ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সাইমন ব্লেয়ার ডৌল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পুককোহে, নিউজিল্যান্ড | ৬ আগস্ট ১৯৬৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | লিঙ্কন ডৌল (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৮) | ১ নভেম্বর ১৯৯২ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ মার্চ ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৮) | ৩১ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ মার্চ ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯ - ২০০২ | নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ অক্টোবর ২০১৯ |
সাইমন ব্লেয়ার ডৌল (ইংরেজি: Simon Doull; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৬৯) পুককোহে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০০ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন সাইমন ডৌল।
১৯৯০-এর দশকে ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসের পক্ষে খেলা লিঙ্কন ডৌলের কনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনি। ১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সাইমন ডৌলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে উভয় প্রান্ত থেকে সুইং বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তির কারণে খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্তরূপ ধারণ করে। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আঘাত তার নিত্যসঙ্গী ছিল। তন্মধ্যে পিঠের সমস্যা অন্যতম ছিল।[১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩২ টেস্ট ও ৪২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সাইমন ডৌল। ১ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ মার্চ, ২০০০ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৮ সালে ওয়েলিংটন টেস্টে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ব্যাসিন রিজার্ভে বক্সিং ডেতে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ৭/৬৫ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এ পরিসংখ্যানটি যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় বোলারের মধ্যে চতুর্থ সেরা। প্রথম পাঁচ ভারতীয় ব্যাটসম্যান তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ঐ টেস্টে স্বাগতিক দল জয়ী হয়েছিল। এরফলে, ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে প্রকাশিত আইসিসি র্যাঙ্কিয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬ নম্বর অবস্থানে পৌঁছেন।[২]
১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তবে, প্রথম একাদশে খেলতে পারেননি। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে হাঁটুর আঘাতের কারণে স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি তিনি।[৩] জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনে পড়ে তার।
সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসার পর ঐ গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুইটি ওডিআই ও দুইটি টেস্টে অংশ নেন। মার্চ, ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের উপরে ছড়ি ঘোরাতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, চূড়ান্ত টেস্টে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের দলীয় সঙ্গী ড্যারিল টাফি’র কাছে স্থানচ্যুতি ঘটে তার।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্য ও সম্প্রচার কর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে নিউজিল্যান্ডভিত্তিক স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। ‘দ্য রক’ নামীয় বেতার কেন্দ্রে মর্নিং রাম্বল দলের সাথে জড়িত রয়েছেন। এক পর্যায়ে ২০০২-০৩ মৌসুমে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে খেলেন। ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সূচনালগ্ন থেকে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে রয়েছেন।