সাভার | |
---|---|
শহর | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ঢাকা জেলা |
উপজেলা | সাভার উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | সাভার পৌরসভা |
আয়তন | |
• মোট | ১৩.৫৪ বর্গকিমি (৫.২৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২,৯৬,৮৫১ |
• জনঘনত্ব | ২২,০০০/বর্গকিমি (৫৭,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
সাভার বাংলাদেশের মধ্যাংশে, ঢাকার নিকটবর্তী ও ঢাকা জেলায় অবস্থিত একটি শহর। ঢাকা হতে ২৪ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এ শহরটি ঢাকার সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর। এটি ঢাকা থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে অবস্থিত ঢাকা জেলার ২য় বৃহত্তম শহর এবং যা ঢাকা মেগাসিটিরর অংশ। এটি সাভার উপজেলার সদর দপ্তর। সাভারের মোট আয়তন ১৩.৫৪ বর্গকিলোমিটার এবং মোট জনসংখ্যা ২৯৬,৮৫১ জন, যা একে বাংলাদেশের ১১তম বৃহৎ শহরে পরিণত করেছে।[১]
ময়নামতির তান্ত্রিক মহারানীর পুত্র গোপীনাথের সঙ্গে হরিশচন্দ্র রাজার জেষ্ঠা কন্যা অনুদার বিয়ে এবং কনিষ্ঠ কন্যা পদুনাকে যৌতুক প্রদানের গল্প কাহিনী সাভারের অনেকের কাছেই শোনা যায়। হরিশচন্দ্রের দ্বাদশ পুরুষ শিবচন্দ্র রায় তার শেষ জীবন কাশী গয়ায় অতিবাহিত করে প্রয়াত হন। শিবচন্দ্রের একাদশ পুরুষ তরুরাজ খাং এর প্রথম ও দ্বিতীয় পুত্র শুভরাজ ও যুবরাজ হুগলীতে চলে যান। তৃতীয় ও চতুর্থ পুত্র বুদ্ধিমন্ত ও ভাগ্যমন্ত পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাদের এক বংশধর সিদ্ধ পুরুষ খ্যাতি লাভ করেন এবং তার সমাধী কোন্ডা গ্রামে খন্দকারের দরগা নামে আজও বিদ্যমান।
১৯৫৯ সালে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন হলে সাভার থানা কাউন্সিল গঠিত হল এবং ১৯৯১ সালে সাভার পৌরসভা গঠিত হয়।[২]
রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে বংশী ও ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গমস্থলে সাভার অবিস্থিত। এটি ২৩º৪৪΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪º০২΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৯০º১১΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯০º২২΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ১৩.৫৪ বর্গকিলোমিটার। এলাকাটি মধুপুর প্লাইস্টোসিন উঁচু ভূমির দক্ষিণাংশের অন্তর্ভুক্ত। এর ভূমিস্তর বেশ উঁচু। উঁচু স্তরের ভূমি ‘চালা’ এবং দুই উঁচু ভূমির মাঝের নিচু অংশ ‘বাইদ’ নামে পরিচিত।[৩]
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী সাভারের মোট জনসংখ্যা ২৯৬,৮৫১ জন।[২] যার মধ্যে ১৩২,৬৯৮ জন পুরুষ এবং ১২৪,০৬২ জন মহিলা এবং এই বিপুল জনসংখ্যা ৬০,২৯০টি খানায় বাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১,৩০৬ জন লোক বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০ঃ১০৭ এবং সাক্ষরতার হার ৬৬.৫% (৭ বছরের উর্দ্ধে)।[২]