সদরি | |
---|---|
নাগপুরিয়া | |
দেশোদ্ভব | বাংলাদেশ, ভারত |
অঞ্চল | প্রধানত পূর্ব ও দক্ষিণ ছোট নাগপুর ও এর আশপাশের অঞ্চল |
মাতৃভাষী | [১] আদমশুমারির ফলাফল কিছু ভাষাভাষীকে হিন্দি ভাষায় বিভ্রান্ত করে।[২] | ৩৫ লক্ষ (২০০০–২০০১)
দেবনাগরী | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | দুইয়ের মধ্যে এক:sck – সদরিsdr – ওঁরাও সদরি |
গ্লোটোলগ | sada1242 [৩] |
সদরি ভাষা যা নাগপুরি নামেও পরিচিত, ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা রাজ্যে ব্যবহৃত ভাষা। উত্তর পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এই ভাষায় কথা বলে থাকে। সদরি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী দ্বিভাষী। অঞ্চলভেদে এরা সদরির পাশাপাশি বাংলা অথবা হিন্দী ভাষা ব্যবহার করে।
উচ্চারণের ভিন্নতার কারণে সদরি ভাষার উপভাষাগুলো অঞ্চলভেদে একাধিক নামে পরিচিতঃ সাদানি, সাদানা, সাদাতি, সদরি, সাধন,সদনা, সদরিক, সিদ্দ্রি, স্রাদ্রি, সাধারি, সদন, নাগপুরি, নাগপুরিয়া, ছোটা নাগপুরি, দিক্কু কাজি, গাওয়ারি, গাঁওয়ারি, গোয়ারি, গাউয়ারি, ঝাড়খণ্ডারি।[৪][৫][৬]
সদরি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী বাংলা, হিন্দী এবং ওড়িয়া ভাষায়ও কথা বলে। মাতৃভাষার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, ছত্রিশগড়, উত্তর বঙ্গ, আসাম, আন্দামান ও নিকোবর এর বিভিন্ন অংশের মুন্ডা ও খারিয়া জনগোষ্ঠী সদরি ভাষায় কথা বলে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চাকমা, ককবরক, মারমা, সাঁওতালি, সদরি, মান্ডেইলি ভাষায় বই ছাপায়।"
সদরি ভাষার একটি রূপ হচ্ছে নাগপুরি। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঝাড়খণ্ডের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভাষায় কোর্স করা যায়।