নামসমূহ | |
---|---|
ইউপ্যাক নাম
4-aminopyrimidin-2(1H)-one
| |
অন্যান্য নাম
4-amino-1H-pyrimidine-2-one
| |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
কেমস্পাইডার | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০০০.৬৮১ |
ইসি-নম্বর | |
কেইজিজি | |
এমইএসএইচ | Cytosine |
পাবকেম CID
|
|
ইউএনআইআই | |
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|
| |
| |
বৈশিষ্ট্য | |
C4H5N3O | |
আণবিক ভর | 111.10 g/mol |
ঘনত্ব | 1.55 g/cm3 (calculated) |
গলনাঙ্ক | ৩২০ থেকে ৩২৫ °সে (৬০৮ থেকে ৬১৭ °ফা; ৫৯৩ থেকে ৫৯৮ K) (decomposes) |
অম্লতা (pKa) | 4.45 (secondary), 12.2 (primary)[১] |
-55.8·10−6 cm3/mol | |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
যাচাই করুন (এটি কি ?) | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
সাইটোসিন (/ˈsaɪtəˌsiːn, -ˌziːn, -ˌsɪn/;[২][৩] C) হলো ডিএনএ এবং আরএনএ-তে পাওয়া চারটি প্রধান ভিত্তির মধ্যে একটি, অন্য তিনটি হলো অ্যাডিনিন, গুয়ানিন এবং থাইমিন (আরএনএতে ইউরাসিল)। এটি পাইরিমিডিন ব্যুৎপন্ন, একটি হেটারোসাইক্লিক অ্যারোমেটিক বলয় এবং দুটি সাবস্টিটুয়েন্ট সংযুক্ত (৪ নম্বর অবস্থানে অ্যামিন মূলক এবং ২ নম্বর অবস্থানে একটি কিটো মূলক থাকে)। সাইটোসিনের নিউক্লিওসাইড হল সাইটিডাইন। ওয়াটসন-ক্রিক ভিত্তি জোড়ায় এটি গুয়ানিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ধন গঠন করে।
১৮৯৪ সালে অ্যালব্রেচট কোসেল এবং অ্যালবার্ট নিউম্যান বাছুরের থাইমাস টিস্যু থেকে হাইড্রোলাইজ করে সাইটোসিন আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।[৪][৫] ১৯০৩ সালে একটি গঠন প্রস্তাব করা হয় এবং একই বছর পরীক্ষাগারে সংশ্লেষণ করা হয়েছিল (এবং এভাবে নিশ্চিত করা হয়েছিল)।
১৯৯৮ সালে কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রসেসিংয়ের প্রথম দিকের প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সাইটোসিন ব্যবহার করা হয়েছিল যখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ডুইচ-জোসা অ্যালগরিদমকে দুই কিউবিট নিউক্লিয়ার চৌম্বকীয় অনুরণন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে (এনএমআরকিউসি) প্রয়োগ করেছিলেন।[৬]
২০১৫ সালের মার্চে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাশূণ্যের ন্যায় অবস্থার পরীক্ষাগারে পাইরিমিডিন থেকে ইউরাসিল এবং থাইমিনের পাশাপাশি সাইটোসিন গঠিত হওয়ার কথা জানান, যা একটি আগ্রহ উদ্দীপক বিষয় কারণ পাইরিমিডিন উল্কায় পাওয়া গেছে যদিও এর উৎস অজানা।[৭]
সাইটোসিন ডিএনএর অংশ হিসাবে, আরএনএর অংশ হিসাবে বা নিউক্লিওটাইডের অংশ হিসাবে পাওয়া যায়। সাইটিডাইন ট্রাইফসফেট (সিটিপি) হিসাবে এটি এনজাইমে কো-ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করতে পারে এবং অ্যাডেনোসিন ডাইফসফেট (এডিপি) কে অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেটে (এটিপি) রূপান্তর করতে একটি ফসফেট স্থানান্তর করতে পারে।
ডিএনএ এবং আরএনএতে সাইটোসিন গুয়ানিনের সাথে জোড় গঠন করে। যাইহোক এটি সহজাতভাবে অস্থির এবং এটি ইউরাসিল (স্বতঃস্ফূর্ত নির্গমন) এ পরিবর্তিত হতে পারে। ইউরাসিল গ্লাইকোসিলাস, যা ডিএনএতে একটি ইউরাসিলকে বিভক্ত করে এরকম ডিএনএ মেরামতকারী এনজাইম দ্বারা মেরামত না করা হলে এটি বিন্দু পরিবর্তন হতে পারে।
সাইটোসিনকে ডিএনএ মিথাইলট্রান্সফেরাজ নামক এনজাইম দ্বারা ৫-মিথাইলসাইটোসিনে মিথাইলেটেড করা যায় বা ৫-হাইড্রোক্সিমিথাইলসাইটোসিন তৈরি করতে মিথাইলেটেড এবং হাইড্রোজাইলেটেড করা যায়। সাইটোসিন এবং ৫-মিথাইলসাইটোসিন (ইউরাসিল এবং থাইমিন থেকে) এর ডিঅ্যামিনেশন হারের পার্থক্য বাইসালফাইট অনুক্রমের ভিত্তি তৈরি করে।[৮]
আরএনএ-র একটি কোডনে তৃতীয়টি পাওয়া গেলে সাইটোসিন ইউরাসিলের সমার্থক, কারণ তারা তৃতীয় ভিত্তি হিসাবে বিনিময়যোগ্য হয়। কোডন-এ দ্বিতীয় ভিত্তি হিসাবে পাওয়া গেলে তৃতীয়টি সর্বদা বিনিময়যোগ্য। উদাহরণস্বরূপ, তৃতীয় ভিত্তি নির্বিশেষে ইউসিইউ, ইউসিসি, ইউসিএ এবং ইউসিজি সমস্ত সেরিন।
সাইটোসিন ডিঅ্যামিনেসেসের APOBEC পরিবার দ্বারা সাইটোসিন বা ৫-মিথাইলসাইটোসিনের সক্রিয় এনজাইমেটিক ডিঅ্যামিনেশনে বিভিন্ন সেলুলার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অরগানিজমাল বিবর্তনে উপকারী এবং ক্ষতিকারক উভয় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।[৯] অন্যদিকে ৫-হাইড্রোক্সিমিথাইলসাইটোসিনে ডিঅ্যামিনেশনর প্রভাব কম বোঝা যায়।
উল্কাতে সাইটোসিন পাওয়া যায় নি, যা জীবনের এই প্রাথমিক একক প্রথম ডিএনএর সূত্র পাওয়ার জন্য অন্যত্র খোজার পরামর্শ দেয়। সাইটোসিন সম্ভবত কিছু উল্কার পূর্বসূরীর মধ্যে গঠিত হয়, তবে হাইড্রোজেন পারক্সাইডের সাথে জারণ বিক্রিয়ার কারণে এর গাত্রের মধ্যে থাকতে পারে না।[১০]