ইহুদি ধর্ম |
---|
একটি সিরিজের অংশ |
|
সানহেদ্রিন ( হিব্রু এবং ইহুদী ফিলিস্তিন আরামিক : סנהדרין ; গ্রীক : সিনেদ্রিয়ন, যার মানে একসাথে বসা কিংবা সভা, সমাবেশ করা[১]) হল প্রাচীন ইসরাঈল এর বিচারসভা যেখানে ২৩ কিংবা ৭১ জন রাব্বি বা তোরাহ ( ইসলাম ধর্মে যা তাওরাত ) এর শিক্ষক । তখনকার সময় ২ ধরনের সানহেদ্রিন বিচারসভা প্রচলিত ছিল বড় পরিসরের সানহেদ্রিন এবং ছোট পরিসরের সানহেদ্রিন। প্রতিটি শহরের জন্য নিয়োজিত করা হত ২৩ জন বিচারক বা রাব্বি সংবলিত ছোট সানহেদ্রিন বা বিচারসভা। কিন্ত রাজ্য বা দেশের জন্য ছিল ৭১ জন রাব্বি সংবলিত একটি মাত্র বড় সানহেদ্রিন বা বিচার সভা, যার কার্যকলাপ এখনকার সুপ্রিম কোর্ট এর মত ছিল, যেমনঃ ছোট সানহেদ্রিনের বিচারে সন্তষ্ট না হলে বড় সানহেদ্রিন এ আপিল করা যেত।সাধারনত নাসি (হিব্রু প্রিন্স) রাজ্য প্রধান এবং কোর্ট এর একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং আভে-বিত-দিন(বিচার সভার প্রধান) ক্ষমতার দিক থেকে নাসি এর পরেই তার অবস্থান ।
দ্বিতীয় মন্দিরের যুগে, গ্রেট বা বড় সানহেদ্রিন জেরুজালেম এর হল অফ হিউন স্টোন্স নামক মন্দিরে অনুষ্ঠিত হত। গ্রেট সানহেদ্রিন এর সভা উৎসব এবং সাব্বাত এর দিন ছাড়া প্রতিদিনই বসত। দ্বিতীয় মন্দির ধ্বংসের পরে এবং বার-খোবা-অভ্যুত্থান এর ব্যার্থতার কারণে। গ্রেট সানহেদ্রিন গ্যালিলেতে সরিয়ে আনা হয়, যা কিনা সিরিয়া ফিলিস্তিনে রোমান রাজ্যের অংশ হিসেবে পরিনত হয়। এসময় গ্রেট সানহেদ্রিন মাঝে মাঝে “Galilean Patriarchate or Patriarchate of Palaestina” নামে সম্ভোধিত হয় কারণ এটি গ্যালিয়ান আইনই সংস্থা পরিচালনার কেন্দ্র ছিল । ২০০ সি.ই এর শেষের দিকে রোমানদের নির্যাতন এবং নিপীড়নে এর কারণে এবং বেইত-হামিদ্রাশ(শিক্ষার ঘর) ‘সানহেদ্রিন’ নামটি মুছে ফেলা হয়। সানহেদ্রিন এর বিচারকৃত শেষ ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় ৩৫৮ সি.ই তে যখন হিব্রু পুঞ্জিকা বাতিল ঘোষণা করা হয়। ৪২৫ সি.ই তে রোমানদের ব্যপক নির্যাতনের মুখে গ্রেট সানহেদ্রিন এর বিলুপ্তি ঘটে। বহু শতক যাবত এই প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন নেপোলিয়ান বোনাপার্রটের গ্র্যান্ড সানহেদ্রিন এবং আধুনিক ইসরাইল এর কয়েক দফা চেষ্টা।
হিব্রু বাইবেলে[২] বলা হয় স্বয়ং শ্রষ্ঠা হতে মোসেস(ইসলাম ধর্মে মূসা) এবং তার অনুসারীদের বিচার ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় এবং ইসরাইলের মানুষদের তাদের প্রতিটি বিচার এবং আইন মেনে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রাচীন ইসরাইল এর বিচারকরা সাধারনত ইসরাইলি জাতির ধর্মীয় নেতা বা শিক্ষক ছিল। বিচার সভায় সাধারনত ২৩ জন থাকত (পক্ষে ১২, বিপক্ষে ১০, ১ জন বিচারক) এ সভা সাধারনত ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কাজ করত।
