সাফারি হল এক ধরনের ভ্রমণ, যা ভূমির উপরে থেকে সংগঠিত হয়। সাধারণত আফ্রিকায় পর্যটকের এই ধরনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পূর্বে এই ধরনের ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল শিকার, কিন্তু বর্তমানে সাফারিতে বনাঞ্চল পরিদর্শন ও ছবি তোলা অথবা হাইকিং ও দৃশ্য দেখা হয়ে থাকে।
সোয়াহিলি ভাষার সাফারি শব্দের অর্থ ভ্রমণ। আরবি বিশেষণবাচক শব্দ সফর (سفر) থেকে এই শব্দের উৎপত্তি, আরবি সফর শব্দের অর্থ হল ভ্রমণ, পর্যটন, বা সমুদ্রযাত্রা।[১] ভ্রমণের সোয়াহিলি ক্রিয়াবাচক শব্দ হল কুসাফিরি। এই শব্দগুলো নাইরোবি থেকে মোম্বাসা পর্যন্ত বাসে ভ্রমণ বা দার এস সালাম থেকে উনগুজা পর্যন্ত ফেরিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১৮৫০-এর দশকের শেষভাগে অভিযাত্রী রিচার্ড ফ্রান্সিস বার্টনের মাধ্যমে শব্দটি ইংরেজি ভাষায় প্রবেশ করে।[২]
১৮৩৬ সালে উইলিয়াম কর্নওয়ালিস হ্যারিস তার দল নিয়ে বনাঞ্চল ও নৈসর্গিক দৃশ্য পর্যবেক্ষণ ও দৃশ্যধারণের জন্য একটি ভ্রমণে যান। হ্যারিস ভ্রমণের সাফারি ধরনটি প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে তার সূর্যের প্রথম কিরণে অল্প তেজ্বসী পদচারণা দিয়ে শুরু করেন, দিনের বেলায় তেজ্বসী পদচারণ করেন, বিকালে বিশ্রাম নেন এবং রাতের আহার শেষ করে সন্ধ্যায় পানীয় ও ধুমপানের সাথে গল্পে লিপ্ত হন।[৩]
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে আফ্রিকার সাফারি নিয়ে কয়েকটি কল্পকাহিনি ও অ-কল্পকাহিনি রচনা করেছেন। তার ছোটগল্প "দ্য শর্ট হ্যাপি লাইফ অব ফ্রান্সিস ম্যাকম্বার" ও "দ্য স্নোস অব কিলিমাঞ্জারো" আফ্রিকার সাফারির পটভূমিতে রচিত এবং এই গল্প দুটি হেমিংওয়ের সাফারি ভ্রমণের নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত।[৪] তার গ্রিন হিলস আফ্রিকা ও ট্রু অ্যাট ফার্স্ট লাইট বই দুটিও আফ্রিকার সাফারির পটভূমিতে রচিত।