সাদিয়া | |
---|---|
নগর | |
দেশ | India |
রাজ্য | অসম |
জিলা | তিনিচুকীয়া |
উচ্চতা | ১২৩ মিটার (৪০৪ ফুট) |
Languages | |
• Official | অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মান সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
সাদিয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের একটি ছোট শহর। সহরটি তিনসুকিয়া জেলায় অবস্থিত। শহরটি লাল নদীর তীরে অবস্থিত এবং হিমালয় পর্বত দ্বারা বেষ্টিত। সাদিয়াকে সাতফুল (শব্দটির অর্থ "আশীর্বাদ" বা "মরুভূমির ফুল") নামের একটি ফুলের জন্য বিখ্যাত, যা অনেকটা জেসমিনের মতো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সাদিয়ার জঙ্গলে প্রথম চা গাছ আবিষ্কার করে ব্রিটিশরা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সাদিয়া ছিল বীরপাল কর্তৃক ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত চুটিয়া রাজ্যের রাজধানী, যার মধ্যে উত্তর-পূর্ব আসাম এবং বর্তমান অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বীরপালের পুত্র গৌরীনারায়ণ ১৩ শতকে সাদিয়াতে তার রাজধানী স্থাপন করেন এবং এটি ১৬ শতক পর্যন্ত রাজধানী ছিল। সাদিয়া ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসাম অঞ্চলের লখিমপুর জেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে ব্রিটিশ রাজের একটি ফাঁড়ি। নদীর ওপারে ছিল আসাম-বাংলা রেল লাইনের রেলওয়ে স্টেশন। সাদিয়াকে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। এর বাজারে, মিচিমি, আবর এবং খামাটি, সীমান্তের ওপারের পাহাড় থেকে, সুতির কাপড়, লবণ এবং ধাতব পণ্যের বিনিময়ে রাবার, মোম, হাতির দাঁত এবং কস্তুরী নিয়ে আসে। সাদিয়ার পুরানো শহরটি ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায়। ভারতরত্ন সুধাকান্ত ডঃ ভূপেন হাজারিকা ১৯২৬ সালে সাদিয়ার বুলুং নামে একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে বুলং নামক এই জায়গাটি একটি বালির টিলা। ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পে এলাকাটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং গ্রামবাসীরা এখন অরুণাচল প্রদেশের দিবাং উপত্যকা জেলার বুলুং নামে একটি নতুন গ্রামে বসবাস করছে। অরুণাচল সরকার এই গ্রামে সুধাকান্তের স্মরণে একটি মূর্তি স্থাপন করেছে।
সাদিয়ার ভৌগলিক অবস্থান হল ২৭°৫০′ উত্তর ৯৫°৪০′ পূর্ব / ২৭.৮৩° উত্তর ৯৫.৬৭° পূর্ব[১] এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২৩ মিটার (৪০৪ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।
সাদিয়াকে অনেকে দিহাং (চাংপু, সিয়াং, ব্রহ্মপুত্রের মূল স্রোত), দিবাং এবং লাল নদীর সঙ্গম দ্বারা গঠিত বিশাল ব্রহ্মপুত্র দ্বারা সৃষ্ট বিশ্বের বৃহত্তম স্থলভাগ হিসেবে বিবেচনা করে।
সাদিয়া ১৪ নং লখিমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, বিধানসভা কেন্দ্রের নাম হল ১২৬ নং সাদিয়া বিধানসভা কেন্দ্র।
সাদিয়া তিনসুকিয়া জেলার তিনটি মহকুমার একটি। চাঁপাখাওয়া সাদিয়ার কেন্দ্রস্থল [২] সাদিয়াকে ২৬ জানুয়ারি মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সাদিয়া মহকুমায় চাপাখাওয়া নামে একটি পৌরসভা রয়েছে। এই পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন বিপিন গগৈ। সাদিয়া মহকুমায় ১১ টি পঞ্চায়েত এবং দুটি জেলা পরিষদ রয়েছে।
সাদিয়া মহকুমার বিভিন্ন স্থানে অনেক পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু স্থান হলঃ
প্রাচীনকাল থেকেই সাদিয়ায় চুতিয়া সম্প্রদায়ের দেউরি-চুতিয়া লোকেরা এই শালগুলি ব্যবহার করে আসছে। প্রতি বছরের বৈশাখ, আষাঢ় বা শ্রাবণ, কার্তিক ও মাঘ মাসে পূজা করা হয়।
প্রতি তিন বছর পর চতুর্থ বছরে একটি করে ষাঁড় বলি দেওয়া হয়। অতীতে এসব শালে মানবও বলি দেওয়া হতো। দেউরিরা এখনও এই শালগুলিতে পুরোহিত হিসাবে কাজ করে।
সাদিয়ায় চুতিয়া রাজত্বকালের খনন করা বেশ কিছু পুকুর দেখা যায়।