হাসমোনিয়ান কোর্টের প্রধান ইহদি রাজা অ্যালেক্সান্ডার জেনাস এবং পরে রানী সালোমি আলেক্সান্ডারকে সিনহেদ্রিয়ন বা সানহেদ্রিন বলা হত। সানহেদ্রিন নামটির প্রকৃত উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
এটা হতে পারে কোন ঋষি এর নাম থেকে এসেছে বা হতে পারে প্রাচীন প্রশান বা বিচার ব্যবস্থা বিষয়ক কোন প্রতিষ্ঠানের নাম। প্রথম প্রথম ঐতিহাসিক নথিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায় আউলুস গাবিনাস এর শাসন আমলে জোসেফাস এর মতে তিনি ৫৭ বি.সি.ই তে ৫ টি সিনেদ্রার আয়োজন করেন কারণ তৎকালীন রোমান প্রশাসন এ বিষয়ে চিন্তিত ছিলনা যদিনা তারা বিদ্রোহের আভাস পেত [৩]।
ইতিহাসে প্রথম সিনহেদ্রিয়ন নামটির উল্লেখ পাওয়া যায় "Psalms of Solomon (XVII:49)" , গ্রীক ভাষায় লিখা একটি ইহুদি ধর্মীয় গ্রন্থ ।
সিনহেদেরিয়ন কথাটি ২২ বার গ্রীক নিউ টেস্টামেন্ট এবং গসপেল এ জিসাস এর বিচার এবং এক্ট অফ আপোস্টলেস যা কিনা গ্রেট সিনহেদ্রিয়ন শব্দটি উল্লেখ করে, পঞম পাঠে যেখানে রাব্বি গামালিয়েল এর দেখামিলে এবং সপ্তম পাঠে যেখানে পাথর নিক্ষেপে সেইন্ট স্টেফেন এর মৃত্যুর কথা বলা হয়।
"The Mishnah tractate (IV:2)" এ উল্লেখ আছে যে সানহেদ্রিন হিসেবে নিদৃষ্ট ব্যক্তিদ্বয়কে নির্বাচিত করতে হবেঃ ধর্মীয় গুরু, লেভিট গোত্ত্রের ইহুদি, বা সাধারন কিন্ত বিশুদ্ধ ইহুদি যাদের পুর্বপুরুষ প্রকৃত ইহুদি ছিল.
৭০ সি.ইতে দ্বিতীয় মন্দির ধ্বংসের পরে । সানহেদ্রিয়ান পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ইয়াভনেতে কিন্ত এবার এর কর্তৃত্ব হ্রাস করা হয়। সমস্ত দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে যাওয়া হয় উষাতে গামালিয়েল-২ এর অধীশাসনে। পরে
১১৬ সি.ই তে আবার ইয়াভনেতে নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে আবার উষাতে স্থান্তার করা হয়।
রাব্বিনিক লিপি নির্দেশ করে ইস্রাইলি ভুমিতে বার-খোবা অভ্যুত্থানের পরে দক্ষিণ গ্যালিলে রাব্বিনিক শিক্ষার কেন্দ্রে পরিনিত হয়। অঞ্চচলটি দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হত যা কিনা উষায় অবস্থিত ছিল।
পরে বেত সিয়ারিম এবং পরবর্তীতে সেফোরিস এবং পরিশেষে টিবেরিয়াসে।
গ্রেট সিনহেদ্রিয়ানকে ১৪০ সালে সিফারাম এ স্থান্তরিত করা হয় শিমন বেন গ্যাম্লিয়েল ২ এর শাসনামলে এবং বেইত সিয়ারিমে স্থান্তরিত করা হয় এবং ১৬৩ তে জুডাহ ১ এর শাসনামলে সিফোরিসে স্থান্তরিত করা হয়।
পরিশেষে ১৯৩ তে গ্যামালিয়েল ৩ বেন জুডা হানাসি এর শাসনামলে টিবেরিসে স্থান্তরিত করা হয়[৪]।
গ্যমালেইল ৪ (২৭০-২৯০) এর শাসনামলে সানহেদ্রিন নামটি সরিয়ে দেয়া হয়। ৩৬৩ সনে রাজা জুলিয়ান একজন ক্রিস্টান এপোস্টেট মন্দির পুর্ননির্মানের নির্দেশ দেন কিন্ত তা ব্যার্থ হয়।
পরবর্তিতে রাজা থিওডসিয়াস ১ (৩৭৯-৩৯২ সি.ই) সানহেদ্রিয়ান সভার উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। নতুন কেউ রাব্বি হিসেবে অভিষিক্ত হলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা ছিল এবং যে শহর সানহেদ্রিয়ান সভা আয়োজন করবে সেই শহর ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি ছিল[৫]।
