সারাহ | |
---|---|
তথ্য | |
পরিবার | তেরাহ (পিতা) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইব্রাহিম |
সন্তান | ইসহাক |
জন্মনাম | সরাই |
জন্ম তারিখ | ১৯৬৬ খ্রিস্টপূর্ব |
জন্ম স্থান | Ur Kaśdim |
মৃত্যুর তারিখ | ১৮৩৯ খ্রিস্টপূর্ব |
মৃত্যুস্থান | হেবরন |
সারাহ (/ˈsɛərə/;[১] হিব্রু: שָׂרָה, আধুনিক: Sara, টিবেরীয়: Śārā ISO 259-3 Śarra; লাতিন: Sara; Arabic: سارا or سارة), ছিলেন খ্রিস্ট এবং ইসলাম ধর্মানুসারে ইব্রাহিমের স্ত্রী এবং ইসহাকের মাতা।[২] হিব্রু নাম সারাহ বলতে "অভিজাত নারী" বোঝায়।
বিশ শতকের প্রথম ও মধ্যভাগে, উইলিয়াম ফক্সওয়েল অলব্রাইটের মতো প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক এবং আলব্রেশট আল্টের মতো বাইবেলের পণ্ডিতগণ বিশ্বাস করতেন যে আদিপুরুষ এবং আদিনারীগণ প্রকৃত ব্যক্তি ছিল অথবা খ্রিষ্টপূর্বাব্দ দ্বিতীয় সহস্রাব্দে "পিতৃতান্ত্রিক যুগে" বসবাসকারী বলে বিশ্বাসযোগ্য ছিল। তবে, ১৯৭০-এর দশকে, ইস্রায়েলের অতীত এবং বাইবেলের সূত্র সংক্রান্ত নতুন বিতর্কে এই মতামতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, এসকল বিতর্কেগুলি পাওয়া যায় থমাস এল থম্পসনের আদিপুরুষের ঐতিহাসিক আখ্যান (দ্য হিস্ট্রিক্যাল অব দ্য প্যাট্রিয়ার্শাল ন্যারেটিভ) (১৯৭৪), এবং জন ভ্যান সেটার্সের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ইব্রাহিম (আব্রাহাম ইন হিস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেডিশান) (১৯৭৫) গ্রন্থসমূহে। থম্পসন, একজন সাহিত্যানুগ পণ্ডিত, যিনি তার প্রত্নতত্ত্ব এবং প্রাচীন গ্রন্থে যুক্তি ভিত্তিক। ২১ শতকের শুরুতে, প্রত্নতাত্ত্বিকগণ আদিপুরুষ ও আদিনারীদের বিশ্বাসযোগ্য ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করার যে কোন প্রেক্ষাপট পুনরুদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।[৩][৪]:৯৮ and fn.২
তাকে মূলত "সারাই" নামে ডাকা হতো, যা "সারাহ" শব্দের উপভাষিক রূপান্তর। সেখানে লোকবৃত্তান্ত প্রচলিত রয়েছে যা তাদের পুরানো এবং নতুন নাম ব্যাখ্যা করে।[৫]:২২
সারাহ ১২৭ বছর বয়সে মারা যান। তার মৃত্যুর পর ইব্রাহিম হেবরনের নিকট চড়াদামে গুহা সহকারে একাংশ জমি ক্রয় করেন যেখানে সারাহকে সমাধিতস্থ করা হয়েছিল, যা বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে কানানে ইস্রায়েলিদের মালিকানাধীন প্রথম জমি। স্থানটি পরবর্তীতে আদিপুরুষের গুহা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।[৫]:২৬[৬]
ইশাইয়া পরিচ্ছেদে ইব্রাহিমের পাশাপাশি সারাহ কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
তেরাহ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সারাহ[৭] | আব্রাহাম (ইব্রাহিম) | হাজেরা | হারান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নাহোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইসমাঈল | মিল্কা | লোত (লূত) | ইস্কা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইসমাইলগণ | ৭টি ছেলে[৮] | বেথিউ | ১ম কন্যা | ২য় কন্যা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইসহাক | রেবেকা | লাবন | মোয়াবগণ | আমেনগণ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এষৌ | ইয়াকুব | র্যাচেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিলহা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইদোমগণ | জিল্পাহ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
লিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১. রেউবেন ২. সিমোন ৩. লেভি ৪. জুদাহ ৯. ইসসাচার ১০. জেবুলুন ১১. দিনাহ (মেয়ে) | ৭. গাদ ৮. আশের | ৫. দান ৭. নাফতালি | ১২. জোসেফ (ইউসুফ) ১৩. বেনিয়ামিন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সারাহ (আরবি: سارة সারাহ), নবী ইব্রাহিমের আঃ স্ত্রী এবং নবী ইসহাকের মা, ইসলামী বিশ্বাসের এক সম্মানিত মহিলা। তিনি সারা জীবন ইব্রাহিম (আঃ) সাথেই ছিলেন এবং যদিও তিনি বন্ধ্যা ছিলেন, আল্লাহ তাকে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক পুত্র ইসহাকের জন্মের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইব্রাহিম অবশ্য একটি সন্তানের জন্য নিয়মিত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। সারাহ, বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরে তাকে তার মিশরীয় দাসী হাজারকে দিলেন[৯], তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিবাহ করার জন্য। ইসমাইল এদের থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল, যিনিও তাঁর পিতার মতো আল্লাহ প্রেরিত নবী হয়ে উঠবেন।