সরোজা বৈদ্যনাথন | |
---|---|
জন্ম | সরোজা ধর্মরাজন ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | নৃত্য পরিচালক |
সরোজা বৈদ্যনাথন (জন্ম: ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৭) একজন নৃত্য পরিচালক, গুরু এবং উল্লেখযোগ্য ভরতনাট্যম নৃত্যবিদ। [১] ভারত সরকার তাঁকে ২০০২ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৩ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। [২]
সরোজা ১৯৩৭ সালে কর্ণাটকের বেলারিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভরতনাট্যমে তার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন চেন্নাইয়ের সরস্বতী গণ নিলায়মের কাছে এবং পরে থানজাভুরের গুরু কাট্টুমান্নার মুথুকুমারান পিল্লাইয়ের কাছে। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পণ্ডিত সাম্বামূর্তির অধীনে কর্ণাটকী সংগীতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং খাইরাগড়ের ইন্দিরা কলা সংগীত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃত্যে ডি.লিট করেছেন। [৩]
সরোজা বিবাহের পরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য নাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ তার শ্বশুরবাড়ী ছিল রক্ষণশীল। এর পরিবর্তে তিনি বাড়ীতে শিশুদের নাচ শেখানো শুরু করেছিলেন। ১৯৭২ সালে তার স্বামী দিল্লিতে স্থানান্তরিত হওয়ার পরে, তিনি ১৯৭৮ সালে সেখানে গণেশ নাট্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শুভাকাঙ্ক্ষী এবং স্পনসরদের কাছ থেকে আর্থিক সমর্থন পেয়েছিলেন এবং এর পরে ১৯৮৮ সালে নাট্যালয়ের ভবনটি কুতুব ইনস্টিটিউশনাল অঞ্চলে উঠে আসে। নাচের পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের ভরতনাট্যমকে সামগ্রিকভাবে বোঝাবার জন্য গণেশ নাট্যালয়ে তামিল, হিন্দি এবং কর্ণাটকী কন্ঠ সংগীতও শেখানো হয়। [৪]
সরোজা একজন প্রখ্যাত নৃত্য পরিকল্পক এবং তার কৃতিত্বে আছে দশটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ব্যালে এবং প্রায় দুই হাজার পৃথক ভারতনাট্যম নৃত্য ভঙ্গিমা। [৪] ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আসিয়ান শিখর সম্মেলনের সফরসঙ্গী হিসাবে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি সাংস্কৃতিক সফর করেছিলেন। [১] কবি সুব্রমণ্যা ভারতীর গান ও কবিতাগুলির ওপর তিনি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন এবং তার কয়েকটি রচনা দিয়ে তিনি নৃত্যও প্রস্তুত করেছিলেন। [৫]
সরোজা বৈদ্যনাথন ভারতনাট্যম ও কর্ণাটকী সংগীতের উপর অনেক বই লিখেছেন, তার মধ্যে আছে দ্য ক্লাসিকাল ডান্স অফ ইন্ডিয়া, ভরতনাট্যম - অ্যান ইন-ডেপথড স্টাডি, কর্ণাটক সংগীতম, এবং দ্য সায়েন্স অব ভরতনাট্যম । [১][৬]|
সরোজার বাবা-মা দুজনেই লেখক ছিলেন এবং তার মা কনকম ধর্মরাজন তামিল ভাষার গোয়েন্দা কথাসাহিত্যিক ছিলেন। [৬] সরোজা বিহার ক্যাডারের আইএএস অফিসার বৈদ্যনাথনকে বিয়ে করেছেন। [৪] এই দম্পতির একটি পুত্র, কামেশ এবং তাঁদের পুত্রবধূ রমা বৈদ্যনাথন আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ ভরতনাট্যম শিল্পী। [৭]
সরোজাকে ২০০২ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৩ সালে পদ্মভূষণে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। [২] তিনি দিল্লি সরকারের সাহিত্য কলা পরিষদ সম্মান, তামিলনাড়ু ইয়াল ইসাই নাটক মনরম এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার দ্বারা প্রদত্ত কালাইমামণি উপাধি ও পেয়েছেন। [৩] ২০০৬ সালে তাঁকে 'ভারত কলাই সুদর' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। [৮]