যায়।[২] এটি বক্স অফিসে ব্যবসাসফল হয়।[৩] এছাড়া একই বছর তিনি বালাচন্দরের ৪৭ নটকল চলচ্চিত্রে তার নিজের চরিত্রে অতিথি ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে তিনি বালাচন্দরের অগ্নিসাক্ষী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার দ্বিতীয় তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর তিনি রজনীকান্তের বিপরীতে কন্নড় ভাষার হোসা বেলাকু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ কন্নড় অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ লাভ করেন। এছাড়া তিনি কোকিলাম্মা (১৯৮২) চলচ্চিত্রের তার অভিনয়ের জন্য নন্দী পুরস্কারের বিশেষ জুরি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৮ সালে তিনি পু পুদা নন্দবনম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি কন্নড় ভাষার সংক্রান্তি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কর্ণাটক রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ কন্নড় অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ লাভ করেন। তিনি আম্মান (১৯৯৫) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী ডাবিং শিল্পী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৪ সালে তিনি অর্জুন চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য নন্দী পুরস্কারের বিশেষ জুরি পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর তিনি জুলি গণপতি চলচ্চিত্রে মানসিক বিকৃতিসম্পন্ন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কয়েক পাউন্ড ওজন বাড়ান।
সরিতা দুইবার বিয়ে করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে তেলুগু অভিনেতা বেঙ্কট সুব্বাইকে বিয়ে করেন। ১৯৭৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি ১৯৮৮ সালের ২রা সেপ্টেম্বর মালয়ালম অভিনেতা মুকেশকে বিয়ে করেন। তদের দুই পুত্র রয়েছে, তারা হলেন শ্রাবণ ও তেজস। ২০১১ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সরিতা বর্তমানে তার পুত্র শ্রাবণের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাস করছেন।[৪]