সামসিং ডুয়ার্সের রানী | |
---|---|
গ্রাম | |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৩৫′ উত্তর ৮৮°৩৫′ পূর্ব / ২৬.৫৯° উত্তর ৮৮.৫৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | জলপাইগুড়ি |
সরকার | |
• ধরন | পঞ্চায়েত |
• শাসক | গ্রাম পঞ্চায়েত |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-WB |
যানবাহন নিবন্ধন | WB |
ওয়েবসাইট | wb |
সামসিং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ির সামসিং মাটিয়ালি (সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক)-এর একটি ছোট পাহাড়ি গ্রাম। গ্রামটি জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলা সীমান্তের পাদদেশে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।[১]
এটি চা বাগানের দৃশ্যাবলী, পাহাড় ও বনজসহ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য সুপরিচিত এবং এর ফলে সারা বছর প্রচুর পর্যটককে আকর্ষণ করে থাকে। পরিষ্কার দিনে ভুটানের তুষারের-আবরণ পাহাড়গুলিও এই জায়গা থেকে দেখা যায়। এটি নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যান[২] থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্রামে ৪০০০ এরও বেশি লোকের বাস রয়েছে। এখানকার জলবায়ু, কুয়াশা, বৃষ্টি এবং বয়ে চলা শীতল বাতাসসহ প্রচুর সুন্দর পিকনিক স্পট, পর্যটন স্থান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল লালি গুরাস, রকি আইল্যান্ড এবং সানতলে খোলা। নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যানটি এখান থেকে এক ঘণ্টা দূরত্বে। এখানেকার সুন্দর চা বাগানে পাহাড়ী এবং মাধেসিয়ার লোকেরা বাস করে থাকে। এখানকার চাক লে ইন্ডিয়া পিজা নামকরা পিজ্জা।
সামসিং দুটি ভাগে বিভক্ত; সামসিং বস্তি, যার মধ্যে খাসমহল এবং ফোরি রয়েছে এবং সামসিংয়ের চা বাগান। সামসিং টি এস্টেট জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের অধীনে এবং সামসিং বস্তি- সুন্দর বস্তি, খাসমহল ও ফোরীর সমন্বয়ে গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসনের আওতাধীন। এর তিনটি বিভাগও রয়েছে: - শীর্ষ রেখা, নিম্ন রেখা এবং ইওং টং বিভাগ। একসময় সামসিংয়ের চা এস্টেটের মালিক ছিলেন ব্রিটিশ সংস্থাগুলি। তারা শীর্ষ রেখাটিকে কুর্তি লাইন, নিউ স্কুল লাইন, গুম্বা লাইন, কমল ভবন লাইন, এমবিপি লাইন, এসবি লাইন (পরে পিপি লাইন নামে পরিচিত), মুন্সি লাইন এবং জংশন লাইনে বিভক্ত করেছিলেন। যেখানে প্রতিটি লাইন একটি করে ছোট নদী দ্বারা ভিভক্ত করা হয়ছে এবং সামসিং-এ একটি স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডও রয়েছে। স্থানীয় লোকেরা বেশিরভাগ চা বাগান এবং পর্যটন কাজে নিযুক্ত, তবে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অন্য কাজের সুযোগের জন্য বড় শহরে পারি দিয়েছে।
সামসিং একটি প্রগতিশীল স্থান কারণ এখানকার লোকেরা সর্বদা শিক্ষা এবং তাদের সংস্কৃতিকে মূল্যবান বলে বিবেচনা করেন। সামসিং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গার্ডেনউড একাডেমি এবং সাঁই শান্তি নিকেতন শিশুদের শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। এখানকার লোকেরা খুব শান্তিতে থাকে এবং গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে এখনও অবধি সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়নি। তবে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে দ্বিতীয় আন্দোলনে অনেকে হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন। ২০১৭ সালে তিনি এখন থেকে পালানোর পরে, শ্রী বিনয় তামাং জিটিএর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এখন উপত্যকাটি শান্তিপূর্ণ এবং উন্নয়নশীল। এই গ্রামের প্রাথমিক বাসিন্দারা চা বাগানের শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন যারা যথাক্রমে রাঙ্গেলি, সিকিম এবং ইন্দো-নেপাল পর্বত (মধেসিয়া) অঞ্চলের বাসিন্দা। তারা এই জায়গাটিতে এসেছিল কারণ তারা শুনেছিল যে চা গাছের পাতা নাকি টাকা বহন করে।