সর্বাণী বসু | |
---|---|
মাতৃশিক্ষায়তন | মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় পুনা বিশ্ববিদ্যালয় মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় আরহাস বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় |
সর্বাণী বসু একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটিস ফর রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোনমি নামক সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য।
সর্বাণী ১৯৮৬ সালে ভারতের চেন্নাইয়ের ওমেন্স খ্রিস্টান কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[১] এরপর ১৯৮৮ সালে পুনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। স্নাতকোত্তর পাশ করার পর মুম্বইয়ের টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৯৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানের উপর গবেষণা করে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
১৯৯৩ সালে সর্বাণী লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্ষন্ত তিনি ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান কেন্দ্রে একজন পোস্ট ডক্টরাল গবেষক হিসাবে কাজ করেন।[১] তিনি ভারতের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি থেকে ১৯৯৬ সালে এমকে ভাইনু বাপ্পু স্বর্ণপদক লাভ করেন।[২] ১৯৯৭ সালে তিনি ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির সদস্য হিসাবে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।[১] [৩] [৪] ২০০০ সালে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৫ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন।[১] ২০০২ সালে তিনি হেলম্যান ফ্যামিলি ফ্যাকাল্টি ফেলোশিপ পান।
সর্বাণীর আগ্রহের বিষয়গুলি হলো, সৌর এবং নাক্ষত্রিক জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা, সৌর এবং নাক্ষত্রিক কার্যকলাপ চক্র। এছাড়া নাক্ষত্রিক বিবর্তন নিয়েও তিনি গবেষণা করেন।[১] তিনি সূর্যের গঠন, সৌরগতিবিদ্যা এবং নাক্ষত্রিক দোলন নিয়েও অধ্যয়ন করতে ভালবাসেন।[৫] [৬] হেলিওসিসমিক ইনভার্সন পর্যবেক্ষণ করে তিনি দেখেছেন যে, সূর্যের অভ্যন্তরে কোন কোন প্রক্রিয়াগুলো ঘটে থাকে।[৭] [৮] তিনি সূর্যভূকম্পবিদ্যা সম্পর্কে একটি বইয়ের অধ্যায় লিখেছেন।[৯]
সর্বাণী ২০০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ২০০০০ বেশি গবেষণাপত্রে তার গবেষণা পত্র থেকে উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।[১][১০] তিনি তরুণদের সাথে তার গবেষণা নিয়ে আলোচনা করার জন্য স্কুলও পরিদর্শন করেন।[১১] [১২]
সর্বাণী ২০১৫ সালে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্সের ফেলো নির্বাচিত হন[১৩] ২০১৭ সালে তিনি উইলিয়াম চ্যাপলিনের সাথে যুগ্মভাবে অ্যাস্টেরোসিসমিক ডেটা অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনস অ্যান্ড টেকনিকস নামে একট বই প্রকাশ করেন।[১৪] সূর্যের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে তার গবেষণার জন্য তাকে ২০১৮ সালে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জর্জ এলেরি হেল পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয়।[১৫] [১৬] [১৭] ভার্জিনিয়ার ত্রিবার্ষিক আর্থ-সান সামিট-এ তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।[১৮] তিনি ২০২০ সালে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির একজন ফেলো সদস্য নির্বাচিত হন।[১৯]