সাবিত্রী | |
---|---|
জন্ম | সাবিত্রী ৬ ডিসেম্বর ১৯৩৬ |
মৃত্যু | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮১ | (বয়স ৪৫)
অন্যান্য নাম | মহানতি সাবিত্রী নদীগায়ার তিলক |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেমিনি গণেশন (১৯৫২-'৮১; সাবিত্রীর মৃত্যু) |
পুরস্কার | রাষ্ট্রপতি পুরস্কার নন্দী পুরস্কার |
সাবিত্রী (১৯৩৬-১৯৮১) ভারতের একজন অভিনেত্রী ছিলেন যিনি মূলত তেলুগু এবং তামিল ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন। ১৯৫২ সালের তেলুগু চলচ্চিত্র পেল্লি চেসি চুড়ুতে সাবিত্রী প্রথম অভিনয় করেছিলেন। ১৯৬০ সালের চলচ্চিত্র চিভারাকু মিগিলেড়ি (তেলুগু) এর জন্য সাবিত্রী রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি নিজেই একটি তেলুগু চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছিলেন যেটির নাম ছিলো চিন্নারি পাপালু, এই চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি নন্দী পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাকে মাঝেমধ্যেই মহানতি (মহান অভিনেত্রী) বা নদীগায়ার তিলাগাম (অভিনেত্রীদের গর্ব) বলে মনে করা হয়। তামিল এবং তেলুগু ছাড়াও তিনি কিছু হিন্দি, কন্নড় এবং মালয়লাম ভাষার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন।
ভারতের ৩০তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সাবিত্রীর নাম গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছিলো। তার অভিনয় করা গুরুত্বপূর্ণ তামিল চলচ্চিত্র গুলো হলোঃ কালাথুর কান্নামা (১৯৫৯), পাশামালার (১৯৬১), পাভা মান্নিপ্পু (১৯৬১), পারতাল পাছি তিরুম (১৯৬২), কারপাগাম (১৯৬৩), কারণান (১৯৬৩), কাই কোড়ুতা দেইবাম, নবরাত্রী (১৯৬৪) এবং তিরুবিলাইয়াডাল (১৯৬৫)। ২০১৮ সালে মহানতি নামের একটি তেলুগু চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যেটি নাগ অশ্বিন পরিচালনা করেছিলেন এবং এটি সাবিত্রীর জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ছিলো, চলচ্চিত্রটিতে দুলকার সালমান, কীর্তি সুরেশ এবং সামান্থা রুথ প্রভু অভিনয় করেছিলেন।
১৯৩৬ সালে সাবিত্রীর জন্ম হয়েছিলো তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সীর গুন্টুর জেলার চিরাভুরুতে, এটা এখন অন্ধ্র প্রদেশ এর অংশ। তিনি একটি তেলুগুভাষী পরিবারে জন্মেছিলেন; তার পিতার নাম ছিলো নিশাংক গুরুভাই নাইড়ু এবং মার নাম ছিলো শুভাধ্রাম্মা।[১][২] সাবিত্রীর বয়স ছয় মাস থাকাকালীনই সাবিত্রীর বাবা মারা যান এবং তারপর সাবিত্রীকে নিয়ে তার মা সাবিত্রীর মামার বাসায় উঠেছিলেন।[৩]
১৯৫২ সালে তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা জেমিনি গণেশনকে বিয়ে করেছিলেন সাবিত্রী, ১৯৪৮ সালে তার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিলো তার। গণেশন আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন বিধায় সাবিত্রীর মামা সাবিত্রীর উপরে রাগ করেছিলেন। সাবিত্রী জেমিনির সঙ্গে বিয়ের পর 'সাবিত্রী গণেশন' লেখে স্বাক্ষর করতেন।[৪]
১৯৮১ সালের ২৬শে ডিসেম্বর সাবিত্রী ১৯ মাস কোমায় থাকার পর মারা যান; তিনি অনেক মদ পান করতেন। ১৯৬৯ সাল থেকে তিনি নিয়মিত মদ পান করতেন দুশ্চিন্তার জন্য এবং তার শরীরে পরে ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্ত চাপ দেখা গিয়েছিলো।[৫]