৩৫৮ সি.ইতে হিব্রু কেলেন্ডার এর গাণিতিক ভিত্তিস্থাপন এর মধ্যদিয়ে সানহেদ্রিনের শেষ সভা ঘটে এবং এটাই সানহেদ্রিন এর শেষ বিচার কার্যক্রম ছিল । গ্যামালিয়েল ৬(৪০০-৪২৫) সানহেদ্রিনের শেষ নেতা ছিলেন। ৪২৫ সি.ইতে তার মৃত্যুর কারণে থিওডসিয়াস ২
নাসি পদে নিষেধাজ্ঞাজারি করেন যা প্রাচীন সানহেদ্রিনের ধ্বংসাবশেষ ছিল। ৪২৬ সি.ইতে একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে ধীরে ধীরে ইহুদিদের প্রশাসনিক দপ্তরথেকে সরিয়ে দেয়া হয়[৬]।
তালমুড ট্রাক্টেট সানহেদ্রিন ২ ধরনে রাব্বানিকাল আদালত চিহ্নিত করে একটি গ্রেট বা মহান সানহেদ্রিন (בית דין הגדול) এবং আরেকটি ছোট পরিসরের সানহেদ্রিন(בית דין הקטן) প্রতিটি শহরের জন্য নিয়োজিত ছিল ২৩ জন রাব্বি সংবলিত ছোট সানহেদ্রিন বা বিচারসভা।
কিন্ত রাজ্য বা দেশের জন্য ছিল ৭১ জন রাব্বি্র একটি মাত্র গ্রেট সানহেদ্রিন, যার কার্যকলাপ এখনকার সুপ্রিম কোর্ট এর মত ছিল। রাব্বির সংখ্যা বেজোড় ছিল যাতে করে নিশ্চিত একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াযায়। সবার শেষে সভাপতি বা বিচার সভার প্রধান ভোট দিতেন।
সানহাদ্রিন একটি পরিপূর্ণ সংগঠন হিসেবে অন্যন্য ছোট ইহুদী আদালত থেকে বেশি শক্তিশালী ছিল। এবং তাদের ক্ষমতা মন্দির এবং জেরুজালেমের বাইরেও,রাজার বরাবরই ছিল। সমস্ত নিয়ম কানুন জনিত প্রশ্ন বা সমস্যা তাদের কাছেই আসত এবং তারাই সমধান দিত। ১৯১ বি.সি.ইতে উচ্চমান পুরোহিত সানহেদ্রিনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে[৭] , কিন্ত ১৯৫১ বি. সি.ইতে তারা উচ্চমান পুরোহিতের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলে এবং নাসি নামক একটি পদ এবং দপ্তর তৈরী করা হয়। হিল্লেল দি এল্ডার(প্রথম বিসিই শতকের শেষের দিকে এবং প্রথম সিই শতকের শুরুর দিকে) এর পর্বর্তিতে তার বংশধোরই নাসি হিসেবে মনোনিত হতে থাকে। নাসির পরের পদই হল আভ বেইত দিন বা আদালতের প্রধান যিনি কিনা অপরাধ বিষয়ক যেকোন বিচারের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিত[৮]।
দ্বিতীয় মন্দিরিয় যুগে সানহেদ্রিন অনুষ্ঠিত হত কাটা পাথর দ্বারা তৈরী মন্দিরে (Lishkat ha-Gazit) উত্তরের দেয়ালে তালমূদ এবং অন্যান্য গ্রন্থাগার রাখা হত বাহির এবং ভেতরে দরজা ছিল যাতে সহজেই মন্দিরের ভিতর কিংবা বাহির হতে এগুলো ব্যবহার করা যায়।
মন্দিরটি এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছিল যাতে সহজেই বোঝা যায় এটি একটি মন্দির । মন্দির প্রাঙ্গনে পাথর এবং লোহাও ব্যবহৃত হত। মাঝে মাঝে ছোট ২৩ জন বিচারকের সানহেদ্রিনের সভা এখানে বসত এবং তারা যদি কোন সিদ্ধান্তে না আসতে পারত[৯] কিংবা বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (যেমন যুদ্ধের ডাক দেয়া) হলে গ্রেট সানহেদ্রিন বা ৭১ বিচারকের সমন্বয়ে সভা বসত[৯]।
