সাদা পাট | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): | কর্চোরাস |
প্রজাতি: | টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/কর্চোরাসক. ক্যাপসুলারিস |
দ্বিপদী নাম | |
টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/কর্চোরাসকর ক্যাপসুলারিস এল. | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
কর্চোরাস ক্যাপসুলারিস (প্যাটসান নামেও পরিচিত) সাধারণত সাদা পাট হিসাবে পরিচিত,[২] এটি মালভেসি পরিবারের একটি গুল্ম প্রজাতি। এটি পাটের আঁশের অন্যতম উৎস, যা পাটের প্রধান উৎস কর্চোরাস অলিটোরিয়াস থেকে প্রাপ্ত আঁশের চেয়ে সূক্ষ্ম মানের হিসাবে বিবেচিত হয়। এর পাতা খাদ্যসামগ্রী হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং পাতা, কাঁচা ফল এবং শিকড় ঐতিহ্যবাহী ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।[৩]
সাদা পাট খাড়া, বার্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ, এর ছুঁচোলো পাতা, হলুদ রঙের পাঁচ-পাপড়ী যুক্ত ফুল হয় এবং এর উচ্চতা দুই মিটার বা তার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এর গুটিকাসদৃশ ফল রয়েছে।[৩] এর উৎপত্তিস্থল সম্ভবত চীনে তবে এটি এখন বাংলাদেশ এবং ভারতে প্রচুর পরিমানে জন্মে এবং এটি ক্রান্তীয় আফ্রিকার অনেক অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রাজিলের অ্যামাজন অঞ্চলেও এর চাষ হয়।[৪]
সাদা পাট থেকে প্রাপ্ত আঁশ সাদা এবং তোষা পাটের তুলনায় উচ্চ মানের। পাট গাছ কাটার পর এটি পানিতে জাগ দেত্তয়া হয় এর পর তন্তু নরম হলে আঁশ ছাড়ানো হয় এবং এরপর এটি শুকানো হয়। এটি বস্তা, ব্যাগ, কার্পেট, পর্দা, কাপড় এবং কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।[৪] তোষা পাট এবং সাদা পাট হল পাটের প্রধান উৎস। বিশ্বের প্রধান পাট উৎপাদনকারী দেশ হলো ভারত এবং বাংলাদেশ ।এখানকার গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রর প্লাবনভূমি এবং ব-দ্বীপ অঞ্চলে ফসলটি ভাল জন্মে।[৫]
কচি পাট গাছের পাতা এবং অঙ্কুর সালাদে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয় এবং বড় হওয়ার পর শাক হিসাবে রান্না করে খাওয়া হয়। পাতা শুকনো এবং গুঁড়ো করে সুরুয়াতে ঘন করতে বা চা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অপরিপক্ক ফল কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া হয়।[৬]
উদ্ভিদটি ভেষজ ওষুধ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। পাতা ক্ষুধা বর্ধক, হজম কারক হিসাবে, রেচক এবং উদ্দীপক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। জ্বর কমানোর জন্য পাতার একটি দ্রবণ ব্যবহার করা হয় এবং শিকড় ও পাতা আমাশয়ের ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।[৬] বীজে ডাইগোক্সিন জাতীয় পদার্থ থাকে এবং এটি প্রাণী এবং পোকামাকড় উভয়ের জন্যই বিষাক্ত।[৭]