সারণগড় রাজ্য सारंगढ़ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
৯১–১৯৪৮ | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত সারণগড় রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ১,৩৯৯ বর্গকিলোমিটার (৫৪০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ৭৯,৯০০ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ৯১ | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
|
সারণগড় রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ রাজ্যটির শাসক ছিলেন রাজগোণ্ড বংশীয়।[১] কাছিম ছিলো এই রাজ্যের রাজপ্রতীক৷
বর্তমান ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়গড় জেলায় অবস্থিত সারণগড় শহরটি ছিলো এই রাজ্যের রাজধানী ও প্রশাসনিক দপ্তর৷ রাজধানী ব্যতীত রাজ্যটির কোনো শহর ছিলো না৷ ১৩৯৯ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত রাজ্যটির ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জনসংখ্যা ছিলো ৭৯,৯০০ জন৷
জনশ্রুতি অনুসারে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে বর্তমান মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা অঞ্চল থেকে গোণ্ড সম্প্রদায়ভুক্ত এক ব্যক্তি এখানে আসেন এবং রাজ্যপত্তন ঘটান৷ এটি প্রাথমিকভাবে রতনপুর সাম্রাজ্যর অন্তর্গত হলে পরবর্তীকালে এটি সম্বলপুর রাজ্যের আঠারোটি সামন্ত রাজ্যের একটি ছিলো৷[২] ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে সারণগড় রাজ্যের রাজারা প্রায় সময় সম্বলপুরের রাজাদের থেকে বিভিন্নভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হতেন। এর বিপরীতে তারা সম্বলপুরের রাজাদের যেকোনো সামরিক অভিযানে সৈন্যবল বৃদ্ধি করে সাহায্য করতেন। [১]
১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে সারণগড় ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়৷ ১৮৭৮ থেকে ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সরাসরি ব্রিটিশ ভারতের প্রশাসনিক অংশে পরিণত হয়৷ এই সময়ে তারা অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও রাজা ভবানীপ্রতাপ সিংহের বাল্যকালের সুযোগ নিয়ে তারা সাময়িক এই রাজ্য একপ্রকার দখল করেন৷[৩] ছত্তিশগড় বিভাগের অন্তর্গত একটি ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্য এটি৷[৪]
১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি তারিখে এটি ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদান করে৷
সারণগড় দেশীয় রাজ্যে শাসকগণ রাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন৷[৫]