দ্বিতীয় মন্দিরিয় যুগে সানহেদ্রিন হল কাটা পাথর দ্বারা তৈরী মন্দিরের উত্তরের দেয়ালে তালমূদ এবং অন্যান্য গ্রন্থাগার রাখা হত বাহির এবং ভেতরে দরজা ছিল যাতে সহজেই মন্দিরের ভিতর কিংবা বাহির হতে এগুলো ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয় মন্দিরিয় যুগের শেষের দিকে সানহেদ্রিন এর গুরুত্ব শীর্ষে ছিল, তারা ধর্মীয় অনুশাসন এবং আইন কার্য পরিচালনা করত ।
২০০৪ সালে ইস্রায়েল পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ টিবেরিয়াসে খননের মাধ্যমে একটি অবকাঠামো আবিষ্কার করে ধারণা করা হয় এটি বি.সি.ই তৃতীয় শতকের। এবং অবকাঠামোটি সানহেদ্রিনের কোন একটি আসন যা কিনা বেইত হাভাত এর আসন হতে পারে।
১৯১ বি.সি. এর পুর্বে উচ্চমান পুরোহিত সানহেদ্রিনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে[৭], কিন্ত ১৯৫১ বি. সি.র পর তারা উচ্চমান পুরোহিতের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলে এবং নাসি নামক একটি পদ এবং দপ্তর তৈরী করা হয়. সানহেদ্রিন গুরুত্বপূর্ণ তাল্মুদ শিক্ষার দিকে ধাবিত হয়, প্রতিষ্ঠানটি
প্রাচিনকাল থেকেই ইহুদি নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্ঠান।
. হিল্লেল এর সদস্য এবং রাজা ডেভিড এর বংশধর হওয়ার কারণে,সভাপতিরা, যাদের হিব্রুতে বলা হত নাসি (প্রিন্স), রাজকীয় সমাদর পেত. তারা সাধারনত রাজনৈতিক বিষয় নজর দিত, যদিও তারা ধর্ম নিরপেক্ষত ছিলনা[১০]।
সভাপতি | দাপ্তরিক সময়কাল | |
---|---|---|
উসি বেন উজির | ১৭০ বিসিই | ১৪০ বিসিই |
জসুয়া বেন পেরাচিয়া | ১৪০ বিসিই | ১০০ বিসিই |
সায়মন বেন সেতাচ | ১০০ বিসিই | ৬০ বিসিই |
মায়া | ৬৫ বিসিই | ৩১ বিসিই |
হিল্লেল দি এল্ডার | ৩১ বিসিই | ৯ সিই |
রাব্বান সায়মন বেন হিল্লেল | ৯ | ৯ |
রাব্বান সাম্মাই | ৯ | ৩০ |
রাব্বান গ্যামালিয়েল দি এল্ডার | ৩০ | ৫০ |
রাব্বান সায়মন বেন গ্যাম্লিয়েল | ৫০ | ৮০ |
রাব্বান গ্যামালিয়েল ২ অফ ইয়েভনে | ৮০ | ১১৮ |
রাব্বি এলেজার বিন আজারিয়া | ১১৮ | ১২০ |
বিরতি(বার খোবা অভ্যুত্থান | ১২০ | ১৪২ |
রাব্বান সায়মন বেন গ্যাম্লিয়েল ২ | ১৪২ | ১৬৫ |
রাব্বি জুডা হানাসি | ১৬৫ | ২২০ |
গ্যাম্লিয়েল ৩ | ২২০ | ২৩০ |
জুডা ২ নাসিয়া | ২৩০ | ২৭০ |
গ্যাম্লিয়েক ৪ | ২৭০ | ২৯০ |
জুডা ৩ নাসিয়া | ২৯০ | ৩২০ |
হিল্লেল ১ | ৩২০ | ৩৬৫ |
গ্যাম্লিয়েল ৫ | ৩৬৫ | ৩৮৫ |
জুডা ৪ | ৩৮৫ | ৪০০ |
গ্যাম্লিয়েল ৬ | ৪০০ | ৪২৫ |
সানহেদ্রিয়ান ঐতিহাসিক ভাবে ইহুদি কর্তিপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সার্বজনীন স্বীকৃত সর্বশেষ একটি প্রতিষ্ঠান ছিল যা কিনা দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসছিল (মোসেস এর সময়কাল হতে ৩৫৯ সিই) যা কিনা একটি রাজকীয় ডিক্রি দ্বারা বন্ধ করা হয়। এর পরে এটী অনেকবার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয় হয়ত শায়িত্ত শাসিত ভাবে কিংবা কোন স্বাধীন সরকারে নিয়ন্ত্রে।
