লেখক | মুহাম্মদ ইবনে হিব্বান ইবনে আহমদ আল-তামিমি আল-বুসতি |
---|---|
ভাষা | আরবী |
সহীহ ইবনে হিব্বান (صحيح ابن حبان) হল সুন্নি আলেম ইবনে হিব্বান রচিত একটি হাদীস সংকলন। এটিতে কম সংখ্যক কিন্তু কেবলমাত্র সহীহ হাদীসই রয়েছে। এই বইটির রচয়িতা হলেন মুহাম্মদ ইবনে হিব্বান ইবনে আহমদ আল-তামিমি আল-বুসতি (ابن حبان) , যার জন্ম বর্তমান দক্ষিণ আফগানিস্তানের খোরসানের বুসত এ[১] ( হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানীর পূর্ব নাম বোসত বা বসত ছিল, এর নতুন নাম লস্করগাহ )। [২] তিনি একজন বিশিষ্ট শাফিয়ী হাদীস বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি ৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইনতিকাল করেন। [৩]
এই সংগ্রহটির আসল নাম হল আল-তাকাসিম ওয়া আল আনওয়া`, তবে এটি সাধারণত সহীহ ইবনে হিব্বান নামেই পরিচিত। লেখক এই বই লেখায় একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। তা হলো এটি সাধারণ অধ্যায় ভিত্তিকভাবে সজ্জিত নয় বা এটি মুসনাদ বিন্যাসের ভিত্তিতে নয়। এরকম মুসনাদ হিসাবে লেখা বই পড়া একটু কষ্টসাধ্য। [৩] তাই এর পরিবর্তে, এটি প্রথমে বাব, বা অধ্যায় দ্বারা সাজানো হয়েছে এবং তারপরে প্রতিটি অধ্যায়ের অধীনে, নাও বা বিষয় দ্বারা সাজানো হয়েছে। বইটি একটি দীর্ঘ ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে। [৪]
মাকতাবা শামিলা অনুসারে বইটিতে প্রায় সাড়ে সাত হাজার (৭৫০০) হাদিস রয়েছে । [৫] হাদীস সংকলনে মাত্র চারটি গ্রন্থ রয়েছে যা 'সহীহ' শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছিল আর সহীহ ইবনে হিব্বান এর মধ্য একটি। (অন্য তিনটি গ্রন্থ হল সহিহ আল বুখারী, সহীহ মুসলিম ও সহীহ ইবনে খুজাইমাহ )। [৬]
আল-কাত্তানির মতে, "বলা হয় যে, সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম এর পর ইবনে খুজাইমাহ লেখার পরের যেকোন সহীহ হাদিস সংকলনের পরেই সহীহ ইবনে হিব্বান এর অবস্থান। [৩] তবে, জালালুদ্দীন সুয়ুতী আরও স্পষ্ট করে বলেন যে সহিহ ইবনে খুযায়মাহ; সহিহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের পরেই সর্বাধিক খাঁটি সংগ্রহ এটি, যার ফলস্বরূপ আল-মুসতাদরাক আলা' আল-সহিহাইনর চেয়েও বেশি সহীহ হিসেবে এটিকে সাবস্ত করা হয়,[৭] সুয়ুতীর দৃষ্টিতে সহীহ ইবনে হিব্বান হল চতুর্থ সর্বাধিক খাঁটি হাদীস সংকলন।