একটি হুন্তা প্রায়ই একটি কু দেতার[খ] ফলে ক্ষমতায় আসে।[১] হুন্তা ফরমান দ্বারা শাসনের ক্ষমতা দিয়ে হয় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের পরিচালনা পরিষদ হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে অথবা একটি নামমাত্র বেসামরিক সরকারের উপর বাধ্যতামূলক (কিন্তু অনানুষ্ঠানিক) নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে ক্ষমতা চালাতে পারে।[৩] হুন্তা শাসনের এই দুটি রূপকে কখনও কখনও প্রকাশ্য শাসন ও ছদ্মবেশী শাসন বলা হয়।[৪] ছদ্মবেশী শাসন বেসামরিকীকরণ বা পরোক্ষ শাসনের রূপ নিতে পারে।[৪] বেসামরিকীকরণ ঘটে যখন একটি হুন্তা প্রকাশ্যে তার স্পষ্ট সামরিক বৈশিষ্ট্য খতম করে, কিন্তু তার আধিপত্য জারি রাখে।[৪] উদাহরণস্বরূপ, হুন্তা সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পারে, বেসামরিক পোশাকের পক্ষে সামরিক উর্দি পরিত্যাগ করতে পারে, প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে সরকারকে “উপনিবেশায়ন” করতে পারে এবং রাজনৈতিক দল বা গণসংগঠনের ব্যবহার করতে পারে।[৫] “পরোক্ষ শাসনে” একটি বেসামরিক পুতুল সরকারের উপর হুন্তার গোপন, পর্দার আড়ালে থেকে নিয়ন্ত্রণ জড়িত থাকে। সামরিক বাহিনী দ্বারা পরোক্ষ শাসনের মধ্যে হয় সরকারের উপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ বা সামরিক বা জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ের মতো নীতিগত ক্ষেত্রগুলির একটি সংকীর্ণ সমুচ্চয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।[৪]
১৯২০-এর দশক থেকে প্রায়শই লাতিন আমেরিকায় সামরিক হুন্তাদের দেখা গেছে, সাধারণত একটি “প্রাতিষ্ঠানিক, উঁচুমানের কর্পোরেট/পেশাদার হুন্তা” আকারে বিভিন্ন সামরিক শাখার (স্থলফৌজ, নৌফৌজ ও আকাশফৌজ) কমান্ডিং অফিসারদের নেতৃত্বে এবং কখনও কখনও জাতীয় পুলিশ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রধানের সহযোগে।[৩] রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্যামুয়েল ফিনার ১৯৮৮ সালে লিখেছিলেন যে, লাতিন আমেরিকার হুন্তাদের মাঝে অন্যান্য জায়গার হুন্তাদের চেয়ে ছোট হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়; মধ্যবর্তী হুন্তার ১১ জন সদস্য ছিল, যেখানে লাতিন আমেরিকান হুন্তাদের সাধারণত তিন বা চারজন সদস্য ছিল।[৩] “কর্পোরেট” সামরিক অভ্যুত্থানকে “দলীয়” সামরিক অভ্যুত্থান থেকে আলাদা করা হয়েছে। প্রাক্তনগুলি একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সামরিক শ্রেণিবিন্যাসের শীর্ষে সিনিয়র কমান্ডারদের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়, অন্যদিকে পরেরটি সশস্ত্র বাহিনীর একটি অংশ দ্বারা পরিচালিত হয় এবং প্রায়শই মধ্য-পদাধিকারী অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হয়।[৩][৬]
অ্যানুয়াল রিভিউ অব পলিটিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সামরিক শাসন বেসামরিক একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সামরিক স্ট্রংম্যান উভয়ের থেকে ভিন্নভাবে আচরণ করে।[৭] গবেষণাটিতে দেখা গেছে যে, (১) “বেসামরিক একনায়কত্বের চেয়ে স্ট্রংম্যান ও সামরিক শাসনগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি”; (২) “সামরিক স্ট্রংম্যানরা সামরিক শাসন বা বেসামরিক একনায়কদের চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক যুদ্ধ শুরু করে, সম্ভবত কারণ তাদের উত্তরোত্তর নির্বাসন, কারাগার বা হত্যার ভয় পাওয়ার কারণ বেশি” এবং (৩) সামরিক শাসন ও বেসামরিক একনায়কতন্ত্র গণতন্ত্রায়নে পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর বিপরীতে সামরিক স্ট্রংম্যানগুলো প্রায়শই বিদ্রোহ, গণঅভ্যুত্থান বা আক্রমণের মাধ্যমে লোপ পায়।[৭]
↑ কখগঘPaul Brooker, Comparative Politics (ed. Daniele Caramani: Oxford University Press, 2014), pp. 101-102.
↑Brooker, Non-Democratic Regimes (2d ed.), p. 153.
↑David Kuehn, "Democratic Control of the Military" in Handbook of the Sociology of the Military (eds. Giuseppe Caforio & Marina Nuciari: Springer, 2nd ed.), p. 164.
↑ কখGeddes, Barbara; Frantz, Erica; Wright, Joseph G. (২০১৪)। "Military Rule"। Annual Review of Political Science। 17: 147–162। ডিওআই:10.1146/annurev-polisci-032211-213418।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)