কিছু নথি নির্দেশ করে আরবে খলিফা উমর এর আমলে জেরুজালেমে এবং বেবিলনে(ইরাক)[১১] সানহেদ্রিন পুর্নঘঠনে চেষ্টা করা হয়[১২] । কিন্ত কোন চেষ্টাই রাব্বানিক কর্তিপক্ষ নজরে আনেনা এবং সম্পরকে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।
"গ্র্যান্ড সানহেদ্রিন" ছিল ইহুদীদের উচ্চমান বিচার আদালত যার সভাপতিত্বে ছিলেন নেপোলিয়ন ১ সরকারের উথাপিত ১২ টি প্রশ্নের উত্তর এর অনুমতি দিতেন তিনি ।
৬ই অক্টোবর ১৮০৬ সালে প্রথম শ্রেনীর সচিবের সমস্ত ইহুদীদের সানহেদ্রিনে কর্মী পাঠানোর জন্য চিঠি পাঠায় পুরো ইউরোপ জূড়ে। ঘোষণাটি হিব্রু ফরাসি জার্মান এবং ইটালিয়ান ভাষায় প্রদান করা হয় যে এবং পুনরুজ্জিবিত এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব এবং মহত্ত্ব এর কথা বলা হয়। এছড়াও নেপোলিয়ানের পদক্ষেপ জার্মান ইহুদীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশাজাগায়। যখন প্রুসিয়া (১৮০৬-০৭) এ আক্রমণ চালান হয় পোলান্ডে ।
ইহিদিরা সৈন্য হিসেবে ভাল দক্ষতা দেখিইয়েছে, নেপোলিয়ান হেসে বলেন যে “সানহেদ্রিয়ান অন্তত আমার কোন কাজে আসল”। ডেভিড ফ্রিডল্যান্ডার এবং তার বন্ধু বেরলিন বর্ণনা করেন যে এটী পারসিয়ান্দের জন্য নেপোলিয়ানের একটি প্রদর্শনী ছিল।
৩৫৮ সিইতে সানহেদ্রিয়ানের বিলুপ্তির পরে হালাখাদের মধ্য আর কোন সার্বজনীন কর্তৃপক্ষ ছিলনা [১৩]। মাইমোনিডেস(১১৩৫-১২০৪) মধ্যযুগের সবচেয়ে বড় পণ্ডিত ছিলেন এবং ৫০০ তে তালমুদ বন্ধ হওয়ার পরথেকে ইহুদীদের মধ্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পণ্ডিত ছিলেন। যুক্তিবাদ শিক্ষায় অনুপ্রানিত হয়ে এবং ইহুদীদের মুক্তির জন্য মাইমোনিডেস প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং উচ্চাদালত এর পুর্নপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি একটি যুক্তিসম্পন্ন সমাধান দেন । মাইমোনিডেস এর সুপারিশে তা করতে চেষ্টাও করা হয়।
বর্তমান আধুনিক সময়েও ১৫৩৮ সালে রাব্বি জ্যাকব বেরাব,১৮৩০ সালে রাব্বি ইস্রল শক্লাভার, ১৯০১ সালে রাব্বি আহারন মেন্ডেল,১৯৪০ রাব্বি ভি কভসার,১৯৪৯ সালে এর দ্বারা রাব্বানিকাল ভাবে সেমিচা এবং সানহেদ্রিন পুর্নপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়।
ইয়েহুদা লেইব মাইমন এবং অক্টোবর ২০০৪ সালে(টিস্রেই ৫৭৬৫) একদল রাব্বি এক এক গোত্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে একটি সভা করে টিবেরিয়াসে যেখনে প্রথম সানহেদ্রিয়ান সভা সংগঠিত হয় এবং তারা দাবি করে তারা মাইমোনডিস এর উপদেশ মেনে সানহেদ্রিয়ান পুর্নপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং রাব্বি ইউসেফ কারোর দ্বারা ইহুদীদের শাসন স্থাপিত হয়েছে[১৪]। এ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন ইহুদী সমাজে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)