সাংহাই বন্দর 上海港 | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | চীন |
অবস্থান | সাংহাই |
স্থানাঙ্ক | ৩০°৩৭′৩৬″ উত্তর ১২২°০৩′৫৪″ পূর্ব / ৩০.৬২৬৫৩৯° উত্তর ১২২.০৬৪৯৫৮° পূর্ব |
বিস্তারিত | |
চালু | ১৮৪২ (চুক্তি বন্দর হিসাবে ) |
পরিচালনা করে | সাংহাই আন্তর্জাতিক বন্দর গোষ্ঠী |
মালিক | বেসরকারি সংস্থা |
পোতাশ্রয়ের ধরন | গভীর জলের সমুদ্র বন্দর ও নদী বন্দর |
পরিসংখ্যান | |
বার্ষিক কার্গো টন | ৭৫৫ মিলিয়ন টন (২০১৪) |
বার্ষিক কন্টেইনারের আয়তন | ৩৭.১৩৩ মিলিয়ন টিইইউ (২০১৬) |
ওয়েবসাইট http://www.portshanghai.com.cn |
সাংহাই বন্দর চীনের সাংহাই শহরে অবস্থিত একটি সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরটি একটি গভীর জলের সমুদ্র বন্দর ও একটি নদী বন্দর নিয়ে গড়ে উঠেছে। বন্দরটি বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম কন্টেইনার বন্দর। ২০১০ সালে সিঙ্গাপুর বন্দর কে অতিক্রম করে সবচ্যে বেশি কন্টেইনার পরিবহন করে। এটি ওই বছর ২৯.০৫ টিইউএস কন্টেইনার বহন করে বিপরীতে সিঙ্গাপুর বন্দর বহন করে এর অর্ধেক কন্টেইনার।[১][২] ২০১৪ সালে সাংহাই বন্দর ৩৫ মিলিয়ন টিইউএস এর বেশি কন্টেইনার বহন করে।[৩]
সাংহাই বন্দরের সমুখ ভাগে রয়েছে পূর্ব চীন সাগর যা বন্দরের পূর্ব দিকে অবস্থিত ও দক্ষিণে রয়েছে হাংচৌ উপসাগর। বন্দরটিতে ইয়াংসি-কিয়াং নদী, হুয়াংপু নদী (যা ইয়াংতসে নদী প্রবেশ করে), এবং কুইয়ানং নদী অন্তর্ভুক্ত।
সাংহাই বন্দর পরিচালনা করে সাংহাই আন্তর্জাতিক বন্দর গোষ্ঠি। এই গোষ্ঠি ২০০৩ সালে সাংহাই বন্দর কর্তৃপক্ষ এর কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করে।[৪] এই একটি বেসরকারি সংস্থা।এই সংস্থাযর সাংহাই পৌর সংস্থার ৪৪.২৩ শতাংশ অংশিদারীত্ব রয়েছে।বাকি অংশিদারীত্ব অন্য বেসরকারি সংস্থার কাছে রয়েছে।
মিং রাজবংশের সময়, বর্তমান সাংহাই শহরটি জিয়াংসু প্রদেশের অংশ (চচিয়াং প্রদেশের একটি ছোট অংশ) ছিল। সাংহাই ইউয়ান রাজবংশের একটি কাউন্টি আসন হয়ে উঠেছিল, তবে এটি তুলনামূলকভাবে একটি ছোট শহর ছিল।
ইয়াংতসে নদীর তীরে অবস্থানকারী এই অঞ্চলটি কোয়িং রাজবংশের কিয়ানোলং সম্রাটের রাজত্বকালে উন্নত উপকূলীয় বাণিজ্য কেন্দ্র হিসাবে উন্নীত হয়েছিল। ধীরে ধীরে, সাংহাই বন্দরটি নিংবো বন্দর এবং গুয়াংঝোর বন্দরকে অতিক্রম করে চীনের বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়।
১৮৪২ সালে, সাংহাই একটি চুক্তিবদ্ধ বন্দর হয়ে ওঠে এবং এভাবে একটি উন্নয়নশীল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক শহরে পরিণত হয়। ২০ শতকের প্রথম দিকে এটি পূর্ব এশিয়ায় বৃহত্তম শহর এবং বৃহত্তম বন্দর ছিল।
১৯৪৯ সালে, সাংহাইয়ের কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখলের সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে বন্ধ হয়েছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী অর্থনৈতিক নীতি সাংহাইয়ের অবকাঠামো এবং পুঁজি উন্নয়ন উপর একটি মারাত্মক প্রভাব ছিল।
১৯৯১ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার সাংহাইকে অর্থনৈতিক সংস্কারের সূচনা করতে দেয়। তখন থেকে সাংহাই বন্দর ক্রমবর্ধমান গতিতে বিকশিত হয়েছে। ২০০৫ সাল নাগাদ, ইয়াংশান গভীর জলের বন্দর ইয়াংশান দ্বীপপুঞ্জে নির্মিত হয়েছিল, এটি হংজ়ৌ উপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি গোষ্ঠী, যা সাংহাইয়ের সাথে ডংহাই সেতু দ্বারা সংযুক্ত। এই উন্নয়নের ফলে বন্দরটি পুরোন অগভীর জলের বন্দর ব্যবস্থার উপর নির্ভর কমায় এবং নিংবো-ঝাউহান বন্দরের নিকটবর্তী আরেকটি গভীর-জল বন্দর হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকাঠাম পায়।
সাংহাই বন্দর প্রধান দুটি বন্দর দ্বারা গঠিত। এই বন্দরের কার্য পরিচালিত হয় তিনটি এলাকার উপর ভিত্তি করে।এই এলাকা গুলি হল-
সাংহাই বন্দরটি ইয়াংসি-কিয়াং নদী অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পরিবহন কেন্দ্র এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদার। বন্দরটির পশ্চাদ্ভূমির মধ্যে রয়েছে ইয়াংসি-কিয়াং নদী এলাকার অর্থনৈতিকভাবে উন্নততর আনহুই, জিয়াংসু, চচিয়াং এবং হনান প্রদেশগুলির ঘন জনসংখ্যার, উন্নত কৃষি ভিত্তিক এবং কৃষি খাতের আওতায় শক্তিশালী শিল্প ক্ষেত্র।[৫]