এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(আগস্ট ২০২৪) |
সায়মা ওয়াজেদ | |
---|---|
জন্ম | |
অন্যান্য নাম | পুতুল |
মাতৃশিক্ষায়তন | ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়[১] |
পেশা | অটিজমকর্মী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু |
সন্তান | ৪ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় |
|
পরিবার | দেখুন শেখ-ওয়াজেদ পরিবার |
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। তিনি বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।[৪] বর্তমানে তিনি নভেম্বর ১, ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।[৫][৬] তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকার ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য।[৭] তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী।[৮]
সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল মনস্তত্বে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।
তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরুপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন।[৯]
২০১৬ সালে ওয়াজেদ জনস্বাস্থ্যে তার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল পুরস্কার অর্জন করেন।[১০] ২০১৭ সালে, তিনি প্রতিবন্ধী ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি তার সক্রিয়তার জন্য ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষার্থী পদক প্রাপ্ত হন।[১][১১][১২]
অটিজম নিয়ে অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।[১৩]
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ব্যক্তিগত জীবনে খন্দকার মাশরুর হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির তিন কন্যা এবং এক ছেলে রয়েছে।[১৪]