সায়াকা ওসাকাবে | |
---|---|
![]() ২০১৫ সালে সায়াকা ওসাকাবে | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | জাপানি |
পেশা | আর্ট ডিরেক্টর, নারী অধিকার কর্মী |
কর্মজীবন | ২০১৪-বর্তমান |
পরিচিতির কারণ | নারী অধিকার কর্মী, অলাভজনক সংগঠন মাতাহারা নেটের সভাপতি |
সায়াকা ওসাকাবে হলেন জাপানি নারী অধিকার কর্মী।[১] তার প্রচেষ্টায় দেশটিতে মাতৃত্বকালীন সময়ে নারীদের হয়রানিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৫ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করা হয়।[২]
সায়াকা ওসাকাবে ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[১] তিনি যখন গর্ভবতী হন, তখন একটি সাময়িকীর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে কম সময় কাজ করার সুযোগ প্রদানের পরিবর্তে সে সময়ে সাময়িকীটির মালিক তাকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। দুইবার গর্ভস্রাব হবার পর, তিনি ছুটির জন্য দরখাস্ত করলে তার দরখাস্ত নামঞ্জুর হয়। ফলশ্রুতিতে, চাকরি ছাড়েন সায়াকা ওসাকাবে ও শ্রম আদালতে বিষয়টি নিয়ে মামলা করেন।[৩] ২০১৪ সালে তিনি মামলায় জেতেন এবং মাতাহারা নেট নামের একটি সংগঠন গঠন করেন।[৪] সংস্থাটি দেশটিতে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছে।[৫]
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা সূচকে জাপানকে ১০৪ নাম্বারে রেখেছে এবং পরিসংখ্যান বলে যে, জাপানের এক চতুর্থাংশ নারী গর্ভকালীন সময়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন।[৬] জাপানি আইন দেশটিতে গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন সময়ে কম পরিশ্রম ও ১৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন/পিতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করলেও চাকরি হারানোর ভয়ে অধিকাংশ নারীই এটা নিতে পারেন না।[৪]
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখে মাতাহার নেটের সদস্যরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় নিয়ে ট্রায়ালে যোগ দেন। হাসপাতালে কর্মরত একজন নারীকে গর্ভকালীন সময়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দেশটির নিম্ন আদালত এটিকে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে রায় দিয়েছিল, যেখানে জাপানি আইনে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ পুরোপুরিভাবে অবৈধ।[৩] ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর উচ্চ আদালত মামলার রায় পরিবর্তন করে এবং গর্ভকালীন সময়ে চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ সহ অন্যান্য হয়রানির বিরুদ্ধে রুল জারি করে।[৭]
সায়াকা ওসাকাবে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে তার দেশে কাজ করে চলেছেন মাতাহারি নেটকে সাথে নিয়ে।[৮]
২০১৫ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।[২][৮]