ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম | সাইমন জেমস আর্থার টাওফেল |
বোলিংয়ের ধরন | ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার |
ভূমিকা | বোলার, আম্পায়ার |
ঘরোয়া দলের তথ্য | |
বছর | দল |
১৯৯০-১৯৯১ | ক্যামেরে ক্রিকেট ক্লাব |
আম্পায়ারিং তথ্য | |
টেস্ট আম্পায়ার | ৭৪ (২০০০–২০১২) |
ওডিআই আম্পায়ার | ১৭৪ (১৯৯৯–২০১২) |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |
| |
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ৬ অক্টোবর ২০১২ |
সাইমন জেমস আর্থার টাওফেল (ইংরেজি: Simon Taufel; জন্ম: ২১ জানুয়ারি, ১৯৭১) অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সেন্ট লিওনার্ডস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেট আম্পায়ার। তিনি আইসিসি এলিট আম্পায়ার প্যানেলের সদস্য ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বছরের সেরা আম্পায়ার হিসেবে পাঁচবার আইসিসি পুরস্কার লাভ করেছেন। সচরাচর তাকে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে অন্যতম সেরা আম্পায়াররূপে গণ্য করা হয়।[১]
টাওফেল নর্দান সাবার্বস ক্রিকেট এসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে ক্যামেরে ক্রিকেট ক্লাবে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলেন। ১৯৯০-১৯৯১ মৌসুমে তিনি ক্লাবের সেরা ও পরিচ্ছন্ন পুরস্কার লাভ করেন। এতে তিনি সবচেয়ে বেশি উইকেট লাভের পাশাপাশি সবচেয়ে গড়ে কম রান দিয়েছিলেন।[২][৩] কিন্তু পিঠের আঘাতপ্রাপ্তিতে তার খেলোয়াড়ী জীবনে বিঘ্ন ঘটে।[৪]
আম্পায়ার হবার তেমন ইচ্ছে না থাকা স্বত্ত্বেও বন্ধুর সাথে আম্পায়ারিং কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ভালভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ক্রিকেটে বিভিন্ন স্তরে আম্পায়ারিং করেন। তিনি দ্রুত উন্নত করায় ১৯৯৫ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটান।
আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ৭৪টি টেস্ট ম্যাচ এবং ১৭৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিত্ব করেন সাইমন টাওফেল। এছাড়াও, ২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০-এর চূড়ান্ত খেলাসহ ৩৪টি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। ২৭ বছর বয়সে জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে সিডনীতে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কা দলের মধ্যকার খেলায় আম্পায়ার হিসেবে অভিষিক্ত হন। বর্ণাঢ্য আম্পায়ার জীবনে তিনি ২০০৪-২০০৮ পর্যন্ত পরপর পাঁচবার আইসিসি’র বর্ষসেরা আম্পায়াররূপে ঘোষিত হন। অধিকাংশ প্রধান প্রধান ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় আম্পায়াররূপে খেলা পরিচালনা করেন। কিন্তু এপ্রিল ২০১১ পর্যন্ত তাকে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এর প্রধান কারণ ছিল ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া প্রতিটি ফাইনাল খেলায় অংশ নিয়েছিল।[৫] অস্ট্রেলিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যাবার প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কা-ভারতের মধ্যকার এ ফাইনালে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলীম দারের সাথে তিনিও খেলা পরিচালনা করেন।[৬]
৩ মার্চ, ২০০৯ তারিখে পাকিস্তানের লাহোরে একদল সশস্ত্র বন্দুকধারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর আক্রমণ চালায়। এতে খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা হিসেবে স্টিভ ডেভিসসহ তিনিও আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে স্টিভ ডেভিস, ক্রিস ব্রডের সাথে তিনি পাকিস্তানি নিরাপত্তারক্ষীদেরকে এ ঘটনার জন্য দোষারোপ করেন।[৭]
মোহালির পিসিএ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনাল খেলাটিকে তার আম্পায়ার জীবনের 'সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক খেলা' হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন,[৮]
যদি আমি পিছনের দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে সেখানে অনেক স্মরণীয় ঘটনা দেখতে পাই। কিন্তু, মোহালিতে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার খেলাটিকেই আমি শীর্ষস্থানে রাখবো ও আমি এখনো তা জীবন্ত দেখতে পাই। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ঐ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন যা ক্রিকেটের চেয়েও বড় ছিল। আমি বিশ্বাস করি, ২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুইটি ফাইনাল হয়েছিল - ঐ সেমি-ফাইনালটি এবং ফাইনালটি।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে টাওফেল ক্রিকেট জীবন থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা সফলভাবে সম্পন্ন করার পরপরই তার এ ঘোষণা। তার স্থলাভিষিক্ত হন স্বদেশী ব্রুস অক্সেনফোর্ড। এরপর তিনি আম্পায়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপক হিসেবে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।[৮][৯]